ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হৃদয় আহম্মেদ নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ আদেশ দেন আদালত।
রিমান্ড শেষে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ এবং মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশের উপপরিদর্শক মো. সাদেক এ আবেদন করেন। শুনানিতে দিলীপ কুমারের আইনজীবী তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই গুলিতে নিহত হয় বিএনপি কর্মী হৃদয় আহম্মেদ। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারি শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৬১ জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে হৃদয় আহম্মেদ অংশগ্রহণ করে। আন্দোলন চলাকালে আসামিদের নির্দেশে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা অপরাপর আসামিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাতনামা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক অবৈধ অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। তাদের গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী আহত ও নিহত হন। এ সময় এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকায় বাদী শাহাদাত হোসেন আত্মরক্ষার্থে পাশের গলির এক ভবনে আশ্রয় নেন। কিছু সময় পর গুলির আওয়াজ বন্ধ হলে তিনি বাইরে এসে হৃদয় আহম্মেদকে খুঁজতে থাকেন। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি পর আফতাবনগরের স্পেশালাইজড হাসপাতালে ওই দিন বিকেল ৪টায় হৃদয় আহম্মেদের লাশ খুঁজে পান শাহাদাত হোসেন।