
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানসহ ছয়জনের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এসব আদেশ দেন।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা পৃথক আবেদন দাখিল করে নিষেধাজ্ঞা ও নথি জব্দের আদেশ চান।
আয়কর নথি জব্দ হওয়া অন্যরা হলেন জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেক, নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, কোয়ালিটি মিল্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম ও সাবেক কানুনগো আবুল হোসেন।
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান। আবেদনে বলা হয়েছে, এস এম পারভেজ তমাল এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান পদে থেকে অন্যদের যোগসাজশে শেয়ারবাজারে কারসাজি এবং অন্য অপরাধের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন ও মানি লন্ডারিং করেছেন। তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তার বিদেশে যেতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন।
জাহিদ মালেকের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিনি একজন আয়করদাতা। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার পূর্ণাঙ্গ আয়কর নথি জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন। তার ছেলে রাহাত মালেকের নথি জব্দের আবেদনে একই কথা বলা হয়েছে।
নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রীর আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিন মেয়েসহ নাঈমুল ইসলাম খান ও নাসিমা খান মন্টির নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা, ৩৭৯ কোটি টাকা উত্তোলন এবং বর্তমানে ৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা স্থিতি রয়েছে। এসব অর্থ অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে এসে মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।
অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নাঈমুল ইসলাম খান ও তার স্ত্রী নাসিমা খান মন্টির আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।