ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শিশু মুনতাহা হত্যাকাণ্ড : রিমান্ডে ৪ আসামি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
শিশু মুনতাহা হত্যাকাণ্ড : রিমান্ডে ৪ আসামি
সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে আসামিদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি : খবরের কাগজ

সিলেটে গৃহশিক্ষকের ক্ষোভ থেকেই শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৫) হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছে পুলিশ। আলোচিত এই হত্যার পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না, তা উদঘাটনে গ্রেপ্তার চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন জিহাদ ভূঁইয়া চার আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মো. আবু জাহের বাদল পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

সিলেটের কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালিক, মো. আশিক উদ্দিন, খায়রুল আলম বকুল ও রাজন দেব। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শহীদুল ইসলাম।

গতকাল রবিবার (১০ নভেম্বর) নিখোঁজের সাত দিন পর সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নিখোঁজ শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ভোর ৪টার দিকে তাদের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ডোবা থেকে মুনতাহার লাশ সরানোর সময় প্রতিবেশী আলিফজানকে (৫৫) হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনতা। এরপর অভিযুক্ত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরা হচ্ছেন মুনতাহার গৃহশিক্ষক শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), ইসলাম উদ্দিন (৪০), নাজমা বেগম (৩৫)। চারজনকে সোমবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা আক্তার জেরিন ৩ নভেম্বর বেলা ৩টার দিকে নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান না পেয়ে ওই দিন রাতে কানাইঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মুনতাহার বাবা। এরপর স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে মুনতাহার সন্ধান চেয়ে ছবিসহ তথ্যাবলি প্রকাশ করা হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। মুনতাহার সন্ধান না পেয়ে তার বাবা শামীম আহমদ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মুনতাহাকে অপহরণ করেছে বলে কানাইঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, মামলার পরই রবিবার রাতে সন্দেহমূলকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশু মুনতাহার গৃহশিক্ষক ও প্রতিবেশী শামীমা বেগম মার্জিয়াকে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে মার্জিয়ার বাড়িতে মুনতাহার সন্ধানে তল্লাশি চালান স্থানীয়রা। ভোর ৪টার দিকে মার্জিয়ার বাড়ির আশপাশে তল্লাশি চালানোর একপর্যায়ে মার্জিয়ার মা আলিফজান বিবিকে অন্ধকারের মধ্যে রাস্তা পার হয়ে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে আসতে দেখেন মুনতাহার স্বজনরা। এ সময় তাকে আটকাতে চাইলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা গিয়ে কাদামাটি মাখা মুনতাহার লাশ দেখতে পান। এ সময় মার্জিয়ার মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মুনতাহাকে হত্যার অভিযোগে রবিবার কানাইঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, গৃহশিক্ষকতা থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষোভে মার্জিয়া এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ কথা মার্জিয়া নিজেও পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তবে ঘটনার কারণ ও বিস্তারিত মার্জিয়া আদালতে বলবেন বলে জানানোয় হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সেটিও আলোচনায় এসেছে।

সিলেটের কোর্ট ইন্সপেক্টর জামসেদ আলম খবরের কাগজকে বলেন, ‘হত্যার কারণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত আর কেউ আছে কি না, এসব বিষয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা চাওয়ামাত্র রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’ 

এদিকে নিখোঁজ মেয়ের লাশ পাওয়ার পর থেকে মুনতাহার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। মুনতাহা নিখোঁজের পর এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছিল শুধু মুনতাহার ছবি আর তাকে ফিরে পাওয়ার আকুতি। তুচ্ছ কারণকে কেন্দ্র করে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডে হতবাক সিলেটসহ গোটা দেশের মানুষ। মুনতাহার প্রবাসী ভাই ও আত্মীয়রা মুনতাহার মৃত্যুতে তাদের কষ্টের কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন। দেশ ও প্রবাসে অনেকেই ছোট্ট মুনতাহার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মানুষের নিষ্ঠুরতার কারণে। অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।



শমী কায়সারের জামিন স্থগিত

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
শমী কায়সারের জামিন স্থগিত
শমী কায়সার

হত্যাচেষ্টার ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত জামিন স্থগিত করেন। 

এ সময় তিনি বিষয়টি ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আহসানুল করিম।

গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা হয়। ওই ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। সে মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অমিয়/

নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হকসহ ৯ জন

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আনিসুল হকসহ ৯ জন
সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৯ জনকে রাজধানীর ছয় থানার পৃথক আটটি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমানের আদালত এ নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক বিমানমন্ত্রী (অব.) লেফট্যানেন্ট কর্নেল ফারুক খান, ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান ওমর, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটু, সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী।

জানা যায়, বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তাদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর-১৩র নিউ মডেল কলেজের সামনে রাব্বি মাতবর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আনিসুল হক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও জিয়াউল আহসান, ২৩ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর নাসির হোসেন হত্যা মামলায় আনিসুল হক, ২০১৫ সালে রাজধানীর মতিঝিলে মেয়রের নির্বাচনের প্রচারণার সময়ে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পারবেজ মিয়া হত্যা মামলায় শমসের মবিন, এবং রাজধানীর বনানীর মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকায় গুলি করে হত্যাচেষ্টার মামলায় শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় পাঁচ আগস্ট আল আমিন হত্যা মামলায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিটু, নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাবেক সচিব মহিবুল হক ও পিপলস পার্টির বাবুল সরচার চাখারী এবং রাজধানীর কাফরুল থানাধীন পুলিশ স্টাফ কলেজের বিপরীতে পাঁচ আগস্ট আব্দুল হান্নান হত্যায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মাহমুদুল আলম/মেহেদী/এমএ/

আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আলমগীর হোসেন এ রিমান্ডের আদেশ দেন। 

আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন। 

আদালত সূত্র জানায়, আলিফ হত্যা মামলায় রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন রিপন দাশ, রাজিব ভট্টাচার্য, আমান দাশ, বিশাল দাশ। তাদের মধ্যে রিপন দাশের ৫ দিন এবং বাকিদের ৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, আলিফ হত্যা মামলার আসামিদের বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়। পরে চার আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। 

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হয়। আদালত চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় চিন্ময় দাসের অনুসারীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হলসংলগ্ন এলাকায় চিন্ময় দাসের কয়েকজন অনুসারী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আলিফের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন।

অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমান-মামুনের সাজা স্থগিত

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৪ পিএম
অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমান-মামুনের সাজা স্থগিত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান- ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন

অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় সন্তান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার ইমেজকে ক্ষুণ্ন করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় সাত বছরের সাজা দিয়েছিলেন। আজকে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আমাদের লিভ দিয়েছেন (আপিলের জন্য অনুমতি)। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদক ও আমাদেরকে আপিলের সার সংক্ষেপ দিতে বলেছেন।

তিনি বলেন, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, সাত বছরের দণ্ড স্থগিত করেছেন। এই মামলায় দুইজন আসামি। দুইজনের ক্ষেত্রেই সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

কায়সার কামাল বলেন, বিচারিক আদালতে তারেক রহমান খালাস পেলেও উচ্চ আদালতে তাকে সাজা দেওয়া হয়। এরূপ দৃষ্টান্ত বিচার ব্যবস্থায় বিরল। আমরা হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতির আবেদন (লিভ টু আপিল) দায়ের করি। আজ আপিল বিভাগ লিভ মঞ্জুর (আপিলের অনুমতি) করে আদেশ দেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে পক্ষদ্বয়কে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি হাইকোর্টের সাজাও স্থগিত করেছেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে অভিযোগপত্রের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) অ্যাজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়।

এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এ মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।

এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই  তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। আজ এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।

অমিয়/

দুর্নীতির অভিযোগের রিট খারিজ অর্ধশত বিচারকের

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
দুর্নীতির অভিযোগের রিট খারিজ অর্ধশত বিচারকের
খবরের কাগজ ফাইল

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘অবিশ্বাস্য সম্পদ’ বিষয়ে অধস্তন আদালতের প্রায় অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে আনা রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের  ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ সময় রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী এডভোকেট আমিমুল এহসান জোবায়ের এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

এর আগে ১৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে  'অবিশ্বাস্য সম্পদ অর্ধশত বিচারক-কর্মকর্তার' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আইন সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আমিমুল এহসান জুবায়ের। পরে রিটের শুনানি শেষে খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। 

মেহেদী

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });