ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ওই দুই মামলা হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুরে শিশু জোবায়েদ হোসেন ইমনকে (১২) র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে ম্নাইপার দিয়ে গুলি করে হত্যার অভিযোগে হয় একটি মামলা। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বাকি আসামিরা হলেন- ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, তাজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান সাহমুদ, মোহাম্মদ এ আরাফাত, সালমান এফ রহমান, মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, চৌধুরী আব্দুল আল মামুন, হারুন অর রশীদ, ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ, হাবিবুর রহমান, ড. খ মহিউদ উদ্দিন, বিপ্লব কুমার সরকার।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, আদালতে এ নিয়ে মামলার আবেদন করা হলে মোহাম্মদপুর থানাকে মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দিয়েছেন। মামলাটি করেছেন নিহত ইমনের  মামা আব্দুল্লা আবু সাঈদ ভুইয়া।

এ ছাড়া শেরে বাংলানগর থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সিএনজিচালক সাহাবউদ্দিন (৩৫) নিহতের ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা আবুল কালাম এ মামলা করেছেন আদালতে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, হাছান মাহমুদ, আলী আরাফাতসহ ১১ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। 

এর আগে শেখ হাসিনাসহ আরও কয়েকজনের নামে আরও তিনটি হত্যা ও গুমের মামলা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ৮ আগস্ট শপথ নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। 

অমিয়/

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কারাগারে

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কারাগারে
কারাগারে পাঠানো হয়েছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে। ছবি : সংগৃহীত

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হৃদয় আহম্মেদ নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ আদেশ দেন আদালত।

রিমান্ড শেষে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ এবং মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সাদেক এ আবেদন করেন। শুনানিতে দিলীপ কুমারের আইনজীবী তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলিতে নিহত হয় বিএনপি কর্মী হৃদয় আহম্মেদ। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে হৃদয় আহম্মেদ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অপরাপর আসামিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাতনামা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী আহত ও নিহত হন। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকায় বাদী শাহাদাত হোসেন আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির এক ভবনে আশ্রয় নেন। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে তিনি বাইরে এসে হৃদয় আহম্মেদকে খুঁজতে থাকেন। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি পর আফতাবনগরের স্পেশালাইজড হাসপাতালে ওই দিন বিকেল ৪টায় হৃদয় আহম্মেদের লাশ খুঁজে পান শাহাদাত হোসেন। 

কুমিল্লা-দিনাজপুরে ২ মামলা সাবেক বিচারপতি ও রেলমন্ত্রীসহ আসামি সহস্রাধিক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ এএম
সাবেক বিচারপতি ও রেলমন্ত্রীসহ আসামি সহস্রাধিক
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে কুমিল্লা ও দিনাজপুরে হামলা, সংঘর্ষ ও গুলিতে হতাহতের ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমসহ এক হাজারের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। খবর বাসসের।

এর মধ্যে কুমিল্লায় সশস্ত্র হামলা ও গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক রেলমন্ত্রী ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক, সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তার মেয়ে সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচি, মুজিবুল হকের স্ত্রী হনুফা আক্তারসহ অন্তত ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। 

কুমিল্লার আলেখাঁরচরের কাজী মো. সোহেল বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় এ মামলা করেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবেন বিশ্বাস গতকাল শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও সাবেক এমপি বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে অন্য আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছেনি, ইট ও লাঠিসোঁটা নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারা বৃষ্টির মতো ককটেল ও গুলি ছোড়েন। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত নিয়ে যান। হাবিবুর আল-আমিন সাদী ও নাসির উদ্দিন তাদের লাইসেন্স করা পিস্তল ও শটগান নিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেন। এতে অনেক আন্দোলনকারী আহত হন।

এদিকে দিনাজপুরে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রবিউল ইসলাম রাহুল পরে হাসপাতালে মারা যাওয়ার ঘটনায় সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম, তার সহোদর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দিনাজপুর সদর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ হোসেন জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুর শহরের পাক পাহাড়পুর মহল্লার মো. রিয়াদ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান, সাবেক সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন। তারা দুপুর ১২টার দিকে দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে আদালত চত্বরের সামনে পৌঁছান। এ সময় ইকবালুর রহিম ও তার ভাই সাবেক বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় এবং উসকানিতে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিলে হামলা চালান। হামলাকারীদের হাতে পিস্তল, রিভলভার, হাঁসুয়া, বন্দুকসহ দেশি অস্ত্র ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ আগস্ট রাতে রাহুলের মৃত্যু হয়। রাহুল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। সে সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে মোট তিনটি হত্যা মামলা হলো।

শাজাহান খানের ৭ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
শাজাহান খানের ৭ দিনের রিমান্ড
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানকে সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

শাজাহান খানের পক্ষের আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. খোকন মিয়া আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আব্দুল মোতালেব (১৪) নামে এক কিশোর হত্যার অভিযোগের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শাজাহান খান মাদারীপুর-২ আসন থেকে আট বারের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। 

অমিয়/

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা করা হয়েছে। হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা এসব মামলায় হাসিনা ছাড়াও সাবেক চার মন্ত্রী, পাঁচ সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৫৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও মাদারীপুর আদালতে দুটি ও গত বুধবার রাতে রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়। 

ঢাকা: গত ১৯ জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) গেটের সামনে রিকশাচালক সোহাগ গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গতকাল তার বাবা মো. নুরুল ইসলাম ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। মামলায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক তিন মন্ত্রীসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারক আরফাতুল রাকিবের আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে বনানী থানা পুলিশকে তা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মো. আতিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শেখ সেলিম, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হারুন অর রশিদ। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের নির্দেশে সোহাগকে গুলি করা হয়েছে।

রাজশাহী: দীর্ঘ ৯ বছর পর স্বামী মজির উদ্দিনকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন স্ত্রী মোসা. মাছুফা বেগম। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ আসনের সাবেক এমপি রায়হানুল হকসহ ১৮১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে পুঠিয়া থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী মাছুফা চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের চাচি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি রাজশাহীর পুঠিয়ায় ২০দলীয় রাজনৈতিক জোট আয়োজিত সংবিধান ও গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আসামিরা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ধারাল অস্ত্রসহ হামলা করেন। এতে ঘটনাস্থলে মজির উদ্দিন নিহত হন।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ও নিহতের স্ত্রী মাছুফা পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন। তবে প্রাথমিকভাবে মাছুফার মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাদারীপুর: কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী দিপ্ত দে-কে (২২) হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালসহ ২৭ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে মাদারীপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।

নিহত দিপ্ত দে মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার স্বপন দের ছেলে ও মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা শহরের শকুনী লেক এলাকায় এলে আসামিরা দিপ্তকে গুলি করেন ও কুপিয়ে আহত করেন। একপর্যায়ে দিপ্ত লেকের পানিতে পড়ে যান। ওই দিন দুপুরে লেক থেকে দিপ্তর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর সদর থানার ওসি এএইচএম সালাহ উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

খাগড়াছড়িতে সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা: এদিকে আমাদের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, গতকাল সকালে মাটিরাঙ্গা থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এ মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ আওয়ামী লীগের ১৮৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাটিরাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.শরীফ। 

মামলা এজাহারে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসামিরা তরিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করেন।

এ সময় তারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করেন। 

পরে তরিকুল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানেও হামলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন তিনি।

তৌফিক ইমরোজ খালিদীর মামলা প্রত্যাহার

প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ এএম
তৌফিক ইমরোজ খালিদীর মামলা প্রত্যাহার
তৌফিক ইমরোজ খালিদী

অনলাইন নিউজপোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। 

একই দিন বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর মামলাও প্রত্যাহার করে নেয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

আদালত থেকে বের হওয়ার পর কমিশনের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও মীর আহাম্মদ আলী সালাম জানান, ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আস্সামছ জগলুল হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন। দুদকের কমিশনার মো. জহুরুল হক স্বাক্ষরিত মামলা প্রত্যাহারের অনুমোদনপত্র দাখিল করলে আদালত শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।

মামলা প্রত্যাহার চাওয়া আবেদনে বলা হয়, ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৫৮-এর ১০(৪) ধারা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৫ ধারার বিধানের আলোকে দুদক মামলা দুটির প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারসহ তাদের কোনো সম্পদ ক্রোক, অবরুদ্ধ ও বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে তার সব দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা প্রয়োজন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩০ জুলাই তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে কমিশনে মামলা করা হয়। এতে বলা হয়, কোনো ধরনের বৈধ উপার্জন ছাড়াই তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের চারটি অ্যাকাউন্টে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে তিনি এসব টাকা অর্জন করেছেন।

আর ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটুর বিরুদ্ধে ৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে কমিশন।