ঢাকা ২২ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

নাইকো দুর্নীতি মামলার সব সাক্ষীকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
নাইকো দুর্নীতি মামলার সব সাক্ষীকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাজিরের নির্দেশ
বিশেষ জজ আদালত-৯

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বহুল আলোচিত নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সব সাক্ষীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই আদেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ আসামিদের হাজির করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আদালত এই নির্দেশ দেন। 

রবিবার এই মামলায় কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় সময়ের আবেদন করে দুদক। কমিশনের আইনজীবী ফাতেমা খানম নীলা এই আবেদন করেন। এদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষাৎ সম্পন্ন করার আবেদন করেন। 

আদালতকে তারা বলেন, পরপর তিনটি ধার্য তারিখে কমিশন সাক্ষী হাজির করেনি। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এভাবে আসামিদের হয়রানি করছে। তাই মামলায় সাক্ষ্য সম্পন্ন করে আসামিদের খালাস দেওয়া হোক। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলায় এখন পর্যন্ত বাদীসহ দুইজনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দুই সাক্ষীর মধ্যে বাপেক্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুল বাকী আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন।

খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি সরকার আমলের মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম।

সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে কমিশন।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

হত্যা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
হত্যা মামলায় ঢাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলায় ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফুয়াদ হোসেন ওরফে শাহাদতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আইনবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফুয়াদ হোসেন ওরফে শাহাদতকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে পল্লবীর ৭নং সেকশন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পল্লবী এলাকায় আকরাম খান রাব্বী হত্যার ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী নামের এক ব্যক্তি গুলিতে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে রাব্বী হত্যায় জড়িত ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী পুলিশ। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

রিনা তুলি/সাদিয়া নাহার/

হাজী সেলিম-সৈকত-মানিক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
হাজী সেলিম-সৈকত-মানিক নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক

সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) নতুন করে তাদেরকে প্লাস্টিক কারখানার কর্মচারী রাকিব হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।

এদিন তাদেরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোরাদুল ইসলাম নতুন করে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। 

আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে রাজধানী থেকে হাজী সেলিমকে আটক করা হয়। পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে তানভীর হাসান সৈকতকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ ছাড়া হাবিবুর রহমান মানিককে গত ২২ আগস্ট রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিমপুরে কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে হত্যার মামলায় পরের দিন ২৩ আগস্ট পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো মামলায় উল্লেখ করা হয়, রাকিব হাওলাদার চকবাজারের কাজল প্লাস্টিক কারখানায় কাজ করতো। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সে মিছিলে অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি চানখারপুল পৌঁছালে পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব। তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন এ ঘটনায় মামলা করেন। 

মাহমুদুল আলম/সাদিয়া নাহার/

পুলিশ সদস্যের সন্তান হত্যা মামলায় ওসি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
পুলিশ সদস্যের সন্তান হত্যা মামলায় ওসি গ্রেপ্তার
যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসান

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক এক হত্যা মামলায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) আন্দোলনের মধ্যে ওই থানা এলাকায় গুলিতে শিক্ষার্থী ইমাম হাসান তাইমকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালত সাবেক ওসির উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।

তাইম রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপ-পরিদর্শক মো. ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজী নগর এম ডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

নিহতের মা মোসা. পারভীন আক্তার ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ আগস্ট এই মামলা করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই কারফিউর মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল, ওই সময় তাইম তার দুই বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ির কাজলা এলাকায় চা খেতে যায়। ওইসময় সেখানে কোটা আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করছিল। তখন ইকবাল হোসেন, শামীম ও তানজিল আহমেদের নির্দেশে জাকির হোসেন ও তার সঙ্গীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গুলি চালায়। প্রাণভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা এলোপাতাড়ি ছোটাছুটি করতে থাকে। তাইম ও তার দুই বন্ধু লিটন চা স্টোরের ভেতর ঢুকে দোকানের সাটার টেনে দেয়। কিন্তু সাটারের নিচের দিকে আধা হাত খোলা ছিলো। সেখানে অবস্থানকারীদের পুলিশ টেনে বের করে। জাকির হোসেন গুলি থেকে বাঁচতে চাইলে দৌঁড় দিতে বলে। তখন তাইম সবার আগে দৌঁড় দেয়। জাকির গুলি করে। তাইম সেখানেই মারা যায়।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/

হেলেনা জাহাঙ্গীর ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
হেলেনা জাহাঙ্গীর ও রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা
হেলেনা জাহাঙ্গীর ও রাসেল মিয়া

জয়যাত্রা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন হেলেনা জাহাঙ্গীর ও অভিনেতা রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা হয়েছে। 

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালতে রবিবার (৬ অক্টোবর) নেসার উদ্দিন বাহাদুর নামে এক ব্যক্তি মামলাটি করেন। 

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিনেতা রাসেল মিয়া হেলেনা জাহাঙ্গীরকে কথিত বোন বলে পরিচয় দেন। তিনি নিজেকে অত্যন্ত প্রতাপশালী ও বিখ্যাত চিত্রনায়ক বলেও দাবি করেন। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের ‘পাপমুক্ত ছবি’-এর একটি বক্তব্য আমার দৃষ্টিগোচর হয়। সেখানে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অজু করে হলে গিয়ে সেই সিনেমাটি দেখে বের হয়ে নামাজ পড়া যাবে’। তার এ ধরনের বক্তব্য মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত অপমান ও ন্যক্কারজনক, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

তিনি অত্যন্ত সুচিন্তিত ও সুপরিকল্পিতভাবে সচেতন অভিপ্রায়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর তাদের মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে রাসেল মিয়াকে থানায় গিয়ে আবারও কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মিথ্যা বলতে দেখা যায়। এভাবে একাধিকবার কোরআন শরীফ ছুঁয়ে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালানো হয়, যা মুসলিম সমাজে কোরআন অবমাননা ও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির নিদর্শন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ধর্মকে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে হেলেনা জাহাঙ্গীর ইসলামবিরোধী কথা বলেন। তা ছাড়া রাসেল মিয়া পবিত্র কোরআন ছুঁয়ে মিথ্যা শপথ করে দেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেন।

আদালত রাজধানীর মতিঝিল থানা-পুলিশকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ রিমান্ডে

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ রিমান্ডে
আবুল কালাম আজাদ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালাম আজাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রবিবার (৬ অক্টোবর) যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। 

একই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ হুমায়ূন কবিরেরও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন। তবে আসামিদের আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ূন কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলাসূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি একই কার্যালয়ের সচিব ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সমাবেশ ডাকে বিএনপি। মহাসমাবেশকে পণ্ড করতে একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এ সময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। 

মাহমুদুল আলম/সালমান/