বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অতি শীঘ্রই লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের রুটিন ভেটিং সাপেক্ষে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত হবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পরই দেশের বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে আইন উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এবং দেশের জেলা আদালতগুলোর বিচারকদের সামনে বিচার বিভাগ আধুনিকায়নের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।’
রোডম্যাপে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের জন্য একটি স্বাধীন জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠন করার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের বিষয়ে অন্তবর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পাশাপাশি গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও প্রথাসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিষদ গবেষণা করে একটি প্রস্তাব আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কার রোডম্যাপের এরকম পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন দেশে বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হয়েছে।
মাহমুদুল আলম/সুমন/এমএ/