ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

আওয়ামী প্যানেলের ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
আওয়ামী প্যানেলের ১৪৪ আইনজীবীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিভিন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত সাদা প্যানেলের ১৪৪ জন আইনজীবীকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হামলা, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার এই মামলা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এই মামলার আসামি। মামলায় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

বিএনপিপন্থি আইনজীবী হিসেবে আদালত অঙ্গনে পরিচিত মোহাম্মদ আলী বাবু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে তা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামির মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগর, সমিতির সাবেক তথ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন (জেসি), সমিতির সাবেক সদস্য শেখ হেমায়েত হোসেন, মোখলেসুর রহমান বাদল, সাইদুর রহমান মানিক, গাজী শাহ আলম, আব্দুল বাতেন, আসাদুজ্জামান খান রচি, সানজিদা খানম, মাহবুবুর রহমান, আব্দুর রহমান হাওলাদার, মিজানুর রহমান মামুন, আনোয়ার সাহাদাৎ শাওন, ফিরোজুর রহমান মন্টু, গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, মো. নুর হোসেন, তাছলিমা ইয়াসমিন দিপা, নজরুল ইসলাম শামীম, ওমর ফারুক আসিফ প্রমুখ।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ভুক্তভোগী আইনজীবী মামলার শুনানি শেষ করে এ সময় ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে হত্যার উদ্দেশে তার দিকে পিস্তল তাক করেন। 

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের ধারা চ্যালেঞ্জ করে রিট
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। 

রবিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেন। এতে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (আইন ও বিচার বিভাগের) সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০০৯-এর কয়েকটি ধারা ও বিধি এবং নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকাশিত গণবিজ্ঞপ্তির ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে এই রিট করা হয়।

রিটে আইন, বিধি ও গত ১০ মার্চ জারি করা নির্বাচন কমিশেনের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত চাওয়া হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের ৯০ ধারার বি (১), (৩) উপধারায় উল্লেখ আছে এক তৃতীয়াংশ জেলা কমিটি থাকতে হবে এবং একশ উপজেলায় কমিটি থাকতে হবে- রিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কারণ এ বিষয়গুলো সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৩৫, ৩৬ এবং ৩৭ সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তা ছাড়াও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২-এর পরিপন্থি। 

এ ছাড়া রিটে নির্বাচন কমিশনের (ইসির) জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির ধারা (ই) এর দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর, অন্যূন এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দপ্তর এবং অন্যূন ১০০টি উপজেলা বা ক্ষেত্রমতো মেট্রোপলিটন থানায় কার্যকর দপ্তর এবং উক্তরূপ প্রতি উপজেলায় বা ক্ষেত্রমতো থানায় অন্যূন ২০০ ভোটার সদস্য হিসেবে দলের তালিকাভুক্ত থাকার প্রামাণিক দলিল চাওয়ার বিষয়টিও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

আইনজীবী আরও বলেন, এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার  একটি দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের আহ্বায়কের জামিন

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেটের আহ্বায়কের জামিন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক আক্তার হোসেন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (বৈছাআ) সিলেট জেলা শাখার আহ্বায়ক আক্তার হোসেনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক ছগির আহমদ জামিন মঞ্জুর করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ও সিলেট জেলা বারের সদস্য অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট জেলার আহ্বায়ক আক্তার হোসেনকে আজ সিলেট আদালতে হাজির করা হয়। দুপুরে শুনানি না হওয়ায় আসামিকে আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিকেলে শুনানিকালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেন। এখন আসামির মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।’

এর আগে, রবিবার ভোরে জালালাবাদ থানা-পুলিশ আক্তার হোসেনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মহিদ হাসান শান্তর করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গত শুক্রবার সিলেট মহানগরের আরামবাগ এলাকার একটি কনভেনশন হলে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এনসিপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতারের কিছু সময় আগে মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। ঠিক ওই সময় মঞ্চের সামনের আসন ইস্যু এবং বক্তৃতা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণের সময় ডিবিসি নিউজ, সিলেট ভিউ, খবরের কাগজ, ঢাকা পোস্টের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান।

এ ঘটনায় সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন এবং কনভেনশন সেন্টারের পাশের একটি ছোট রেঁস্তোরায় ইফতার করেন। এ ছাড়া ছাত্রদের একটি পক্ষ ইফতার না করে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ করে দলের নেতা-কর্মীদের গালিগালাজ করেন। ইফতারের পর আবারও দুপক্ষের হট্টগোল ও মারামারিতে আহত হন মহিদ হাসান শান্ত নামে ওই শিক্ষার্থী।

শাকিলা/সালমান/

আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে: চিফ প্রসিকিউটর
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সাভারের আশুলিয়ায় ছয়টি লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রবিবার (২৩ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি আজ এ কথা জানান।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, একটি মামলার (আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর)  তদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে চলে এসেছে। এছাড়া বাকি তিন থেকে চারটি মামলার তদন্ত ফিনিশিং টাচ চলছে। আশা করি ঈদের পরপরই এই রিপোর্টগুলো আমাদের হাতে চলে আসবে। রিপোর্টগুলো আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করব। চার্জ গঠনের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে।

লাশ পোড়ানোর নৃশংস ঘটনার বিষয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর চিফ প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত ছিলেন। জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।

এদিকে, লাশ পোড়ানোর ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দুটি অভিযোগ করা হয়। দুটি অভিযোগই অভিন্ন হওয়ায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এ মামলায় সাইফুল ইসলাম পলাতক থাকলেও ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এ এফ এম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক এবং কনস্টেবল মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালকের ১৩ বছরের কারাদণ্ড
আদালতে গাড়িচালক আব্দুল মালেক। ছবি: সংগৃহীত

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বরখাস্ত গাড়িচালক আব্দুল মালেকের ১৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা জরিমানার আদেশও দেওয়া হয়।

রবিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন আসামির উপস্থিতিতে দুদকের পৃথক দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, এর ২৬(২) ধারায় তার তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার একলাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, এর ২৭(১) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার একলাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। রায়ে বিচারক দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে উল্লেখ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুর রহমান।

এর আগে ২০২১ সালোর ১৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরখাস্ত গাড়িচালক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। একইসঙ্গে মিথ্যা বা ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদানসহ অসাধু উপায়ে এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ও তা ভোগদখল করেছেন। এ কারণে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।

এদিকে মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগদখলে রাখার অভিযোগে করা আরেক মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক জাকারিয়া হোসেনের আদালত ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।

২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, জাল টাকাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন মালেক। পরে তার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দুটি ধারায় তাকে ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালত। সূত্র: বাসস

মেহেদী/

চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি ঈদের পর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:২৯ পিএম
চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি ঈদের পর
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পতাকা অবমাননা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেপ্তার সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ঈদের পর শুনবেন হাইকোর্ট। ঈদের ছুটির পরে এ রুলের শুনানি হবে। 

রবিবার (২৩ মার্চ) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য খবরের কাগজকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ সময় নির্ধারণ করেছেন।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।

রবিবার দুপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য খবরের কাগজকে বলেন, 'ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। ২০ এপ্রিল থেকে কোর্ট খোলা থাকবে। ঈদের পর প্রথম বুধবার এটার শুনানি হতে পারে।' 

গত বছরের ২৫ অক্টোবর চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের একটি বড় সমাবেশ হয়। এর কয়েক দিন পর গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময়সহ ১৮ জনকে আসামি করে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।

এর পর ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওই আদেশ দেন। এ সময় চিন্ময়ের অনুসারীরা তাকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি আটকে দিয়ে কয়েকঘণ্টা টানা বিক্ষোভ করেন। সেদিন চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে সরাতে টিয়ারশেল ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন বিকেলে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে আদালতের অদূরে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর পর থেকেই কারাগারে আছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। গত ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন চিন্ময় দাস।


মনির/মেহেদী/