ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ রিমান্ডে

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৭ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ রিমান্ডে
আবুল কালাম আজাদ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব ও জামালপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবুল কালাম আজাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রবিবার (৬ অক্টোবর) যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। 

একই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ হুমায়ূন কবিরেরও সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন। তবে আসামিদের আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) আবুল কালাম আজাদ ও হুমায়ূন কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলাসূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম আজাদ ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি একই কার্যালয়ের সচিব ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সমাবেশ ডাকে বিএনপি। মহাসমাবেশকে পণ্ড করতে একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এ সময় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। 

মাহমুদুল আলম/সালমান/

শমী-তাপসের ৩ দিনের রিমান্ড

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ পিএম
শমী-তাপসের ৩ দিনের রিমান্ড
অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপস। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় এ আদেশ দেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত তাদের সাত দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড শুনানিতে শমী কায়সার বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত ছিলাম না। কোনো ধরনের অর্থ দিইনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা অন্যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলিনি। ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করিনি।’

এর আগে গত মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এদিকে তাপসের মা মেহের নিগার চঞ্চল অভিযোগ করে বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ বছর আমাকে একা করে দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকার কারণে যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি বলব, এক বছর আগেও আয়নাঘর কাকে বলে আমার ধারণা ছিল না। আমার ছেলেকে শেখ হাসিনা হাতের মুঠোয় রেখেছিল। আমার ছেলে যদি বিপজ্জনক হয়েই থাকে, আপনাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২ বছর লড়াই করেছেন এবং ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করেছেন বলেও জানান তিনি।  

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে কৌশিক হোসেন তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বিএনপির মিছিলে গুলি ডা. ইকবালসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম
ডা. ইকবালসহ ১৫ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবাল

২০০১ সালে বিএনপির মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে চারজনকে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবালসহ ১৫ আসামির অব্যাহতির আদেশ বাতিল করে তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৬ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে আসামিদের অব্যাহতির আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেন লিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ২০০১ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর চামেলিবাগে বিএনপির মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে চারজনকে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এইচ বি এম ইকবাল, সাবেক এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনসহ ১৫ আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার পর তাদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিলে তৎকালীন সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. এইচবিএম ইকবালের নির্দেশে গুলি চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তিনজন বিএনপিকর্মী নিহত হন। পরে হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলাটি ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ঢাকার একটি আদালত বাতিল করে দেন। একই সঙ্গে আসামিদের অব্যাহতিও দেওয়া হয়।

এলিস/এমএ/

রাজশাহীতে পুলিশের ২১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
রাজশাহীতে পুলিশের ২১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
ডিআইজি আনিসুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগে রাজশাহীর সাবেক রেঞ্জ ডিআইজি আনিসুর রহমান ও মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সাবেক কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদারসহ পুলিশের ২১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাাজিস্ট্রেট আদালতে মারুফ মর্তুজা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

পরে আদালতের বিচারক ফয়সল তারেক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলায় আরও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- রাজশাহীর তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক, বোয়ালিয়া জোনের ডিসি বিভূতিভূষণ ব্যানার্জী, আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি উৎপল কুমার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) মধ্যে রয়েছেন মশিয়ার রহমান, হুমায়ুন কবির, আমিরুল ইসলাম, কমল কুমার দেব, তৌহিদুর রহমান, উপ-পরিদর্শকদের (এসআই) মধ্যে রয়েছেন কিংকর, আব্দুর রহিম, কাজল নন্দী, ইফতেখায়ের আলম, প্রণব, তসলিম, সিরাজ, মানিক। 

এনায়েত করিম/সুমন/অমিয়/

চার মামলায় খালাস পেলেন বক্তা রফিকুল মাদানী

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম
চার মামলায় খালাস পেলেন বক্তা রফিকুল মাদানী
রফিকুল ইসলাম মাদানী

রাজধানীর তেজগাঁও, মতিঝিল ও পল্টন থানায় এবং গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা পৃথক চার মামলায় খালাস পেয়েছেন শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানী।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এসব মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় থেকে তাকে খালাস দেন।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এ মামলায় সাক্ষীরা আদালতে ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি। শুধুমাত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এসব মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে বিচারক তাকে মামলার দায় থেকে খালাস দিয়েছেন।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল নেত্রকোনায় নিজ বাড়ি থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পরদিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর গাছা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তেজগাঁও, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও তিন মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে মারাত্মক মিথ্যা বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার মতো অপরাধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গত বছরের ৪ নভেম্বর কারামুক্ত হন।

এলিস/জোবাইদা/

বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ
ছবি : সংগৃহীত

বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চান। জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান।

নোটিশের বিবাদি হলেন পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব। আগামী তিনদিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সময় বেঁধে দেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়া করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি।

এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খন্ডে আদানির এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর সব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এলিস/জোবাইদা/