ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
চাঁদপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
দণ্ডিত নুর আলম ও সজীব হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে নুর আলম (২৬) ও সজীব হোসেন (১৯) নামে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।

এ ছাড়াও বিচারক আসামিদের খুনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সাত বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হত্যার শিকার শিশু জান্নাতুল নাঈম মিশু (১৫) কচুয়া উপজেলার বড় হায়াতপুর গ্রামের প্রবাসী মো. আবু হানিফের মেয়ে।

দণ্ডিত আসামি নুর আলম বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে এবং সজীব হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গাব্দেরগাঁওয়ের আমির হোসেনের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই শুক্রবার দুপুরে মিশু বাড়ির পাশে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। সেখানে উভয় আসামি শিশুটিকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় শিশুটির মা ফাতেমা বেগম ৩ আগস্ট কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মকবুল হোসেন। তদন্ত শেষে তিনি একই বছর ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুল ইসলাম মন্টু বলেন, এই মামলায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রিয়াদ হোসেন মুনতাসির। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মাসুম হোসেন ভূঁইয়া।

ফয়েজ আহমেদ/অমিয়/

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ এএম
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত
আদালতে খালেদা জিয়া। সংগৃহীত ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। 

একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতিও দেন আপিল বিভাগ। তাছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে গতকাল রবিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কোনো অর্থ আত্মসাৎ হয়নি বলে তদন্ত শেষে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান। এই মামলায় হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা পৃথক লিভ টু আপিলের ওপর শুনানির শেষ দিনে আদালতকে তিনি এ তথ্য জানান।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে এ মামলার অন্য ৫ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান। একইসঙ্গে এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর ৫ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছয় আসামির প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান।

অমিয়/

হাইকোর্ট বিভাগে নতুন রেজিস্ট্রার

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন রেজিস্ট্রার

প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকার সদস্য (জেলা জজ) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) হিসেবে বদলি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে রবিবার (১০ নভেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকার সদস্য (জেলা জজ) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রেষণে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) পদে নিয়োগ করা হলো।

আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে তাকে বদলি কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

এলিস/এমএ/

ঢাবি ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলে রিট

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
ঢাবি ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলে রিট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ও খোলায়াড় কোটা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।‌

এর আগে গত ৫ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ই-মেইলে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, একজন অভিভাবক, একজন সাধারণ নাগরিক ও সুপ্রিম কোর্টের ৭ জন আইনজীবীর পক্ষে আজ রিট দায়ের করা হয়। রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারীররা হলেন- মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ল অ্যান্ড ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট  নাঈম সরদার, অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী,  অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার, অ্যাডভোকেট লোকমান হাকিম, একজন ছাত্রের অভিভাবক মো. হোসেন আলী ও ব্যবসায়ী মাহফুজুল ইসলাম। 

নোটিশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে (ক) মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, (খ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং (গ) শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছিল। নোটিশ গ্রহীতারা ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। নোটিশে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ সকল গণতান্ত্রিক ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।

এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতি কোটা বাতিল করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েদের জন্য পোষ্য কোটা সংরক্ষণ রাখাটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আর খোলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। এজন্য এসব কোটা বাতিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হয়েছে। রিটটি দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

এলিস/এমএ/

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ

ড. ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকম ভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক পার্থ প্রতীমের আদালতে এই মামলা করেন গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন চৌধুরী।

মামলাটি এজাহার হিসেবে নিয়ে মিরপুরের শাহ আলী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে ঢুকে গ্রামীণ পরিবারের আটটি প্রতিষ্ঠান হামলা ও দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

মাহামুদুল/নাইমুর/অমিয়/

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে কমিটি হবে

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে কমিটি হবে
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করে সনদ বাতিল করতে কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অতি শিগগিরই এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এসব কাজ খুব গোপনীয়ভাবেই হচ্ছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ না নিয়েও জাল সনদ এবং বিভিন্ন তদবির-সুপারিশে এতোদিন যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়েছেন তাদের শনাক্ত করে সনদ বাতিল করতে কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

জানা গেছে, এ কমিটি সাত সদস্যবিশিষ্ট হতে পারে। কমিটি গঠনের পর প্রধান উপদেষ্টা এটি অনুমোদন দিলে কাজ শুরু হবে। 

এ কমিটি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আবেদন এবং আবেদন ছাড়াও বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় পুনরায় যাচাই বাছাই করবে। এ প্রক্রিয়ায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল হতে পারে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিদিন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ে এসব অভিযোগ জমা রাখা হচ্ছে। পরে মন্ত্রণালয় এসব বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

এলিস/জোবাইদা/অমিয়/