নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চর এলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের সাত নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক সৈয়দ মো. ফখরুল আবেদীন তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের মো. আনিছুল হক (৬৫), চরএলাহী ইউনিয়নের মো. ইমন প্রকাশ (২৫), মো. আবদুল্লাহ (৫৯), বেলাল প্রকাশ নুরনবী (৪৫), হুমায়ন কবীর (৪৫), সাইফুল (৩৮) এবং নুরুল আফসার বাইরন (৪০)।
এর মধ্যে আনিছুল হক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, ইমন প্রকাশ চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সভাপতি, মো. আবদুল্লাহ ইমনের বড় ভাই, বেলাল প্রকাশ নুরনবী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি, হুমায়ন কবীর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাইফুল ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নুরুল আফসার ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
আদালতের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. শাহ আলম বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষে মঙ্গলবার নিম্ন আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।’
এদিকে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আবদুল মতিন তোতার সমর্থকরা আদালতের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকসহ অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতাকে চরএলাহী বাজারে আসামিরা কুপিয়ে জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
গত ২ সেপ্টেম্বর নিহত তোতার ছেলে ইসমাইল বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী ফৌজুল আজীম বলেন, ‘মামলার পর আসামিরা সবাই পলাতক থাকায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’
ইকবাল/নাবিল/সালমান/