ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দুদকে দলীয় ও আমলামুক্ত কমিশন চায় টিআইবি

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
দুদকে দলীয় ও আমলামুক্ত কমিশন চায় টিআইবি

দলীয় রাজনৈতিক বিবেচনা ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবের চর্চা থেকে বেরিয়ে এসে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দক্ষ ও উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে। টিআইবি মনে করে, যারা প্রকৃত অর্থেই স্বার্থের দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতি দমনের মাধ্যমে দুদকের প্রতি জন-আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন, তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।

গত ২৯ অক্টোবর দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে টিআইবি। এতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘চলমান রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত অন্যতম প্রতিষ্ঠান দুদক, যার দীর্ঘকালীন অকার্যকরতার কারণে সংস্কার কমিশনের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালনে উপযোগী সুপারিশ প্রণয়ন করা। এমন পরিপ্রেক্ষিতে সরকার অবিলম্বে নতুন কমিশন গঠনের দায়িত্ব নিয়েছে। পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের শতাধিক সাবেক মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে অনুসন্ধানের কাজ চলমান রয়েছে। এমন একটি সময়ে শীর্ষ পর্যায়ে শূন্যতা দুদকের তদন্তসহ সব কার্যক্রমে স্থবিরতা সৃষ্টি করবে। কেননা নতুন কমিশন গঠনের আগ পর্যন্ত নতুন করে কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু ও তদন্ত বা মামলার সুযোগ থাকবে না। ফলে দ্রুত নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে এ শূন্যতা পূরণ করা জরুরি। অন্যথায় রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘২০০৪ সালে দুদকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা সংস্থাটিকে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বিবেচনায় নিয়োগ এবং রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক স্বার্থরক্ষায় ব্যবহারের হাতিয়ার হিসেবে দেখে আসছি। কর্তৃত্ববাদী সরকারের সময় কমিশনের নেতৃত্বের রাজনৈতিক আজ্ঞাবহ চরিত্রের দৃষ্টিকটু দৃষ্টান্তও রয়েছে। রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়ার কারণে কমিশন কখনোই প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারেনি, আগ্রহীও হয়নি। একই কারণে নিয়োগ পাওয়া কমিশনাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা করণীয় নির্ধারণেও ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতার বাইরে থাকার মানদণ্ডে প্রভাবিত। অনেক ক্ষেত্রে বড় আকারের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের তথ্য ও সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্তের উদ্যোগ না নেওয়া, আবার দায়সারা উদ্যোগ নিলেও পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তকে দায়মুক্তি দেওয়ার অশুভ নজিরও তৈরি করেছে দুদক। অন্যদিকে ক্ষমতার বাইরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা অন্য কোনো কারণে বিরাগভাজন মহলের জন্য হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে নিজেকে ব্যবহৃত হতে দিয়েছে দুদক। ফলে বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতি দমনের স্থলে দুর্নীতি সহায়ক ও সুরক্ষাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। আমরা মনে করি, দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অবস্থায়ই দলীয় রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তিকে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমনে দক্ষ-উপযুক্ত, ব্যক্তিজীবনে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, আমলাতান্ত্রিক স্বার্থমুক্ত এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিদের কমিশনার হিসেবে নিয়োগের আহ্বান জানাই। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে নজিরবিহীন ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্ট জনপ্রত্যাশা যেমন আরও একবার ধূলিসাৎ হবে, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।’

শমী কায়সারের জামিন স্থগিত

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
শমী কায়সারের জামিন স্থগিত
শমী কায়সার

হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করেন। 

এ সময় তিনি বিষয়টি ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম।

গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা হয়। ওই ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। সে মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অমিয়/

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হকসহ ৯ জন

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হকসহ ৯ জন
সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনকে রাজধানীর ছয় থানার পৃথক আটটি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের আদালত এ নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক বিমানমন্ত্রী (অব.) লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফারুক খান, ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটু, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।

জানা যায়, বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর-১৩র নিউ মডেল কলেজের সামনে রাব্বি মাতবর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আনিসুল হক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জিয়াউল আহসান, ২৩ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর নাসির হোসেন হত্যা মামলায় আনিসুল হক, ২০১৫ সালে রাজধানীর মতিঝিলে মেয়রের নির্বাচনের প্রচারণার সময়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পারবেজ মিয়া হত্যা মামলায় শমসের মবিন, এবং রাজধানীর বনানীর মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকায় গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় পাঁচ আগস্ট আল আমিন হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটু, নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক সচিব মহিবুল হক ও পিপলস পার্টির বাবুল সরচার চাখারী এবং রাজধানীর কাফরুল থানাধীন পুলিশ স্টাফ কলেজের বিপরীতে পাঁচ আগস্ট আব্দুল হান্নান হত্যায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মাহমুদুল আলম/মেহেদী/এমএ/

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আলমগীর হোসেন এ রিমান্ডের আদেশ দেন। 

আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। 

আদালত সূত্র জানায়, আলিফ হত্যা মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন রিপন দাশ, রাজিব ভট্টাচার্য, আমান দাশ, বিশাল দাশ। তাদের মধ্যে রিপন দাশের ৫ দিন এবং বাকিদের ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যা মামলার আসামিদের বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে চার আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হয়। আদালত চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময় দাসের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হলসংলগ্ন এলাকায় চিন্ময় দাসের কয়েকজন অনুসারী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আলিফের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।

অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমান-মামুনের সাজা স্থগিত

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমান-মামুনের সাজা স্থগিত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান- ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন। আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদেরকে আপিলের সার সংক্ষেপ দিতে বলেছেন।

তিনি বলেন, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাত বছরের দণ্ড স্থগিত করেছেন। এই মামলায় দুইজন আসামি। দুইজনের ক্ষেত্রেই সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

কায়সার কামাল বলেন, বিচারিক আদালতে তারেক রহমান খালাস পেলেও উচ্চ আদালতে তাকে সাজা দেওয়া হয়। এরূপ দৃষ্টান্ত বিচার ব্যবস্থায় বিরল। আমরা হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করি। আজ আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে পক্ষদ্বয়কে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্টের সাজাও স্থগিত করেছেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে অভিযোগপত্রের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অ্যাজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই  তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। আজ এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।

অমিয়/

দুর্নীতির অভিযোগের রিট খারিজ অর্ধশত বিচারকের

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
দুর্নীতির অভিযোগের রিট খারিজ অর্ধশত বিচারকের
খবরের কাগজ ফাইল

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ’ বিষয়ে অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে আনা রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের  ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী এডভোকেট আমিমুল এহসান জোবায়ের এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

এর আগে ১৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে  'অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আইন সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের। পরে রিটের শুনানি শেষে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। 

মেহেদী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });