হরিৎ প্রাচীরে লালচে-হলুদ ফুল
পাপড়ির ভাঁজে ঝলমলে দ্যুতি ছড়াচ্ছে,
রাজন্যের তাজ স্বরূপ সূবর্ণ তার কেশর সজ্জা
ডাল যেন মরকত মণি, পাংশুবর্ণ তার কায়া
নিজেতে মগ্ন পথিকে ভাবে অমূলক প্রহসন,
দূষিত নগরীর অভিমুখে রূপচর্চার আয়োজন
বৃক্ষকূলের পাতাঝরা এক অভিসম্পাত;
চারদিকে যেন ঝলসানো চৈত্রের খরা।
বিদেশিনী গুল্মের রঙ্গন সমাহারে নেই তৃষ্ণা
নিজের সৌন্দর্য বিলিয়ে দেয় অকপটে
মানুষের হৃদয়ে শুভ্রতা দিতে সে ছাড়িল কানন
লোকালয়ে এসে গড়েছে সে আশ্রয়,
রূপের লাবণ্যের গড়িমসি নেয় এক চিলতে
কল্পনায় সে কনক কিংবা কৃষ্ণচূড়ার সহোদরা!
খচিত সেই নগর রূপসীর নাম রাধাচূড়া।