
সিলেট গ্যাসফিল্ডের তেল পরিবহনে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারদের দিয়ে তেন পরিবহণ বন্ধ রেখে নতুন করে তেল পরিবহনের জন্য দরপত্র আহ্বানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই নতুন দরপত্র আহ্বান না করতে সিলেট গ্যাসফিল্ড জ্বালানি পরিবহন মালিক সমিতি সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি
দিয়েছে। পাশাপাশি এই দরপত্র আহ্বান বন্ধে হাইকোর্টে রিট করেছেন সিলেট গ্যাসফিল্ড জ্বালানি পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।
গত ১৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
এর আগে ২০২৩ সালে ও এরকম একটি দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি নেওয়া হলে সেটির বিরুদ্ধে ও সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের এমডি বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছিল তেল পরিবহন মালিক সমিতি। এরপর গত ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করা হয়
সিলেট গ্যাসফিল্ডের জ্বালানি তেল পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক মো. নাজমুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ২০২০ সালে সিলেটের ২১টি পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তেল পরিবহনের জন্য নিবন্ধিত হয়। এতে ৪১৩টি গাড়ি নিবন্ধিত হয়। কিন্তু তেল পরিবহনের জন্য প্রতিদিন ১৬০টি গাড়ি প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত দুই শতাধিক গাড়ি বসে থাকে। এই পরিস্থিতিতে নতুনভাবে পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড।
স্মারকলিপিতে নতুন দরপত্র আহ্বান না করে চুক্তিবদ্ধ ঠিকাদারদের দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালেও এরকম একটি দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি নেওয়া হলে সেটির বিরুদ্ধে ও সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের এমডি বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছিল তেল পরিবহন মালিক সমিতি। কিন্তু এসবে কোনো কাজ না হওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
বার বার একই পদ্ধতিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি সংস্থাটিকে বিতর্কিত করার কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে প্রতিদিন ১৬০টি গাড়ি তেল পরিবহনের জন্য প্রয়োজন হয় সেখানে ৪১৩টি গাড়ি নিবন্ধনভুক্ত করে ইতোমধ্যে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় করা হচ্ছে। আবার নতুন গাড়ি নিবন্ধন দিয়ে এই অপচয় আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি চাহিদার চেয়ে বেশি গাড়ি নিবন্ধনভুক্ত হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কম্পিটিশন বাড়বে। তখন তেলে ভেজালসহ নানা অনিয়ম বাড়বে। রাষ্ট্রের অপচয় রোধে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের
দাবি।
এ বিষয়ে রশিদপুর গ্যাসফিল্ড লিমিটেডের এমডি আলমগীর আজাদ বলেন, তেল পরিবহন মালিক সমিতি প্রদত্ত স্মারকলিপির আলোকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোনো আদেশ আমরা পাইনি। তাছাড়া এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
সিলেট গ্যাসফিল্ডস লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, জ্বালানি তেল পরিবহন মালিক সমিতি স্মারকলিপি দিয়েছিল। তারা আবার হাইকোর্টে রিট করেছে। এই রিটের প্রেক্ষিতে আপাতত ছয় মাসের জন্য বিষয়টি স্থগিত রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
মেহেদী/অমিয়