শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়া গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রবিবার (১১ আগস্ট) কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ২৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ৪৮ ভরি স্বর্ণালংকার ও এক লাখ ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে আজ সোমবার মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
গত ৮ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল নগরীর চৌমাথা এলাকা থেকে তাকে আটক করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তিনি পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, বরিশালে সিঅ্যান্ডবি রোডের সড়ক থেকে প্রিমিও ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়িটি থামানো হয়। ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫-৪৬৬৪ নম্বরের গাড়িটি তল্লাশি করা হলে ব্যাগভর্তি টাকা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। পরে সেটি আটক রেখে শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে খবর দেন।
সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী তাকে কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তল্লাশি করে নগদ ২৭ লাখ টাকা, ১ লাখ ইউএস ডলার, প্রায় ৪৯ ভরি স্বর্ণালংকার, বেশ কিছু ব্ল্যাংক চেক ও প্রায় ২৫ কোটি টাকার সম্পদের কাগজপত্র পাওয়া যায়।
এ সময় গাড়ির চালক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘বেলা ৩টায় হারুন অর রশিদকে পটুয়াখালী সরকারি বাসভবন থেকে নিয়ে আসি। বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের চৌমাথায় এলে শিক্ষার্থীরা আটকে দেন। গাড়িটি ভাড়ায় চালিত একটি প্রাইভেট কার। তাকে কুষ্টিয়া সদরের কুষ্টিয়া আবাসিক এলাকার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। এর আগেও তাকে কয়েকবার কুষ্টিয়ায় নিয়ে গেছি।’
অন্যদিকে গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ সে সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্যাগে যে টাকা রয়েছে তা আমার বৈধ উপায়ে উপার্জিত। বাবা-মা অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা করানোর জন্য ওই অর্থ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।’