
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, তার স্ত্রী গুলশান আরা মিয়া, ছেলে ইভান সোবহান মিয়া ও মেয়ে আনিশা গোলাপ মিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তার স্ত্রীর সাঈদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
আবদুস সোবহান গোলাপ ও তার স্ত্রী–সন্তানদের নামে থাকা সম্পদ ক্রোকের তালিকায় আছে মিরপুরের একটি পাঁচতলা বাড়ি। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আটটি হচ্ছে সিঙ্গেল রেসিডেনসিয়াল কন্ডো ইউনিট। আরেকটি হচ্ছে ডুয়েল ফ্যামিলি ইউনিট। এর বাইরে আবদুস সোবহান গোলাপ, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের করা আবেদনে বলা হয়েছে, আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচার, বাড়ি ও ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। আবদুস সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আবদুস সোবহান গত বছরের ২৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
সাবেক রেলমন্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ব্রীজ
এদিকে, সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও ছেলে আশিক মাহমুদের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা আছে ১৪ কোটি ২৫ লাখ। অনিয়মের মাধ্যমে সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
তার ১৯টি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে জমা আছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রী সাঈদা হাকিমের ৬টি ব্যাংক হিসাবে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জমা আছে।
এ ছাড়া তার ছেলে আশিক মাহমুদের একটি ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা আছে।
এমএ/