ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গোধূলির রেশমি চুড়ি

প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম
গোধূলির রেশমি চুড়ি
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

-- হ্যালো, তুমি কোথায় ? 
-- বাসায়।
-- ৩০ মিনিট সময় দিলাম, খুব দ্রুত তৈরী হয়ে ৫ টায় বাংলা একাডেমির বহেরাতলায় চলে আসো, আমি আসছি। 

রাইজুলের কল পেয়ে চুপ হয়ে যাই, কিছুই বলতে পারিনি। তবে এ যেনো মেঘ না চাইতে বৃষ্টি। 

বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে, গত ২০/২২ ঘন্টার কথা ভাবছি। এখন রাত আনুমানিক ৯টা। আজকের দিনটা ছিল একটি বিশেষ দিন। এমন বিশেষ দিনে ভাবনাটা বিশেষ হবে এটাই স্বাভাবিক। এই ২০ ঘন্টায় মোবাইলে প্রায় ৬০টা খুদেবার্তা এসেছে। এর মধ্যে একটিও পডা হয়নি, শুধু নামগুলো দেখেছি। গতকাল রাত ১২টার পর থেকে ১টি খুদেবার্তার অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু কাঙ্খিত বার্তা আসেনি। অপেক্ষার পালা শেষ হয় বিকেল ৪টার দিকে। কাঙ্খিত সেই খুদেবার্তা প্রত্যাশির নাম রাইজুল। 

সময় নষ্ট না করে খুব দ্রুত তৈরী হই। রাইজুলের প্রিয় কালারের ড্রেস পরি। ঠিক ৫ টায় এসে দাঁড়াই বহেরাতলায়। চারপাশ দেখে মনে হয় আজকের দিনে কেউ আর ঘরে বসে নেই। ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষগুলোকে কাছে পেতে একটু ভালোবাসা দিতে তাকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে সবাই। একদিকে বইমেলা অন্যদিকে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। 

কবে কোথায় ভালোবাসা দিবসের সূচনা হয়েছে তার কিছুটা যেমন জানি আমি তেমনি জানে রাইজুলও। তবে এই দেশে কবে থেকে তার পুরোটাই আমাদের জানা। দেশে ভালোবাসা দিবসের আগমন যিনি ঘটিয়েছেন তাঁর লাল গোলাপ শো এর অতিথি হতে গিয়েই পরিচয় রাইজুলের সাথে। সেই থেকে সমান্তরাল রেললাইনের মতো আমাদের পথচলা। সময়টা অনেক দীর্ঘ, কিন্তু পথটা খুবই সরু ও সমান্তরাল। রেললাইনের মতো পাশাপাশি চলতে থাকলেও কোথাও গিয়ে মিলতে পারিনি। মান-অভিমানে, সুখে-দুঃখে, ভুল বুঝে একে অপরকে ক্রস করে গেলেও মিলিত হওয়ার উপায় ছিলো না। 

দাঁড়িয়ে আছি বহেরাতলায়, আশেপাশে এখন পরিচিত কেউ নেই। বার বার কল করছি রাইজুলকে, একটাই কথা-
-- তুমি কোথায় ? আসতে আর কতক্ষন?
যতবার কল ধরেছে বারবার বলেছে,
-- এইতো এসে পড়েছি, আর মাত্র ৫মিনিট। 

৫ মিনিট করে করে ২০ মিনিট চলে গেলো, তবুও রাইজুলের ৫ মিনিট শেষ হচ্ছেনা। আজ বাহিরে বেশি সময় থাকা যাবে না, এইভাবে বাসা থেকে বের হয়েছি কাউকে বলেও আসিনি। বলবো কি করে, বললে তো আসতেই দিবে না। যে করেই হোক সাতটায় বাসায় যেতে হবে। 

মনে মনে রাগও হচ্ছে রাইজুলের উপর, সময় জ্ঞান যেনো ওর হারিয়ে গেছে। প্রথমেই ২০মিনিটের কথা বললে একটু ধীরে বের হতাম। কোথাও বসতে পারতাম, অথচ দুই পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে সেই থেকে। এরই মাঝে দেখা হল ভার্সিটির বন্ধুদের সাথে, সবাই জানতো এই দিনে কেউ আমায় ঘর থেকে বের হতে দিবেনা। অথচ সেই আমি দাঁড়িয়ে আছি বহেরাতলায়। আর দেখেই যে কারোই মনে হবে এ দাঁড়িয়ে থাকা মানেই অপেক্ষা। 

নীলা, অপির্তা, রাহুল আর অদিতি ওরা আমাকে দেখে আর ছাড়ে না। বলে,
-- চল আমরা এক সাথে কোথাও বসি।
কিছুই বলতে পারছিনা ওদের। রাইজুলকে কলদিয়ে বললাম, 
-- আমার চারপাশে বন্ধুরা, তোমার সাথে কিভাবে দেখা করবো, কি ভাবে কথা বলবো। 

-- ঠিক আছে কথা বলার প্রয়োজন নেই, তোমাকে একটিবার দেখেই চলে যাবো। 

কখনও ভাবেনি এমন দিনে রাইজুলের সাথে দেখা করতে আসা হবে। আমাদের অসম প্রেম কেউ মেনে নেয়নি, সব কিছুকে মাটিচাপা দিয়ে পারিনি দুজন দুজনার হতে। বন্ধুদের সাথে কথা বললেও ভাবনা শুধু কি ভাবে রাইজুলের সাথে দেখা করবো। রাইজুল কল করে বলে,
-- অরুণিমা আমি তোমার ডানপাশে আছি। ভিড়ের মাঝে আসো। তোমার হাতে আমি একটা প্যাকেট দিয়ে চলে যাবো।  

বন্ধুদের সাথে কথা বলতে বলতে ডাকপাশে তাকাই। রাইজুল আজ একটা সাদা শার্ট পরে এসেছে, এদিকে তাকিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। দুর থেকে মিনিট পাঁচ দুজন দুজনকে দেখি। ওর চোখে চোখ রাখতেই হারিয়ে যাই আমাদের সেই দিনগুলোতে।  

একটু আসি বলেই সামান্য সময়ের জন্য ভিড়ের সাথে মিশে যাই। তখনি রাইজুল ওর হাতের প্যাকেটটি দেয়। সামান্য সময়ের জন্যে হাতের সাথে হাত। ওদিকে সূর্য ডুবে যাচ্ছে, গোধূলীর এই মুহুর্তটা নিজের ভালোবাসার চাদরে মুড়ে রাখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু বাস্তবতা????? 

সন্ধ্যা হয়েছে বলে বন্ধুদের কাছ থেকে বিদায় নিই। রাইজুল আমার সামনে এগিয়ে যায়, আমি ওকে ফলো করতে করতে মেলার গেইট থেকে বেরিয়ে যাই। এই মুহুর্তে বন্ধুরা কেউ দেখছেনা আমাকে। বাংলা একাডেমি থেকে বের হয়ে রিকসা নিবো, কিন্তু রিকসা ধরতে হবে টিএসসি এসে। পারিনি নিজেকে আর সামলে নিতে, দ্রুত হেঁটে রাইজুলের হাতটা ধরি। অপরিচিতের ন্যায় হাঁটতে থাকি দুজন। 

রাস্তায় মিছিলের মতো নেমেছে আজ। সন্ধ্যা ৬টা ৩০মিনিট, রাইজুল আমাকে রিকসায় তুলে দিয়ে বিদায় নেয়। হাতের প্যাকেটের উপর খুব কৌতুহল। কি আছে ওটাতে খুলে দেখি একমুঠো রেশমী চুড়ি। খুব আবাক হই, রাইজুল আমার জন্য রেশমী চুড়ি কিনেছে! বাসায় এসে চুড়িগুলো দুহাত ভরে পরি। আয়নার সামনে দাঁড়াই, নিজেকে অন্য দিনের চেয়ে একেবারেই আলাদা আবিস্কার করি। বুঝতে চেষ্টা করি, হয়তো এটাই ভালোবাসা।

সারা দিনের খুদেবার্তা পড়বো রাত ১২টার পর। কাউকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাইনি। তবে এমন দিনগুলোতে ব্যতিক্রমী একটা খুদেবার্তা লিখে একসাথে অনেককে পাঠাই। রাইজুলকে যা পাঠাই তা অন্যকেউ পায়না। আমার একটা খুদেবার্তার প্রত্যাশায় থাকে অনেকে। অন্যদের মতো ধার করা খুদেবার্তা কাউকে পাঠাই না। বারান্দায় দাঁড়িয়ে সারা দিনের হিসাব মিলাচ্ছি, কি লিখবো আজ। রুম থেকে মোবাইলটা হাতে করে বারান্দায় এসে বসে লিখছি, 

“পুরুষ ছাড়া জীবন কাটানো যায়, তবে ভালোবাসা ছাড়া জীবন চলেনা। কষ্ট ছাড়া জীবন হয়না, কষ্ট না থাকলে আনন্দ স্থায়ী হয় না। ভালোবাসা আছে বলেই ভালোবাসি, ভালোবাসি বলেই আজো বেঁচে আছি। বাঁচার স্বপ্ন দেখি, শুভ হোক ভালোবাসার দিন” 

বার্তাটি পাঠিয়ে দিই নীলা, অপির্তা, নীলাঞ্জনা সহ অনেককে। সবাই একমত প্রকাশ করে, যেন সবাই এই মুহুর্তে অনুভব করল ব্যক্তি ছাড়া জীবন চলে সম্পর্ক ছাড়া জীবন চলে না। 

বারান্দার কিছু দুরে ভিআইপি সড়ক। সারাদিনের প্রতিযোগিতায় গাড়ীগুলোর শক্তি যেন কমে আসছে। পাখির নীড়ের মত গাড়ীগুলো নিজের জায়গায় ফিরে যাচ্ছে। খুব ইচ্ছে করছে রাইজুলকে কল করতে। কিন্তু ইচ্ছে হলেও তা করা যাবে না। রাইজুল এই সময় কল ধরবে না। একটা সময় ছিল সন্ধ্যে ভোর দুপুর রাইজুল কল করতো, ধরতো, কথা বলতো, সোনা বউ বলে ডাকতো, আজ সে সব কিছুই হয় না। বাস্তবতার দায়িত্বের মাঝে রাইজুল বন্ধি ঘরে, পাশে তার বিবাহিত স্ত্রী ও সন্তান।  

সব কিছু রেখে আজ ও এসেছে দেখা করতে। জীবনে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা ঠিক হবে না। কখনো কোন বিষয়ে কাউকে জোর করিনি। জোর করে কিছু হয়না, অফিস থেকে ফেরার পথে রাইজুল কল করতো, মাঝে মাঝে বলতো,
-- অরুণিমা তুমি ৩০ মিনিট পর কল দিও। 

ঘুম নেই চোখে। ঘড়ির কাটা ঠিক ঘুরে ঘুরে রাত ভারী করছে। কাগজ কলম নিয়ে বারান্দায় বসেই চিঠি লিখতে বসি রাইজুলকে- 

প্রিয় রাইজুল,
অনেকদিন পর আজ মধ্যরাতে বারান্দায় এসেছি। একটা সময় প্রায় প্রতিরাতে এই বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে থাকতাম, আকাশের সাথে কথা বলতাম। একটা সময় আমার তেমন কোন বন্ধু ছিলনা, কিন্তু এখন আছে। নি:স্বার্থ বন্ধু যাকে বলে। তবুও আমি আকাশকে আমার বন্ধু বলি, ওর সাথে নিজের অনেক কথা বলি। ব্যক্তি বন্ধু আর আকাশ বন্ধুর মাঝে ব্যবধান এটাই যে আকাশ শুধু শুনে যায় কিছুই বলেনা।  

রাইজুল, দীর্ঘ একযুগ সময় কম নয়। ১২ টি বছর, ১৪৪ টি মাস আছি এই ভবনের মধ্য ফ্লোরে। ১২ বছর আগে যেদিন আগের বাসা থেকে শেষ বের হচ্ছিলাম অনেকক্ষণ একা দাঁড়িয়েছিলাম রুমের পূর্বপাশের জানালা ধরে। সেখানেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আমার বলা না বলা অনেক স্মৃতি। স্মৃতিগুলো মনে হলে এখনও চোখ ভিজে আসে, এখনও মন পিঞ্জরের খাঁচায় খুঁজে ফিরি কত্ত কি?? ছয় বছরে ওই জানালা ধরে দাঁড়ানো হয়নি, তার একটাই কারণ জানালার পাশেই ছিল সেগুন কাঠের খাটটি।  

রাইজুল, একটা বাসা একটা রুম আর একটা খাট এসবের সাথে জড়িয়ে থাকে হাজার মুহূর্তের স্মৃতি। কিছু স্মৃতি মনকে আনন্দে ভাসায় আর কিছু স্মৃতি ঢুবিয়ে দেয় কষ্টের নোনাজলে। আজ আমি বারান্দায় কাঁদতে আসিনি, তবুও কান্না আসছে। কয়েকদিন যাবত চোখের কোনায় বারবার পানি জমে। কান্না আসতে চাইলেও কাঁদতে পারিনা। কিন্তু এখন অঝোর ধারায় চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছে। পাশের বহুতল ভবনের কয়েকটা জানালা দিয়ে আলো দেখা যায়, কেউ হয়তো আনন্দ উল্লাসে মেতে আছে কেউ হয়তো বেদনার বাহুডোরে। কেউ হয়তো স্বপ্ন বুনছে আর কেউ স্বপ্ন ভাঙ্গছে। তুমি কেমন আছো রাইজুল? কি ভাবছো? তোমার ভাবনার এক অনু বা পরমাণুতে কি আমি আছি? 

মাঝেমাঝে এমন শত প্রশ্নের বেড়াজালে আমি আটকে যাই। ভাবতে থাকি কি হয়েছে আর কি হতে পারতো। সেদিন নায়লা সহ এক রিকসায় যাচ্ছি। কি একটা কথায় ও বলল, আমরা বর্তমানে যা কিছু করছি বা হচ্ছে তা নাকি অতীত। বর্তমান বলতে নাকি কিছুই নেই। হয়তো তাই, আর তাই বলেই আমরা যেমন আছি, হয়তো বেশ আছি। তুমি ভালো থেকো, আমি আছি ভালো, মাঝেমাঝে স্বপ্নগুলো হয় এলোমেলো। 
ইতি, তোমার আশিরত্তি (অরুণিমা)।

ঘামের গ্রাফিতি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
ঘামের গ্রাফিতি

ভেতরে বৃষ্টি- বাইরে তুমুল স্রোত
হাওয়াদের অটোক্র্যাটিক পাখনা ভাঙছে বাতাসে-
মৃত্যুর ভেতরে গান! উপড়ানো আঙুলের পাখনায় 
ফুটছে পাখিদের জন্মোৎসব 

মানুষ জেগে গেলে হাওয়ারা খুলে রাখে পায়ের পাতা

রক্তের ভেতরে দৌড়ে আসে জিজ্ঞাসাচিহ্ন-
মুক্তির করতলে ঘামের গ্রাফিতি-
বুক চেতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মুহূর্তেরা বারুদের ঘ্রাণে
একে যায় নতুন বাংলাদেশ।

সংশোধন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
সংশোধন

কোনো একদিন কাদাময় পথে হাঁটতে গিয়ে
দু-এক ফোঁটা কাদা ছিটকে এসে বসে গেল বুকের ভেতর
সেই থেকে আমি ধোয়া-ধোয়া-ধোয়া
শত ধোয়ার তুলসীপাতা হতে চেয়ে
কতবার শ্রাবণের মেঘে দিয়েছি সাঁতার
কতবার সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
নিজেকে আমূল ঝল্সে নিয়েছি।

কষ্টি পাথর। আমার কষ্টি
এভাবে আর কতকাল নিজেকে পোড়ালে বলো
বিশুদ্ধ মানুষ হব আমি?...

রাধাচূড়া

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
রাধাচূড়া

হরিৎ প্রাচীরে লালচে-হলুদ ফুল 
পাপড়ির ভাঁজে ঝলমলে দ্যুতি ছড়াচ্ছে, 
রাজন্যের তাজ স্বরূপ সূবর্ণ তার কেশর সজ্জা
ডাল যেন মরকত মণি, পাংশুবর্ণ তার কায়া
নিজেতে মগ্ন পথিকে ভাবে অমূলক প্রহসন,
দূষিত নগরীর অভিমুখে রূপচর্চার আয়োজন
বৃক্ষকূলের পাতাঝরা এক অভিসম্পাত; 
চারদিকে যেন ঝলসানো চৈত্রের খরা। 
বিদেশিনী গুল্মের রঙ্গন সমাহারে নেই তৃষ্ণা 
নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অকপটে 
মানুষের হৃদয়ে শুভ্রতা দিতে সে ছাড়িল কানন 
লোকালয়ে এসে গড়েছে সে আশ্রয়,
রূপের লাবণ্যের গড়িমসি নেয় এক চিলতে
কল্পনায় সে কনক কিংবা কৃষ্ণচূড়ার সহোদরা! 
খচিত সেই নগর রূপসীর নাম রাধাচূড়া।

পদচিহ্ন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
পদচিহ্ন

কাগজের মলাটে
    তোমার হৃদয়ের ভাঁজে-ভাঁজে 
থাকে, অনাহত জীবন...

    চোখের মাঝে রক্ত ঝরে
অঝোরে চারপাশে,
     পৃথিবীর বুকে রক্তচোষা দেয়াল...

মাটির ফুল ফুটেছে 
     পরিত্যক্ত অট্টালিকায়
তোমাদের চোখের আড়ালে,
      এই শহরের বুকে রেখে যায়
 কত পদচিহ্ন...
        নিজেরই অজান্তে।

সম্বোধন

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ পিএম
সম্বোধন

জনাব,
আজ শুক্রবার, আমি তো ছুটিতে,
লইব সময় খানিক ঘুম থেকে উঠিতে!
আপনি কি জেগেছেন নাকি শয্যায়?
কীভাবে যে বলিব কিঞ্চিৎ লজ্জায়!
প্রাতঃকাজ সারিয়া একটু বেলায়
যখন বেরোবেন টানিতে বিড়িখানা,
মুঠোফোনে লইবেন খবর, ঘটিয়াছে কিছু কি-না!
না না তেমন তাড়া নেই, ধীরে লইলেই হইবে
যখন বিষয়টা সবাই সবিস্তারে কইবে!
চঞ্চল করিবেন না মন, কহিলাম বলে কথাটা
বুঝিবেন যেন, এটাই হলো সততা!
জ্ঞানীগুণীরা সবাই চলিয়াছে ধীরে
আমরা কেন হারাইয়া যাইব, বর্তমানের ভিড়ে?
যে বোঝে সে অপেক্ষা করিবে আমার মুখপানে
আমি যে অনন্য, গুণীমান্যিরা তা জানে!
আবারও বলি, ভাইসাব
সময় করিয়া যদি লইতেন খবর
সর্বজনের উপকার হইত জবর!