আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু নথি বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটকে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান। তারা আসামিপক্ষের (ডিফেন্স কাউন্সেল) আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সকালে খবর পেলাম, কয়েকজন লোক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্ট নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাদের (নথি সরানো ব্যক্তিদের) থামালাম। ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে, অফিসের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার (আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তা) কাছে চাবি রেখে এসেছি।’ তাকে বলেছি, ‘এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ।’
সরকারের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এখান থেকে কোনো নথি বের না বা ঢুকতে না দেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ জানালাম।
আরেক আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার অফিসের নথিও সংরক্ষণ করতে হবে। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। এরপর ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) বিচার চলছে।