সৎ, সুন্দর ও মহৎ জীবনসাধনাই সংস্কৃতি। সংস্কৃতি একটি পরিমার্জিত জীবনবোধ, পরিচ্ছন্ন জীবনাচরণ। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে জীবনবোদ্ধার আবিষ্কৃত সুন্দরতম সত্যই সংস্কৃতি। এই সত্য পরম সাধনা দ্বারা অর্জন সম্ভব। সাংস্কৃতিক জীবনসাধনার পরম সত্যই হচ্ছে মনুষ্যত্ব। জীবনে মনুষ্যত্ব তথা মানবিকতা ধারণ ও লালনই মূলত সংস্কৃতির চর্চা। সংস্কৃতিবান মানুষ বলতে মনুষ্যত্ববান ও যাপনকারী মানুষকেই বোঝায়। সংস্কৃতিবান মানুষ তৈরি হয় সমাজে বিরাজমান সুশিক্ষা, সুসভ্যতা ও সুসংস্কৃতির সংস্পর্শে। উল্লেখ্য, অবশ্যই সুশিক্ষা, সুসভ্যতা ও সুসংস্কৃতির মধ্যে-ই সংস্কৃতিবান গড়ে ওঠে। এই সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে হলে অবশ্যই যুক্তি, বিচার ও সুবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। এ ধরনের সচেতন সাধনাই সংস্কৃতির বুনিয়াদ।
শিল্প সমালোচক Clive Bell (১৮৮১-১৯৬৪) তার Civilization (১৯২৮) গ্রন্থে একটি চমৎকার সত্য কথা বলেছেন, “The civilled man is made not born।” সংস্কৃতি নিয়ে কেউ জন্মায় না বা উত্তরাধিকারসূত্রে পায় না। প্রতিদিন সচেতন সাধনার দ্বারা সংস্কৃতিকে আয়ত্ত করতে হয়। সংস্কৃতিবানের সচেতন সাধনার ফল তার আত্মসৃষ্ট উপলব্ধি, যা তার সংস্কৃতি। যে সংস্কৃতি হবে ব্যক্তিগত, জাতিগত না । ব্যক্তি সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি সামষ্টিকভাবে ফুটে উঠবে জাতিগত জীবনে। সংস্কৃতিবান মানুষের মনুষ্যত্বের সংস্কৃতিই পারে মানবজীবনে আলো বিকিরণ করতে; যে আলোকে আমরা তুলনা করতে পারি সর্বজনীন সত্য, সুন্দর, মঙ্গলের সঙ্গে। যে আলোর নেই কোনো দেশ, কোনো কাল, কোনো জাত; যে আলো বিশ্বমানবতার। যার নেই কোনো সীমা, তা আকাশের মতোই অসীম-অনিঃশেষ।
মনে রাখতে হবে সংস্কৃতি মানুষের জীবনযাপনের মতোই প্রগতিশীল। তাই মানুষকে সংস্কৃতিবান হতে হবে অর্থাৎ ভাব-ভাষা-কল্পনায় যেকোনো কাজের অগ্রদূত হয়ে ওঠা। প্রগতিশীলদের বর্তমানে আমরা ‘বামপন্থি’ নামে আখ্যা দিয়ে থাকি কিন্তু বামপন্থিরাই যুগে যুগে নতুন চেতনার উন্মেষ করেছে। প্রগতিশীল রাজনীতি যেখানে মানুষকে করে ক্ষমতা সচেতন, প্রগতিশীল সংস্কৃতিচর্চা সেখানে মানুষকে করে মনুষ্যত্ব সচেতন। অবশ্যই রাজনীতি এবং সংস্কৃতি হবে সমাজতান্ত্রিক, বুর্জোয়া নয়; কেননা তা গণমুখী ও জীবনঘনিষ্ঠ ।
রাষ্ট্রের কাজ ব্যক্তিস্বাধীনতার পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তা ও অবসর সৃষ্টি করে দেওয়া। সেই নিরাপত্তা ও অবসরের ব্যবহার মানুষ কীভাবে করবে সেটা মানুষ নির্ধারণ করবে। নিশ্চয়ই সংস্কৃতি গড়ে ওঠে জীবনযাপনের মৌলিক সংস্থান, জীবনধারণের অবসর ও জীবনযাপনের নিরাপত্তার মধ্যে রুচিবান-সুন্দরচিত্ত মানুষের প্রভাবে। সংস্কৃতি মনের খোরাক, যাতে মন-মানসিকতার বিকাশ ও সম্প্রসারণ ঘটে।
সাহিত্য, শিল্প, নৃত্য, অভিনয়, চিত্র আর সংগীত সবই সংস্কৃতির বুনিয়াদ। যার প্রভাবে ব্যক্তিসহ সমগ্র জাতির মন আর চরিত্র সংহত ও পরিণত হয়, হয়ে ওঠে রুচিশীল আর সুস্থ। তাই জাতীয় জীবনের এক অপরিহার্য অঙ্গ সংস্কৃতিচর্চা। সংস্কৃতিতে শুধু গণজীবনের প্রতিফলন ঘটে না, গণমানুষের অভীপ্সা-এষণা, আশা-আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন-কল্পনার প্রতিফলন ঘটে। অর্থাৎ যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকা নয়, বরং যা হওয়া উচিত তাই সংস্কৃতিচর্চা। সংস্কৃতির বিভিন্ন মাধ্যমকে হতে হবে আরও ইঙ্গিতবহ আর পথিকৃৎ।
সংস্কৃতিবান হওয়ার জন্য মানুষের প্রতিভার চেয়ে গ্রহণশীলতা বা মূল্যবোধই বেশি দরকার। সমাজে সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটে তখন যখন অতীত ও বর্তমানের উৎকৃষ্ট বস্তুগুলো মানুষ সাগ্রহে গ্রহণ করে এবং উপযুক্ত মূল্য দেয়। তবে দুঃখের বিষয় বর্তমান সময় এই গ্রহণশীলতা বা মূল্যবোধ সমাজের মানুষের মধ্যে উপেক্ষিত। মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ও শ্রদ্ধার অভাবের ফলে গ্রহণশীলতা তুলনামূলক কম। শিল্পীর সৃষ্ট শিল্প সাধারণত প্রাকৃতিক ব্যাপার, যাকে বলা হয় প্রতিভা। মূল্যবোধ বা গ্রহণশীলতা শিল্পীর মতো প্রতিভা নয় বরং শিল্পীর সৃষ্ট শিল্পের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য এবং বাণীকে গ্রহণ ও হজম করে নিতে পারার সক্ষমতা। অর্থাৎ নজরুলের মতো সাহিত্য রচনা করতে না পারলেও নজরুলের সাহিত্য অনুধাবন ও উপলব্ধি করতে পারা। যেকোনো স্রষ্টা (সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, ধার্মিক), সবার সবরকম সৃষ্টিকে হজম করে, সৃষ্টির সংস্কৃতিকে আয়ত্ত করে সংস্কৃতিবান হয়ে ওঠে। সমাজে এই মূল্যবোধ সম্পূর্ণ ব্যক্তির মূল্যবোধ ও যুক্তিবিচার সম্পূর্ণ স্বভাব-চরিত্রের আলোক ও মাধুর্য বিকিরণ করে। মানুষের মূল্যবোধের প্রয়াসকে সমাজের সুশোভিত ও আনন্দিত জীবনের প্রস্তুতি বলা যায়। এই মূল্যবোধ ধারণের প্রয়াস বর্তমান সময়ে দুর্লভ।
সমাজে এই মূল্যবোধ সম্পূর্ণ মানুষ তথা মানুষের স্বকীয় মূল্যবোধ ও নিরপেক্ষ যুক্তিবিচার সৃষ্টির জন্য ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রয়োজন। ব্যক্তিস্বাধীনতা সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক জীবনের সহায়ক, কেননা স্বাধীনতার ছায়াতলে সুরুচিবান ব্যক্তি বিকশিত হয়। স্বতন্ত্র মননশীলতার চর্চা ও উৎকর্ষের দ্বারা মানুষ গড়ে উঠবে সমাজে, যেখানে তার জীবনদর্শন, রুচি ও দৃষ্টিভঙ্গি একান্ত তার নিজের। এই মানুষের উৎকর্ষের ওপর নির্ভর করে মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনের মান। ব্যক্তিস্বাধীনতা বর্তমান সময়ে তুলনামূলকভাবে অতীতের চেয়ে বেশি কিন্তু ব্যক্তিস্বাধীনতা কাঙ্ক্ষিত সুফল দেখা যাচ্ছে না অর্থাৎ ব্যক্তিসংস্কৃতি তৈরি হচ্ছে না।
দেশগত, কালগত, ব্যক্তিগত আচার-ব্যবহার ও রীতিনীতিকে আমরা সংস্কৃতি বলে নিজেদের গতানুগতিক কার্যকলাপের সমর্থন খুঁজি। বর্তমানের তথাকথিত সংস্কৃতিচর্চা আদতে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করছে কি? মনোজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করছে কি? প্রথমত, যে ললিতকলা চর্চা হচ্ছে সেটা কতখানি নন্দনতাত্ত্বিক গুণসমৃদ্ধ সেটা বিবেচ্য, সেটা ললিতকলা নামে অপসংস্কৃতি কি না, সেটা ভাববার বিষয়। দ্বিতীয়ত, যান্ত্রিকজীবনে মানুষ ললিতকলার সৌন্দর্যকে লালন ও ধারণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। কেননা সংস্কৃতি একটি সাধনা, যতক্ষণ না পর্যন্ত সেগুলো চিন্তা-চেতনাকে আবিষ্ট করছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেগুলো থেকে কোনো ইতিবাচক উপলব্ধি নিঃসৃত হয় না। বর্তমান মানুষের মধ্যে নিবিষ্ট হাওয়ার ধৈর্য অপেক্ষাকৃত কম।
মানুষের মধ্যে সাহিত্য পাঠের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং সাহিত্য রচনার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। যে অভ্যাস নাগরিক জীবনের মানুষের মধ্যে নেই। মানুষ এখন লঘু-স্থূল রসে চিত্তরঞ্জনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, ফলে ‘টিকটক’ নামক সমসাময়িক বিনোদনকে গ্রহণ করেছে ব্যাপকভাবে। অথচ কৃষ্টি বা সংস্কৃতি মূলকাণ্ড সাহিত্য। সাহিত্যিক-শিল্পী-সংস্কৃতিসেবী মাত্রই মনুষ্যত্বের সাধক। সাহিত্যকে অবলম্বন করেই সাধারণত সংস্কৃতির নানা শাখা-প্রশাখা দল মেলে। তাই সাহিত্যে জাতিগত সাহিত্য চরিত্র, বৈশিষ্ট্য ও স্বরূপ ফুটে উঠতে হবে, তবে মূলধর্ম হতে হবে কল্যাণ মানবতা।
রবীন্দ্রনাথ দুঃখ করে লিখেছেন, ‘এখন ব্যস্ত লোকেরা ধমক দিয়ে বলে রেখে দাও তোমার সুন্দর, সুন্দর পুরোনো, সুন্দর সেকেলে। স্বল্পায়ু ফ্যাশান হঠাৎ নবাবের মতো উদ্যত। তার প্রধান অহংকার এই যে সে আধুনাতম। অর্থাৎ তার বড়াই গুণ নিয়ে নয় কাল নিয়ে।’ সত্যিকার সাহিত্য যেমন দেশ বা কালাকারের মধ্যে আবদ্ধ নয়, সত্যিকার সংস্কৃতিও দেশ-কাল বা সামাজিক গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নয়। সাহিত্যের সৌন্দর্য, সত্য ও মহত্ত্বের মূল্যবোধ দেশ ও কালের সংকীর্ণ গণ্ডিতে ফেলে বিচার করা যায় না, গণ্ডিকে ছাড়িয়ে যায়। তাই সাংস্কৃতিবান মানুষ গড়তে সাহিত্যের মূল্যবোধের বিকল্প নেই।
আমাদের বর্তমান সময়ের জীবনের স্থূল প্রয়োজনগুলোই হয়ে উঠেছে একমাত্র, সবচেয়ে বড়। প্রয়োজন কাছে চরম আদর্শ, সৌন্দর্যের চর্চা ও মহত্ত্বের সাধনা পাচ্ছে পদে পদে বাধা। এই প্রয়োজন সর্বস্ব সমাজে প্রয়োজনকে প্রয়োজনের সীমার মধ্যে বাঁধতে না পারায় তা পদ্মবনে মত্ত হস্তীর মতোই জীবনের মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য সাধনাকে দলিত-মত্থিত করছে। জীবন এখন প্রয়োজনে আবদ্ধ, প্রয়োজনই হয়ে উঠেছে জীবন। নিছক বেঁচে থাকার বা বাঁচার উপকরণটা বড় হয়ে উঠেছে, ফলে মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য সাধনাকে মনে হয় বিলাস; জীবন হয় সংকীর্ণ ও দরিদ্র।
এখন হাজার হাজার টাকা বেতনের কর্মকর্তা করেন না শিল্প-সাহিত্যচর্চা, নেন ঘুষ। অথচ একজন স্বল্প আয়ের কর্মচারী মন চাইলে শিল্প-সাহিত্যচর্চা করে বা স্বল্পমূল্যের বই কিনে আত্মার উৎকর্ষ সাধন করে প্রকৃত সংস্কৃতমনা হয়ে উঠতে পারে। আসলে বৈষয়িক তথা জাগতিক আরাম-আয়েশ ত্যাগ করতে না পারলে প্রকৃত সংস্কৃতিসাধক হওয়া যায় না। অর্থনৈতিক সংকট সংস্কৃতিবোধের পরিপন্থি নয় বরং সংস্কৃতিবোধের অনুকূল। সমাজে অর্থ জীবনবোধগত অনর্থের মূল; সেই উদাহরণ অনেক আছে কিন্তু অর্থ সংস্কৃতিবোধের সমান্তরাল এই উদাহরণ বিরল। সম্রাট শাহজাহান বিপুল পরিমাণ ব্যয় করে সৌন্দর্যকে অমূল্য ভেবেছিলেন বলেই শাহজাহানের তাজমহল কালোত্তীর্ণ সৌন্দর্যকে ধারণ করে হয়েছে উত্তম সাংস্কৃতিক নিদর্শন এবং শাহজাহানের সংস্কৃতিবোধ পেয়েছে অমরত্ব।
যে ইংরেজি ‘কালচার’ শব্দের অনুবাদ হিসেবে আমরা সংস্কৃতিবান শব্দের ব্যবহার ও প্রয়োগ করি, সেটির আসলে অপপ্রয়োগ করি বেশি। সর্বক্ষেত্রে সংস্কৃতি শব্দের অপব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। বিভিন্ন স্বার্থভিত্তিক কর্মকাণ্ডে সংস্কৃতির উদ্দেশ্যমূলক দোহাই দেওয়া হয়, যার প্রমাণ আমরা পাই ব্রিটিশ শাসনামলে। সংস্কারের নামে বাঙালিকে শোষণের চেষ্টা, সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতিকে বাঙালির জীবনবোধে ঢুকিয়ে দেওয়া। ভারতবর্ষের ধর্মভিত্তিক দাঙ্গা-হাঙ্গামাও এই ধর্মীয় সংস্কৃতির ভুল ব্যাখ্যা। সারা বিশ্বে যে বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোল ও হাঙ্গামা হয়েছে, তার পেছনেও ছিল সভ্যতা ও সংস্কৃতির দোহাই। দুই বিপরীত পক্ষ তাদের যুদ্ধনীতির সমর্থনে দোহাই পেড়েছেন সভ্যতা ও সংস্কৃতির। বর্তমান সমাজে সংস্কৃতিচেতনা খানিকটা মূল জায়গা থেকে সরে এসেছে। সংস্কৃতিচেতনা এখন শুধু পুরাতন জীবনবোধ ও জীবনাচারকে অনুকরণমূলক প্রতিপালন করা।
রাষ্ট্রাচার বা সংস্কার যেমন সংস্কৃতি নয় তেমনি প্রচলিত ধর্মীয় আচার বা শিক্ষাও সংস্কৃতি নয়। এখনো ইউরোপীয় সংস্কৃতি বলতে আমাদের কাছে ইউরোপীয় রাষ্ট্ররূপ দেশাচার ও সংস্কারকে এবং হিন্দু বা মুসলমান সংস্কৃতি বলতে তাদের সামাজিক আচার-ব্যবহার-রীতিনীতি ও সংস্কারকে বোঝায়। কিন্তু এগুলো দেশগত বা রাষ্ট্রগত আচার, ধর্মগত বা সম্প্রদায় ও দলগত আচার-ব্যবহার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আচার।
এরকম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা, বিভিন্ন সভ্যতার নাম (চীনা সভ্যতা, ব্যবিলনীয় সভ্যতা) ও সংস্কৃতির (ইউরোপীয় সংস্কৃতি, হিন্দু সংস্কৃতি, মুসলিম সংস্কৃতি) প্রচলন আছে, সেগুলো আসলেই সংস্কৃতিবান মানুষ তৈরি করতে পারে না। দাড়ি রাখা, না রাখা হিন্দু বা মুসলিম ধর্মাচার হতে পারে কিন্তু সংস্কৃতি হতে পারে না। বরং এই সংস্কারই জাতীয় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্যের লেবেল এঁটে বাধায় বিরোধ। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, এককেন্দ্রিকতার অপর নাম কূপমণ্ডুকতা। যেকোনো উৎকট বিশ্বাস ও অন্ধভাবাবেগ হচ্ছে সাংস্কৃতিক জীবনের অন্তরায়, যেটা মানুষের বুদ্ধি ও মনকে সম্মোহিত ও আচ্ছন্ন করে রাখে। সংকীর্ণ দেশাচার ও সাম্প্রদায়িক সংস্কারের মোহ ত্যাগ করতে না পারলে প্রকৃত সংস্কৃতিসাধক হওয়া যায় না।
লেখক: প্রভাষক, বাংলা বিভাগ, প্রাইম ইউনিভার্সিটি