
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল ও শেয়ারবাজার থেকে ৮০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল অভিযোগের অনুসন্ধান করছে।’
গত ৭ জানুয়ারি নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ ও তার ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সরাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাটসহ প্লট ও জমি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। গত বছরের ৭ অক্টোবর নাফিজ সরাফাতের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) নাফিজ সরাফাত, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ব্যক্তিগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করতে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্দেশনা পাঠায়।
দুদকের পক্ষে আদালতকে জানানো হয়েছে, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অর্থ পাচার করে দুবাইয়ে সম্পদ কিনেছেন। তিনি দুবাইয়ে তিন বেডের (শয়নকক্ষ) একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। পাঁচ বেডের একটি ভিলাও রয়েছে তার।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে আরও জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের বিদেশে অর্থ পাঠানোর সুযোগ নেই। কিন্তু চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন না নিয়ে অর্থ পাচার করেছেন। তার আয়কর বিবরণীতেও দুবাইয়ে থাকা সম্পদের তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।