ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন ৩ আইনজীবী

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০১:০১ পিএম
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন ৩ আইনজীবী
অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক

অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে এ তথ্য জানানো হয়।

এই তিন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন- অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক।

গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অমিয়/

২ ভাগিনাকে হত্যা, মামাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
২ ভাগিনাকে হত্যা, মামাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
দুই ভাগিনাকে হত্যার দায়ে মামাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ছবি : খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জে দুই ভাগিনাকে হত্যা মামলায় মামাসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থ অনাদায়ে তাদের আরও ৩১ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম আলী আহমেদ এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া উত্তরপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে নিহতের চাচাতো মামা মো. নাছির উদ্দিন (৪০), মো. সহিদুল ইসলাম সাচ্চা (৫০) ও একই মহল্লার মৃত সমেশ আলীর ছেলে মো. ইসরাফিল হোসেন (৬৫)। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. আব্দুল মতিন।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, চৌহালীতে জমি নিয়ে বিরোধ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানার স্বামী রফিকুল ইসলাম বকুলের সঙ্গে তার চাচাতো বোনের ছেলে মিল্টন হোসেনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বিকেলে কাউছারকে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান বকুল ও তার স্বজনরা। সেখানে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মামা বকুল ও মামিসহ অন্য স্বজনরা কাউছারকে মারধর করেন। সংবাদ পেয়ে কাউছারের বড় ভাই মিল্টনসহ অন্য স্বজনরা সেখানে গিয়ে পাল্টা হামলা চালান। এ ঘটনায় কাউছার ও মিল্টন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার ঢাকা নেওয়ার পথে কাউছার মারা যান। মিল্টনকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর নিহতদের মা মোছা. হায়াতুন নেছা চৌহালী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। 

খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ অক্টোবর

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
খালেদা জিয়ার ১১ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ অক্টোবর
খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা একটি মামলাসহ মোট ১১টি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। আগামী ৩১ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করে আদালত আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আদালত এই আদেশ দেন। 

এদিন এসব মামলায় খালেদা জিয়ার হাজিরার দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তার আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। পরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য সোমবার ধার্য ছিল। আর অপর ১০টি মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল এদিন। 

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন আরেক দফা পেছাল

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন আরেক দফা পেছাল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আরেক দফা পিছিয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১১ বার পেছাল।

এর আগে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন প্রতিবেদন দাখিলের জন্যই ধার্য ছিল। তবে প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিবেদন দাখিল না করার পরিস্থিতিতে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। এর পরদিন তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অপর আসামিরা হলেন- ওই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

মইন উ আহমেদের মানহানি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
মইন উ আহমেদের মানহানি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে করা একটি মামলা আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এই মামলা করেছিলেন।

২০০৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এই মামলা করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ। মামলা দায়েরের ১৫ বছর পূর্ণ হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার। মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে গত রাতে তিনি দৈনিক খবরের কাগজকে বলেন, মামলাটি এখনো নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আছে মামলাটি।

মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগেও গিয়েছিল- মনে করিয়ে দিলে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, মামলাটি খারিজ চেয়ে মইন উ আহমেদ আবেদন করেছিলেন। আদালতে তা খারিজ হয়। নিম্ন আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। সেখানেও তা খারিজ হয়। পরে তিনি আবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, এখানে আবারও উনার আবেদন খারিজ হয়। সর্বোচ্চ আদালতে তা খারিজ হওয়ার পর এই মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। এখন মামলাটি নিম্ন আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।

আদালতে মইন উ আহমেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। দৈনিক খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘এই মামলায় তার সম্পত্তি ক্রোকের আদেশও চাওয়া হয়েছিল। আমি আদালতকে বলেছিলাম, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই সম্পত্তি ক্রোকের মতো বিষয় নয় এটি। তাই ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া ঠিক হবে না। শুনানি শেষে আদালতও সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেননি।’

সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে তার আবেদনটি খারিজ হয় ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেদিন আদালত থেকে বের হওয়ার পর ইকবাল হাসান মাহমুদের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছিলেন, আপিল বিভাগে আবেদনটি খারিজ হওয়ার ফলে মইন উ আহমেদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে করা মানহানির মামলাটির কার্যক্রম চলবে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, এক-এগারোর পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ রাজধানীতে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে এক অনুষ্ঠানে মইন উ আহমেদ বলেছিলেন, বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট এবং বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে এই মামলা করেন জোট সরকার আমলের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ। ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এই মামলা করেন তিনি। পরে মামলাটি চলতে পারে না বলে দাবি করে তা খারিজ চেয়ে আবেদন করেন মইন উ আহমেদ। তার পক্ষে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে এই আবেদন করা হয়। ওই আদালতেই আবেদনটি খারিজ হলে তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে উচ্চ আদালতে তার পক্ষে আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মইন উ আহমেদ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। তার পক্ষে করা আবেদনটির ওপর পরপর দুই দিন শুনানি নিয়ে তা খারিজ করে আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। এরপর থেকে নিম্ন আদালতে মামলাটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।

শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে মামলা তদন্তে পিবিআই

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পিএম
শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে মামলা তদন্তে পিবিআই
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় গুলিতে বাবুল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মামলা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

রবিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই মামলা করেন নিহত বাবুলের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। 

সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমীর আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং অভিযোগের বিষয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিক্ষোভ চলাকালে গত ১৯ জুলাই বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা গুলি ছোড়েন। এ সময় বাবুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবুল মারা যান।

এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অন্তত ১২৭টি হত্যা মামলা করা হলো।