ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ
শেখ হাসিনা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি করে মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফুট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫) হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর আদাবরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী এসএম আমির হামজা (শাকিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মামলাটি করেন।

বিচারক দুপুরে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে মামলাটি এজাহার হিসেবে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে ঘটনাটির তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মামুন মিয়া সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ (ডিবি হারুন) ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কোনো ধরনের উসকানি ছাড়া উক্ত আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেতুমন্ত্রী আন্দোলন শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেন। অপর আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনস্ত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আসাদুজ্জামান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন।

গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) ছাত্র জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সে সময় মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফুট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫) রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহাটে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

যেহেতু নিহত আবু সায়েদের গ্রামের বাড়ি সুদুর পঞ্চগড়ে এবং তার পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ কারণে সচেতন নাগরিক হিসাবে বাদী এ মামলার আবেদন করেন।

> শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন

অমিয়/

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী কারাগারে

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী কারাগারে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক এক হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর বাড্ডায় সুমন সিকদারকে (৩১) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় রবিবার এই আদেশ দেন আদালত।

এই মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে এদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামানের আদালতে হাজির করে পুলিশ মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার এই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। গত ১৯ জুলাইয়ের ওই ঘটনায় নিহত সুমনের মা মাসুমা একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।

প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
প্রশ্ন ফাঁসের দায়ে ১০ জনের কারাদণ্ড
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এক মামলায় ১০ জনকে কারাদণ্ড ও ১১৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় দেন।

দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় ২০১৭ সালের ২১ অক্টোবর মামলাটি করা হয়েছিল। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার রায়ে ১০ পলাতককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে সাতজনের চার বছর করে এবং বাকি তিনজনের দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পলাতক থাকায় দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ওই দুই ছাত্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেপ্তার হন রাফি নামে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী। ওই দিন শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি। পরে ২০১৯ সালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২৪ জনকে আসামি করে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। এই আদালতে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় বিচার শুরু হয়। সর্বশেষ গতকাল আদালত ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

সাবেক গভর্নর রউফের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পিএম
সাবেক গভর্নর রউফের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতে একটি মামলা হয়েছে। 

বল প্রয়োগে চাকরি থেকে পদত্যাগ করানো, প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে গতকাল রবিবার মামলাটি করা হয়। মামলায় বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) সাবেক ও বর্তমান ১০ কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। 

বিআইএফএফএলের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরমানুল ইসলাম আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। তিনি জানান, আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআইকে) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদী ফরমানুল ইসলামকে বল প্রয়োগ করে সালমান এফ রহমানের তিস্তা সোলার প্রকল্পে ১৪০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ঋণ প্রস্তাব দিতে বলেন। কিন্তু কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান বাদী। এতে সাবেক গভর্নর রউফ তার ওপর ক্ষেপে যান। এরপর ওই প্রকল্পের অনুকূলে ২০০ কোটি টাকা জিরো কুপন বন্ডে বিনিয়োগ করার কথা বলে সেই টাকা আগাম ঋণ হিসেবে চান। তখন ফরমানুল ইসলাম পর্যাপ্ত ফান্ড নেই বলে জানান। এতে আবারও তার ওপর ক্ষিপ্ত হন সাবেক গভর্নর। এভাবে অবৈধ সুবিধা চাইতে থাকলে তাতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা বাদীকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেন। এতে তার অপূরণীয় আর্থিক ক্ষতি, সামজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

আনার হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২১ অক্টোবর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আনার হত্যা মামলার প্রতিবেদন ২১ অক্টোবর
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনারের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ২১ অক্টোবর ধার্য করেছেন আদালত।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে দায়িত্বরত শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সংস্থা প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২২ মে এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন এই মামলা করেন।

প্রসঙ্গত, এই মামলায় গ্রেপ্তার সাতজন কারাগারে আছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী শাজী। বাকি একজন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু স্বীকারোক্তি দেননি।

প্রধান উপদেষ্টা-খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির মামলা হাসিনার বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ এএম
প্রধান উপদেষ্টা-খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকির মামলা হাসিনার বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনা

চট্টগ্রামে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করা হয়।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত’ মন্তব্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জেরে মামলাটির আবেদন ছাত্রদল নেতা করেন সৌরভ প্রিয় পাল।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেআইনি পন্থায় সব বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতেন। ২০২২ সালের ১৮ মে শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত’। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত’ বলে মন্তব্য করেন। 

এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন হাসিনা। তিনি এই দুইজনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী রেজাউল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা প্রকাশ পায়  ও তাদের দুজনের মানহানি হয়।

ওই সময়ের পরিস্থিতিতে বাদী মামলা না করলেও বর্তমানে যেহেতু বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে তাই নগর ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা বাদী হয়ে শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, তদন্তটি যেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার নিচের কাউকে না দেওয়া হয় সে বিষয়েও আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। 

ইফতেখারুল ইসলাম/অমিয়/