ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নোটিশ
সুপ্রিম কোর্ট

ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ-ব্লক করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকে এই আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইসিটি বিভাগের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, ‘রিপাবলিক বাংলা’ একটি ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এই চ্যানেল স্যাটেলাইট সম্প্রচারের পাশাপাশি তাদের নিউজ, কন্টেন্টসমূহ ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা প্রচার করে যাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা নিরন্তনভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, এ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিডিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এছাড়া এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।

আইনি নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া, বাংলাদেশের জননিরাপত্তার স্বার্থে এ বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সব নিউজ, কন্টেন্ট বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নিষিদ্ধ ও ব্লক করে দিতে হবে।

নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ-ব্লক করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হবে।

এলিস/জোবাইদা/অমিয়/

সাবেক আইজিপি বেনজীরের ‘ক্যাশিয়ার’ জসিমের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
সাবেক আইজিপি বেনজীরের ‘ক্যাশিয়ার’ জসিমের জামিন নামঞ্জুর
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত এই নির্দেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় মো. দুর্জয় আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় এ নির্দেশ দেন আদালত। 

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ‘ক্যাশিয়ার’ হিসেবে পরিচিত জসিমের আইনজীবী শুনানিতে জামিন আবেদন করেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদেশ দেন আদালত।

অর্থপাচার মামলায় খালাস গিয়াস উদ্দিন মামুন

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
অর্থপাচার মামলায় খালাস গিয়াস উদ্দিন মামুন
৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

অর্থপাচার মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের ৭ বছরের দেওয়া কারাদণ্ডের রায় বাতিল করে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আাইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

অর্থপাচারের অভিযোগে গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে দুদক। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী নেদারল্যান্ডের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের প্রতিনিধি ছিলেন।

প্রতিষ্ঠানটি রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরণের টেন্ডার পেলেও ২০০৩ সালে কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় গিয়াস উদ্দিন ওই কাজের বিপরীতে তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। অন্যথায় কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন তিনি।

পরে শাহজাদ আলী ২০০৪ সালে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা মামুনের লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে জমা করেন।

এই মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন। এ ছাড়া তাকে ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

রায়টিতে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকের হিসাবে থাকা অর্থ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন গিয়াস। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ (বৃহস্পতিবার) রায় দেন হাইকোর্ট।

এর আগে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন গিয়াস। চলতি বছরের ৬ আগস্ট তিনি কারামুক্ত হন।

এলিস/নাইমুর/পপি/

কয়েকজন বিচারপতির অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
কয়েকজন বিচারপতির অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে: সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বর্তমানে বেশ কয়েকজন বিচারপতির আচরণের বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

এর আগে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তদন্ত করেছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, বিচারপতির ব্যাপারে এই অনুসন্ধানকাজে এরই মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে।

১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেওয়া হয় সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ষোড়শ সংশোধনীতে সেটা বাতিল করে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয় সংসদকে। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

সংবিধানের এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। পরে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। গত ২০ অক্টোবর সেই রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়।

পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল আবেদনের রায় ১৭ ডিসেম্বর

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ এএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল আবেদনের রায় ১৭ ডিসেম্বর

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে রিটে করা রুলের ওপর শুনানি শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। 

এ সংক্রান্ত পৃথক রিটের ওপর গতকাল দ্বাদশ দিনে শুনানি শেষ হয়।

রিটের রুল শুনানিতে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া। 

বিএনপির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। 

জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। ইনসানিয়াত বিপ্লব দলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুর রউফ ও ইশরাত হাসান। 

এছাড়া রুল শুনানিতে পক্ষভুক্ত হওয়া সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জুনায়েদ আহমেদ চৌধুরী।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়।

ওই রুলে ইন্টারভেনার (আদালতকে সহায়তা করতে) হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গণফোরাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, সংস্থা, ব্যক্তিসহ বেশ কয়েকজন যুক্ত হন।

শুনানিতে রিট আবেদনকারী, বিএনপি, রাষ্ট্রপক্ষ, জামায়াত, গণফোরাম, ব্যক্তি ও সংস্থার পক্ষে তাদের আইনজীবীরা শুনানিতে স্ব স্ব বক্তব্য তুলে ধরেন।

গত অক্টোবরে পঞ্চদশ সংশোধনী আইনের ১৭টি ধারার বৈধতা নিয়ে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন একটি রিট আবেদন করেন। এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৯ অক্টোবর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল দেন। রুলে আইনের ওই ধারাগুলো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয়। এই রুলের ওপরও শুনানি হয়।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপের পাশাপাশি জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। 

অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে দোষী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও যুক্ত করা হয়। আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।

নাইমুর/অমিয়/

আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ এএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার
ছবি: সংগৃহীত

আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে ২ ডিসেম্বর এই মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখান। তাদেরকে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ।

২৯ নভেম্বর আলিফ হত্যার ঘটনায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দীন বাদী হয়ে বান্ডেল রোড সেবক কলোনি এলাকার বাসিন্দা চন্দন, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত, রুমিত দাশ, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, বিশাল, রাজকাপুর, লালা, সামির, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, দুর্লভ দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। 

এ ছাড়া অপর একটি মামলা করেন আলিফের ভাই। 

গত ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।


মেহেদী/অমিয়/