আইনবহির্ভূতভাবে অপসারণের অভিযোগ এনে হাইকোর্টে একটি রিট করেছেন সাবেক পৌর কাউন্সিলররা। সম্প্রতি তাদের পক্ষে বাংলাদেশ পৌর কাউন্সিলর অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ এ রিট করেন।
রিটের বিষয়ে জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘পুরোপুরি আইনবহির্ভূতভাবে আমাদের অপসারণ করা হয়েছে। সরকারি বিধান অনুযায়ী তিনটি মাসিক সভা বা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হলে জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করার বিধান রয়েছে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে কোনো নিয়ম না মেনেই আমাদের অপসারণ করা হয়েছে। আমরা আবার স্বপদে ফিরে জনসেবা করতে চাই।’
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর স্থবির হয়ে পড়ে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা। বিশেষ করে পৌরসভার কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনীয় সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া কাউন্সিলররা না থাকায় টিসিবি পণ্য বিতরণেও হচ্ছে নানা অনিয়ম। আগে টিসিবি পণ্য বিতরণের জন্য কাউন্সিলররা ওয়ার্ডের কার্ডধারীদের জানাতেন। বর্তমানে ওয়ার্ডের অনেক কার্ডধারী জানতে পারছেন না, কোন দিন টিসিবি পণ্য বিতরণ করা হবে।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, লোকবলসংকটসহ নানা কারণে নাগরিক সেবা দিতে বিলম্ব হচ্ছে। ওয়ার্ডের নাগরিকদের তথ্য যাচাই করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। পূর্বে তথ্য যাচাইকারী হিসেবে কাউন্সিলররা স্বাক্ষর করলেও এখন সেটি আঞ্চলিক নির্বাহীদের দিয়ে করাতে হচ্ছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে ১২ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে আলাদা প্রজ্ঞাপনে দেশের ৩২৩টি পৌরসভার কাউন্সিলরদেরও অপসারণ করা হয়। ১৯ আগস্ট এসব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়েছিল। তখন ১২টি সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার। এদিকে তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া বাকি ৬১টি জেলা পরিষদের সদস্যদেরও অপসারণ করা হয়েছে।
এলিস/এমএ/