ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণকারী শিক্ষক মুকিবসহ রিমান্ডে ৫

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৪ পিএম
ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণকারী শিক্ষক মুকিবসহ রিমান্ডে ৫
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কলেজশিক্ষক মুকিব মিয়াসহ পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। 

অন্যরা হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য কপিল হালদার সজল, মতিঝিল থানা যুবলীগের সদস্য কে এম সাইফুল খান, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য শেখ মোহাম্মদ হাফিজ ও নিষিদ্ধ সংগঠন হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুস সালাম লাভলু। 

এদিন রাজধানীর শাহবাগ থানার ওই মামলায় রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক কে এম রেজাউল করিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আসামিদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। 

এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আদালতে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আসামিরা লিফলেট বিতরণ করেন। মিছিল করে তাদের নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে জনগণের সম্মুখে কালো আইন বাতিল, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। তারা সংঘবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণ করেন। ওই ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করা হয়। 

নলছিটির সাবেক পিআইও বিজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
নলছিটির সাবেক পিআইও বিজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিজন কৃষ্ণ খরাতী

চেক ডিজঅনার মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) বিজন কৃষ্ণ খরাতীর (৪০) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 

রবিবার (১৬ মার্চ) ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিরাজুল ইসলাম রাসেল এ আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা শান্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, গত ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর নলছিটির মল্লিকপুর এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে বিজন কৃষ্ণের বিরুদ্ধে ১২ লাখ টাকার একটি চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওইদিনই আদালত আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। কিন্তু বিজন আদালতে হাজির না হওয়ায় আজ (রবিবার) তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

কামরুজ্জামান/পপি/

ঝালকাঠির সাবেক পিপি রসুল কারাগারে

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:১১ পিএম
ঝালকাঠির সাবেক পিপি রসুল কারাগারে
ঝালকাঠির সাবেক পিপি আব্দুল মান্নান রসুলকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), ঝালকাঠি বারের সাবেক সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান রসুলকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে ঝালকাঠি জজ আদালতে হাজির হলে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঝালকাঠি সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রহিবুল ইসলাম।

ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতিতে হামলা, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতে হামলার ঘটনায় মামলাসহ ছয়টি মামলার আসামি তিনি। 

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে পলাতক ছিল আওয়ামী লীগের এই নেতা। 

চার মামলায় আসামিপক্ষে আদালতে শুনানি করেন আওয়ামী লীগদলীয় আইনজীবী মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন কবির এবং সাবেক এপিপি বনি আমিন বাকলাই। আগামী ১৮ মার্চ একই আদালতে আসামির অন্য দুটি মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

আব্দুল মান্নান রসুলের জামিন নামঞ্জুরের পর গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপের সময় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মান্নান রসুল আইনজীবী হয়েও তিনি আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ২২ জন আইনজীবীর নামে মিথ্যা মামলা করেছিল। সেই মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তার পক্ষে আজ যে যে আইনজীবী শুনানিতে দাঁড়িয়েছে, তারা নীতি-নৈতিকতা হারিয়েছে।’

আওয়ামী দলীয় আইনজীবী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান রসুল ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা ১৫ বছর ঝালকাঠিতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর একক সিদ্ধান্তে ঝালকাঠিতে এই পদে অন্য কেউ আসতে পারেননি।

কামরুজ্জামান/পপি/

মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২১ পিএম
মুন্সীগঞ্জে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন
ছবি: খবরেের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্বামীকে 'মো. অলিউল্লাহ মোল্লা (৪২)' হত্যা মামলায় স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৩০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম জেলার শ্রীনগর উপজেলার হাষাড়া ঢালীপাড়া গ্রামের মো. নুরু খলিফার মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার পুঁটিমারা গ্রামের প্রবাসী অলিউল্লাহ তার স্ত্রী মাজেদা এবং ৩ সন্তান নিয়ে আলাদা বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। অলিউল্লাহ সৌদি আরবে প্রবাসে থাকতেন। মাঝে মধ্যে দেশের বাড়িতে আসতেন। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ছুটিতে তিনি দেশে আসেন। কিন্তু পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। ওই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘুমাতে যান অলিউল্লাহ। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ২ সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে চলে যায় স্ত্রী মাজেদা। এ অবস্থায় ওই দিনদুপুরে ভাই মো. আহসান উল্লাহ বাড়িতে এসে গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অলিউল্লাহকে ঘরের ভেতর দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অলিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আহসান উল্লাহ খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে স্ত্রী মাজেদা বেগম, শ্বশুর নুরু খলিফা, শ্যালক মো. হাবিব ও মো. মাসুমকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন। মামলার পর নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তী সময়ে এ মামলায় স্ত্রী মাজেদা বেগমকে একমাত্র অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল হালিম বলেন, ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।

মেহেদী/

আবরার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
আবরার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল
আবরার ফাহাদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন সাজা বহাল থাকছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে, শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায় এটি রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় আছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

২০১৯ সালে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ২০২১ সালে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গত ৬ আগস্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালান।

মেহেদী/

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৮ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় আগামীকাল রবিবার (১৬ মার্চ)।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্যে এ দিন ধার্য্য করেছেন। 

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। 

শনিবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে এটির রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রয়েছে।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন।হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। নিম্ন আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়। পরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

মেহেদী/