ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের সাজা বাতিল

প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের সাজা বাতিল
ফাইল ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলায় দণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৭ আগস্ট) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। রায় ঘোষণার সময় ড. ইউনূসসহ চারজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাঁদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয়নি।

রায়ের ভাষ্য অনুযায়ী, ড. ইউনূসসহ অন্যরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তিতর্ক শুনানিতে বলেছিলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ মামলা হয়নি। তবে বাদীপক্ষের সাক্ষ্য এবং তাঁদের উপস্থাপিত দলিল থেকে প্রমাণিত হয়েছে, শ্রম আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের একজন পরিদর্শক মামলা করেছিলেন।

আসামিরা আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিতভাবে বলেছিলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে।

গ্রামীণ টেলিকমের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নিজস্ব নীতিমালা আছে, যা অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আবেদন বিষয়ে গ্রামীণ টেলিকমকে কোনো কিছু অবহিত করা হয়নি। এরপর ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট পুনরায় গ্রামীণ টেলিকম নিয়োগের নীতিমালাসহ সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুমোদনের জন্য মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ আদেশ দেওয়া হয়নি।

রায়ে আদালত বলেন, গ্রামীণ টেলিকম নিয়োগের নীতিমালা অনুমোদনে যথাযথ আদেশ না দেওয়ার বিষয়ে আসামিপক্ষ আদালতে আসতে পারতেন। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় যে গ্রামীণ টেলিকম নিয়োগের নীতিমালা অনুমোদন না হলেও নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগসহ অন্যান্য কার্য সম্পন্ন করেছে; যা শ্রম আইনের লঙ্ঘন।

রায়ে আদালত আরও বলেন, মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের তিনটি ধারা এবং শ্রম বিধিমালার একটি ধারার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। আদালত শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ও ৩০৭ ধারা অনুযায়ী আসামিদের ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রতিবেদনের তারিখ ধার্য

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ হত্যা মামলার প্রতিবেদনের তারিখ ধার্য

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালত এই তারিখ ধার্য করেন।

আজ রবিবার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করার প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী নতুন দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় আবু সায়েদ নিহত হন। ওই ঘটনায় মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করেন।

মাহমুদুল আলম/জোবাইদা/অমিয়/

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৬ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি ৪ দিনের রিমান্ডে
আদালতে তোলা হয় সাফি মোসাদ্দের খান জ্যোতিকে। ছবি : ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ছেলে সাফি মোসাদ্দের খান জ্যোতির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

ঢাকার আশুলিয়া থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় জ্যোতিকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহের মিয়া। শুনানি শেষে জ্যোতির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

এর আগে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সালমান/

৪ মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
৪ মামলায় জামিন পেলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর (ফাইল ছবি)

সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলাসহ সিলেটে জঙ্গি হামলার চারটি মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার শুনানি শেষে বাবরের জামিন মঞ্জুর করেন। তার পক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘সিলেটে চারটি মামলার আসামি বাবর। তার জামিনের আবেদন করা হলে চারটি মামলা শুনানির পর আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে হাজির থাকতে পারেননি।’

আদালতের বেঞ্চ সহকারীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জামিন শুনানির আবেদন করেছিলেন তার পক্ষের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ জুন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনি এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়। জনসভায় তখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। গ্রেনেড হামলায় তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। এ ঘটনায় দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেছিলেন। দুটো মামলার অধিকতর তদন্তে বাবরকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

অপর দুটো মামলা হচ্ছে সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলা। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে গ্রেনেড হামলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া নিহতের ঘটনায় দুটো মামলায় অধিকতর তদন্তে বাবরকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম
রাষ্ট্র সংস্কারে কমিশন গঠন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন: অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগে যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, তাতে মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শুধু আমাদের দেশে নয়, পৃথিবীব্যাপী তিনটি বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ। তা হলো আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ।’ 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আমাদের বিচার বিভাগের সংস্কার প্রয়োজন। কেননা বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে। প্রজাতন্ত্রের অন্য কোনো বিভাগের সঙ্গে বিচার বিভাগকে মেলানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচার বিভাগ তার কার্যক্রমে সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচার বিভাগের ওপর অন্য বিভাগের হস্তক্ষেপ ছিল। বিগত সময়ে গণতন্ত্র হত্যা, লুটপাটের বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করেছেন তারা আদালতে ন্যায়বিচার পাননি, হয়রানির শিকার হয়েছেন। বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা ভুলেই গিয়েছিলেন যে, তারা সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। তারা নিজেদের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ভাবতেন।’ 

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের কারণেই কার্যত বাংলাদেশের আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে মনে করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সংবিধান সংস্কার কমিশন বিষয়গুলো দেখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় সরকারের সংস্কারের উদ্যোগে সবাইকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুই মামলা
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি ও অন্য মামলাটি করা হয় গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে বগুড়ায়। এসব মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও তার আমলের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, পুলিশপ্রধানদেরও আসামি করা হয়েছে। 

ঢাকা: বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী নিজেই মামলাটির আবেদন করেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে অভিযোগটি সাভার মডেল থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ভোলা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, তৎকালীন আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, ঢাকা রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, তৎকালীন পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ও সাভার মডেল থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান। 

এক যুগ আগের ঘটনায় করা এ মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে নাজিম উদ্দিন আলমসহ নেতা-কর্মীরা আমিনবাজার ব্রিজের ওপর অবস্থান করছিলেন। এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে গুলি চালায় ও লাঠিপেটা করে। তখন পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও শর্টগানের গুলিতে নাজিম উদ্দিন আলমসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।

বগুড়া: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বগুড়ায় আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১২২ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে বগুড়া সদর থানায় মামলাটি করেন নিহতের ছেলে মো. রানা। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওয়ালিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মো. মজিবুর রহমান মজনু এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে আসামি মঞ্জুরুল আলম মোহন, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আসাদুর রহমান দুলু, ওবায়দুল হাসান ববি, আমিনুল ইসলাম মণ্ডল ও আওয়ামী লীগ নেতা বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর পিস্তল ও কাটা রাইফেল দিয়ে গুলি করা হয়। এ সময় ককটেল ও পেট্রলবোমারও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মামলার ২৩ নম্বর আসামি আব্দুল মতিন পিস্তল দিয়ে আব্দুল মান্নানকে গুলি করেন। পরে আব্দুল মান্নান মারা যান।