ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ ছয়জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এসব আদেশ দেন। 

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা পৃথক আবেদন দাখিল করে নিষেধাজ্ঞা ও নথি জব্দের আদেশ চান।

আয়কর নথি জব্দ হওয়া অন্যরা হলেন জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেক, নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, কোয়ালিটি মিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম ও সাবেক কানুনগো আবুল হোসেন।

এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান। আবেদনে বলা হয়েছে, এস এম পারভেজ তমাল এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান পদে থেকে অন্যদের যোগসাজশে শেয়ারবাজারে কারসাজি এবং অন্য অপরাধের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ও মানি লন্ডারিং করেছেন। তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তার বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন।

জাহিদ মালেকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিনি একজন আয়করদাতা। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পূর্ণাঙ্গ আয়কর নথি জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন। তার ছেলে রাহাত মালেকের নথি জব্দের আবেদনে একই কথা বলা হয়েছে।

নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিন মেয়েসহ নাঈমুল ইসলাম খান ও নাসিমা খান মন্টির নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন এবং বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। এসব অর্থ অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে এসে মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ)।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য্য করেছেন। 

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। 

শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে এটির রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রয়েছে।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন।হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। পরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মেহেদী/

ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটভুক্ত পদে নিয়োগ দানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীন ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নিয়োগের বিষয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি ফাহমিদা কাদির ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আফজালুর রহমান নামে এক ব্যক্তির রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তার আইনজীবী আনোয়ার সাদাত এসব তথ্য জানান।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৮ ও ১৯৯৪ সালের প্রকাশিত সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সব ধরনের চাকরিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দশম গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এমনকি সরকারের প্রজ্ঞাপনকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড তাদের ইচ্ছামাফিক গ্রেডিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যা রাষ্ট্রের আইন ও বিধির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন বলে মনে করি।

মাগুরার শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৩ পিএম
মাগুরার শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মাগুরায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির বোন ও পরিবারের সদস্যদের জবাবদিহিমূলক সাক্ষাতের সব ভিডিও অপসারণ চেয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে এসব ভিডিও অপসারণ চেয়ে এ নোটিশ পাঠানো হয়। এতে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে ই-মেইলে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিগত ৯ মার্চ এ বিষয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বেশ কিছু আদেশ দেন। সেসব আদেশে শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকরণ সব বিষয়াদি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন। এ ছাড়াও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধানিষেধ সত্ত্বেও তা (১৪ ধারা) ভঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন। 

আদালত এ সময় মন্তব্য করেন, ‘শিশুটির বোনও একজন শিশু। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৪ ধারা অমান্যে যে শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। তাই আদালত তার অপর আদেশে ভুক্তভোগী শিশু ও তার ১৪ বছর বয়সী বড় বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এ জন্য ঢাকা ও মাগুরা জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে আদেশ দেওয়া হয়।’

‘অথচ আইনের বিধিনিষেধ এবং হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও যশোরের এক নারী বাইকার কর্তৃক পরিচালিত ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিও ধারণের মাধ্যমে শিশুটির বড় বোনের কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া ও ঘটনার সত্য-মিথ্যা বিষয়ে জবাবদিহিমূলক ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনায় একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং তা দেখে উৎসুক জনতাও ভিডিও ধারণে উৎসাহী হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারটিকে নতুন করে ভিকটিমাইজ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।’

তাই ওই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব ভিডিওসহ শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়- এমন সব ভিডিও-পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে ‘আমরাও মানুষ’ পেইজ-চ্যানেল থেকে প্রচারিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও শিশুটির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াবার জন্য দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে নোটিশদাতা উপযুক্ত আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী মায়া ও বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫২ পিএম
স্ত্রীসহ সাবেক মন্ত্রী মায়া ও বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও বিজিবির সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম

সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, তার স্ত্রী পারভীন চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের। 

এদিকে, ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের ২১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছে। হিসাবগুলোর মধ্যে মিসেস ফেরদৌসী খানের ১৪টি, সাদেক খানের ৫টি ও ফাহিম সাদেক খানের ২টি। এসব হিসাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব পৃথক আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক কর্মকর্তার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এসব আদেশ দেন। 

মায়া ও তার স্ত্রী এবং বিজিবির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাফিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সোমা ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার। সাদেক খান, তার স্ত্রী ও পুত্রের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক কে এম মর্তুজা আলী সাগর।

মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিজিবির মহাপরিচালক ছিলেন।

সুব্রত বৈদ্য হত্যার আসামিরা খালাস, হতাশ নিহতের পরিবার

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৫ পিএম
সুব্রত বৈদ্য হত্যার আসামিরা খালাস, হতাশ নিহতের পরিবার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

১৩ বছর আগে রাজধানীর মিরপুরের একটি গির্জায় মিরপুর বাংলা কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী সুব্রত বৈদ্য হত্যা মামলার আসামিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ (বিশেষ দায়রা জজ)-এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারেনি। আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রিমান্ডে নেওয়ার পর দিয়েছেন। নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।’

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন রিপন দাস, শিমন শিকদার ও প্রভুদান বাড়ৈ। রায় ঘোষণার সময় রিপন দাস ও শিমন শিকদারকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এই মামলার দায় থেকে অবিলম্বে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেন আদালত। অপর আসামি প্রভুদান বাড়ৈ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে আদালতের এ রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন সুব্রত বৈদ্যর পরিবারের সদস্যরা। এ রায় তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। 

রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী সুবর্ণা বৈদ্যের স্বামী দুলাল গাইন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এ রায় আমরা মানি না। আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা খালাসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করব।’ 

আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ রায় দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল ফারুক। 

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘এটা প্রভাবিত রায়। যেখানে আসামিরা স্বীকারোক্তি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন সেখানে তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায় মেনে নেওয়া যায় না।’ মক্কেলের সঙ্গে পরামর্শ করে হাইকোর্টে আপিল করবেন বলে জানান তিনি।