আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) অবস্থানরত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস পৃথিবীতে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। চলতি সপ্তাহে ইংল্যান্ডের রবার্ট ড্রেক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পৃথিবী থেকে প্রায় ৪০০ কিমি দূরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা সুনিতা উইলিয়ামসের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
সুনিতা উইলিয়ামসের কাছে ১৫টি প্রশ্ন করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রশ্নের মধ্যে ছিল ‘নভোচারী হওয়ার জন্য কী কী শিখতে হবে?’ এ ছাড়া মহাকাশে টিভি দেখার সুযোগ আছে কি না, তার প্রিয় ওড়ার স্থান ও মহাকাশে সময়ের পার্থক্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা তার কাছে জানতে চান।
স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান হান্নান সিম্পকিন বলেন, ‘এই সুযোগ পেয়ে সবাই খুব উচ্ছ্বসিত। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন নারী মহাকাশচারী পাওয়া সত্যিই চমৎকার বিষয়।’
চলতি বছরের ৫ জুন সুনিতা উইলিয়ামস ও ব্যারি উইলমোর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আট দিনের মিশনের জন্য যান। তবে বোয়িং স্টারলাইন মহাকাশযানের ত্রুটির কারণে সেখানে আটকা পড়েন। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির আগে পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন না তারা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের অ্যামেচার রেডিও বছরে বিশ্বব্যাপী ৬০ থেকে ১০০টি রেডিও সংযোগ পরিচালনা করে। তবে সংযোগ কতক্ষণ থাকবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
কলটি শুরু হওয়ার আগে, ১১ বছর বয়সী লিওনার্দো বলে, ‘এটি একই সঙ্গে ভীষণ বিচলিত ও উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।’ আর ৮ বছর বয়সী নোয়া বলেন, ‘আমি মহাকাশচারীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে গর্বিত।’ ৯ বছর বয়সী অলিভ এই কথোপকথনে অংশ নিয়ে খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সে বলেছে, ‘আমার স্বপ্ন মহাকাশচারী হওয়া। আমি মনে করি, মহাকাশচারী হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে এবং অনেক হিসাব জানতে হবে। এই অভিজ্ঞতা আমার নভোচারী হওয়া আশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’ সূত্র: বিবিসি
/আবরার জাহিন