ফেরার কোনো পথ নেই
পেছনে বন্দুক, সামনে জীবন
নতুন সূর্য উঠবেই প্রভাতে
তরুণ প্রজন্ম পতাকা হাতে
রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হলে
স্বাধীনতার কি আর বাকি থাকে?
ফেরার কোনো পথ নেই
পেছনে বন্দুক, সামনে জীবন
নতুন সূর্য উঠবেই প্রভাতে
তরুণ প্রজন্ম পতাকা হাতে
রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হলে
স্বাধীনতার কি আর বাকি থাকে?
পৃথিবীর উত্তরে দক্ষিণে
পূবে পশ্চিমে আজ শুধু শকুনের উল্লাস
রাত্রির বুকে কলঙ্ক- অস্থির প্রবাহ,
অন্ধ-বধির সময়
সভ্যতা খেয়েছে দূষিত জীবাণু!
কোথাও আজ- কেউ কি ভালো আছো?
নক্ষত্রের বুক সেই আদিম শকুন!
খামছে ধরেছে মধ্যবিত্তের হাত পা
শান্তির ঘুম অবুঝ স্বপ্ন
ঝাঁঝরা ধূলিতে পড়ে আছে ঝলসানো চাঁদ
পোড়া হাড়গোড়
ক্ষতবিক্ষত কত নিষ্পাপ মুখ!
পূজো শেষে ফুলগুলো অপাঙক্তেয় হয়
প্রয়োজন ফুরালে কিছু প্রিয়জনের মতো।
রান্নার সুগন্ধে স্বাদে পরিপূর্ণ তৃপ্তির পরে;
মুল্যবান উপকরণকেও উচ্ছিষ্ট মনে হয়।
কৃতকার্য হয়ে কলম ছুঁড়ে ফেলে নির্দ্বিধায়
বর্ষার সঙ্গী ছাতাটা অবহেলায় পড়ে থাকে।
দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণে সুগন্ধি পারফিউম;
ব্যবহার শেষে ছিটকে পড়ে ময়লার ঝুড়িতে।
প্রয়োজনে প্রিয়জন কখনো হয় না আপন
দেখেশুনে সর্বদা করো তাই জীবনযাপন।
ফেরারী এ মন দিবানিশি চলে
ভাঙ্গা স্বপ্ন ফেরি করে
পিচ ঢালা শহরের মাঝে।
ছেঁড়া কাগজ বস্তায় ভরে
সামান্য টাকা বিক্রি করে
ফুটপাতের ভাঙ্গা হোটেলে
জরাজীর্ণ চারিপাশ
মাছি ভনভন করে।
পেটের ক্ষুধায় বসি
অল্প টাকায় পেট ভরে খাবো বলে
পাশে এসে অর্ধউলঙ্গ বাচ্চাটা
এসে হাত বাড়ায় যখন
তার মুখপানে চেয়ে
পারিনা চোখের জল ধরে রাখতে।
নিজের মুখের খাবার দেয়
অপরিচিত বাচ্চাদের হাতে তুলে
খালি পেটে জল খেয়ে
উঠে যায় হোটেল হতে
রাতের খাবার জোগাড় করতে
ছেঁড়া কাগজ টোকায় পথে-পথে।
মানুষ হও
কথা কও সদা সত্য বাণী
বুক টা ভাসিয়ে দিও প্রেম - যমুনার ঢেউয়ে।
গন্ধরাজের গন্ধ নিও
গোলাপের কাঁটা নয় সৌরভ দিও
পিঁপড়ার মতো শৃঙ্খলা হও।
মানুষ হও
মানুষ হও মানবের তরে।
বিদঘুটে মনুষ্যত্বে আজ চিহ্নিত অসভ্য মানবতা ;
সেরা বিদ্যাপিটে মেধাবীদের রক্তে হোলি খেলা।
নোংরা রাজনীতির পরিপক্ব বিষাক্ত সর্প নাচ!
এটাই মানবতা, এটাই অর্জিত মনুষ্যত্বের সুস্থ বিকাশ,
বাহ! চমৎকার সৃজন, চমৎকার আবদ্ধ সংস্কৃতি
বিবেকগুলো স্মৃতির যাদুঘরে টাঙ্গিয়ে রাখার মতো
ভবিষ্যৎ প্রজম্ম দেখবে উলঙ্গ মানবতার চিত্র সমুহ !
হে - বাঙালী তোমরা সত্যি সত্যিই জড়বস্তু !
প্রতিযোগিতার মঞ্চে তাড়িত হৃদয়ে পোষা বিবেক।
ওখানে পড়াতে ব্যস্ত তোমরা উপচে পরা ভীড়ে।
বেশ কি আর বলি সবই তো উল্টো এই অদৃশ্য পথে,
কারন মানানসই মার্জিত লেবেলে জাতি যত ঘুনেপোকো !
মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি, বুকের বোতাম খোলা, পায়ে -
বেমানান চটি এ-সবই আজ পরিপুষ্ট ভদ্রতা আর মানবতা !
নির্বাক এ সভ্য জাতি, সমাজ, নির্বাক জাতি এক প্লেট ভাতে !
বোঝার উপায় নেই কে পশু ? কে মানুষ? কোনটা মানবতা ?
বনের মধ্যে শুকুর না কি মানব জাতিতে মানুষ রুপি শুকুর,
মানবতা আজ ধর্ষিত ইতিহাসে এক বিভৎস কালো ছায়া !