চট্টগ্রামে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি করা হয়।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘চুবানি দিয়ে পদ্মা সেতুতে তোলা, আর খালেদাকে টুস করে নদীতে ফেলা উচিত’ মন্তব্য করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের জেরে মামলাটির আবেদন ছাত্রদল নেতা করেন সৌরভ প্রিয় পাল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বেআইনি পন্থায় সব বাহিনী এবং প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতেন। ২০২২ সালের ১৮ মে শেখ হাসিনা একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত’। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধের চেষ্টায় নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘পদ্মা নদীতে দুটি চুবানি দিয়ে সেতুর ওপর তোলা উচিত’ বলে মন্তব্য করেন।
এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন হাসিনা। তিনি এই দুইজনকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী রেজাউল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এর মধ্য দিয়ে তাদেরকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা প্রকাশ পায় ও তাদের দুজনের মানহানি হয়।
ওই সময়ের পরিস্থিতিতে বাদী মামলা না করলেও বর্তমানে যেহেতু বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে তাই নগর ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা বাদী হয়ে শেখ হাসিনাকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তদন্তটি যেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার নিচের কাউকে না দেওয়া হয় সে বিষয়েও আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইফতেখারুল ইসলাম/অমিয়/