নোয়াখালীর আদালতে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় ‘নির্দোষগণ্যে’ খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নোয়াখালী জেলা বারের সাবেক সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়া রায়ের বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব। রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় মামলার একমাত্র আসামি তারেক রহমানকে ‘নির্দোষগণ্যে’ খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।”
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর লন্ডন বিএনপির এক অনুষ্ঠানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার-পাকবন্ধু’ বলে সম্বোধন করেন। এ ঘটনায় ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরামুল হক বিপ্লব বাদী হয়ে নোয়াখালীর ৩ নম্বর আমলি আদালতে অভিযোগের পিটিশন (নম্বর-৬৬৬) দায়ের করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জ থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-৪১)। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন আদালতে চার্জশিট (নম্বর-৩৮৮) দাখিল করেন। এতে আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত বলে উল্লেখ করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশর। বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ বি এম জাকারিয়ার সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ।