ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে অসাংবিধানিক অ্যাডহক কমিটি

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০১:১১ এএম
ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে অসাংবিধানিক অ্যাডহক কমিটি
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কমিটির ওপর ‘একটি অবৈধ অসাংবিধানিক অ্যাডহক কমিটি দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সমিতির নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করা হয়েছে। নির্বাচিত কমিটির তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন (জেসি) বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠান।

বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্রের কোথাও অ্যাডহক কমিটির কথা বলা নেই। নির্বাচিত কমিটি গত ১২ আগস্টও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সদস্যদের তরফ থেকে আমার কাছে তলবি সভার কোনো লিখিত নোটিশ আসেনি। অথচ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এটি পাঠানো বাধ্যতামূলক।’

তিনি বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে (পৃষ্ঠা ১৬) বলা আছে, (১) বিশেষ/তলবি সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য সমিতির কমপক্ষে ১ হাজার নিয়মিত সদস্যের স্বাক্ষর, সদস্য নম্বর, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং অন্য কিছু থাকলে সেটিসহ লিখিতভাবে কোনো নোটিশ দেবেন সাধারণ সম্পাদক। ওই নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তলবি বিষয়ে আলোচনা করার জন্য একটি তলবি/সাধারণ সভার আহ্বান করবেন। কিন্তু ডাকে বা ই-মেইলে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে জানান সাধারণ সম্পাদক।

সরকারকে আইনজীবী ফেডারেশনের ১৩ দফা প্রস্তাব

জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১৩ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। গতকাল সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এই ১৩ দফা প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবগুলো হলো- ১. ইসলামি আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং সব ধর্মের মর্যাদা সুনিশ্চিত করা, ২. বিশ্ব মানবতার মহামুক্তি সনদ ‘মদিনা সনদ’-এর আলোকে সব নাগরিকের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা, ৩. ৫ আগস্টকে ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লব দিবস’ অথবা ‘জাতীয় বিপ্লব দিবস’ অথবা ‘বাংলাদেশ বিপ্লব দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে ওই দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা। ৪. সাম্প্রতিক বিপ্লবে নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান এবং হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা, ৫. নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ফেডারেল পদ্ধতির শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনপূর্বক বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রদেশে বিভক্ত করা, ৬. আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালগুলোর বিচারকদের জন্য যুগোপযোগী আইন প্রবর্তন করা, ৭. ‘ধর্ম যার যার বাংলাদেশ সবার’- এই উক্তির আলোকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় করা। ৮. মামলার জট নিরসনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিভাগের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করা, ৯. প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ লাভের ক্ষেত্রে অনগ্রসর ও প্রতিবন্ধী নাগরিক ব্যতীত সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা, ১০. শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্মবিদ্বেষী কোনো পাঠক্রম প্রণয়ন না করা, ১১. বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে My Lord/Your Lordship শব্দের পরিবর্তে Your Honour শব্দ প্রবর্তনের বিষয়ে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, ১২. সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি চিরতরে বন্ধের লক্ষ্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। ১৩. প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত বিচারব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করা।

শেখ হাসিনা ও জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম
শেখ হাসিনা ও জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা ও জি এম কাদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে মাহমুদুল হাসান জয় নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ৩৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ মামলা করা হয়।

নিহতের পূর্ব পরিচিত ও মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল এ মামলা করেন। আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, জি এম কাদেরের স্ত্রী ও তার দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদের, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, হা-মীম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, রংধনু গ্রুপের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মাহমুদুল হাসান জয় (১৪) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সদস্য ছিল। আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। ওইদিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মাহমুদুল আলম/সালমান/

শেখ হাসিনার নামে আরও একটি হত্যা মামলা

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পিএম
শেখ হাসিনার নামে আরও একটি হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

বৈষম্যবিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলনের মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকায় রিয়াজুল তালুকদারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নিহতের ভাই রুবেল তালুকদার এ মামলা করেন। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন তার জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

রুবেলের আইনজীবী জহিরুল হাসান মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সাবেক সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, সাবেক সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার চার রাস্তার মোড়ে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা এক দফা আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালান। এ সময় বাদীর ভাই যাত্রাবাড়ী থানার শ্রমিক দল কর্মী মো. রিয়াজুল তালুকদার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ফাইয়াজ হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
ফাইয়াজ হত্যায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ফারহান ফাইয়াজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবর এ অভিযোগ দাখিল করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন। 

তাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

তদন্ত সংস্থায় কো-অর্ডিনেটর বরাবর করা এ অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর ৮ ধারা অনুযায়ী আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। 

বাসস/অমিয়/

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্য রিমান্ডে
আদালতে নেওয়া হচ্ছে আবু সাইদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যকে। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কঠোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তায় রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই মো. আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২-এ তোলা হয়।

পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান হাইকোর্টের আদেশ মেনে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান জানান, সেদিন মহানগর পুলিশের দুই সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও ইমরানের আদেশে গুলি চালানো হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছেন অভিযুক্ত এই দুই পুলিশ সদস্য। 

শুধু এই দুই পুলিশ সদস্য নয়, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতা পুলিশের প্রত্যেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এই আইনজীবী।

এর আগে সোমবার বিকেলে মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত ৩ আগস্ট মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বরখাস্ত করা হয়।

গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবির এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলি আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

রানা/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-পলকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পিএম
চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-পলকের বিরুদ্ধে মামলা
শেখ হাসিনা ও জুনাইদ আহমেদ পলক

ইন্টারনেট বন্ধ রাখার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেছেন নুর মোহাম্মদ নামে একজন অনলাইন উদ্যোক্তা। 

আদালতের বিচারক জহিরুর ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এতে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ এর ১৯(২), ২২(২), ২৩ (২), ২৪ (২), ২৫ (২), ২৭ (২), ৩১ (২), ৩৩ (২), ৩৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

মামলাটিতে অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. আলী আরাফাত, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক যুগ্ম কমিশনার (ডিএমপি) বিপ্লব কুমার, সালমান এফ রহমান, ড. দীপু মনি, সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. সোহায়েলসহ আরও কয়েকজন। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বাদীর দুরন্ত সাপ্লাইয়ার ও দুরন্ত বাজার নামে একটি অনলাইনভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অর্ডার সংগ্রহ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন তারা। তার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০০ কর্মী যুক্ত আছেন। দৈনিক তাদের অনলাইনে লেনদেন হয় প্রায় ২০ লাখ টাকা। ১ নম্বর আসামির নির্দেশে ২ ও ৩ নম্বর আসামির পরিকল্পনায় ক্ষমতায় টিকে থাকতে গণহত্যা পরিচালনার জন্য ১৮ জুলাই রাতে ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে বাদীর প্রতিষ্ঠানের শো-রুম ভাড়া, বেতন, বাসা ভাড়া, পণ্য সরবরাহ, কাঁচামাল নষ্টসহ ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। আর রাস্ট্রের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা।

বাদীর আইনজীবী নওশাদ আলী বলেন, ‘আমরা সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেছি। আদালত মামলাটি কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’