ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

আদরের মুন

প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ পিএম
আদরের মুন
চিত্রশিল্পী: নাজমুল মাসুম

মামুন আর মুনিয়ার বিয়ে হয়েছিল পারিবারিকভাবেই। তাদের বিবাহিত জীবনের বেশ কয়েক বছর অতিবাহিত হয়েছে। অনেক চেষ্টার পরও বিয়ের চার বছরেও তাদের ঘরে কোনো সন্তান আসেনি।
সন্তান না আসায় শ্বশুরবাড়িতে মুনিয়ার জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ল। প্রতিনিহত সে কটু কথার আঘাতে জর্জরিত হতো। হাতে না মারলেও, কথার আঘাতে আহত হতো তার হৃদয়। তার স্বামী মামুন তাকে এ ব্যাপারে কিছু না বললেও পরিবারের বিপক্ষেও কখনো কিছু বলেনি। সে বরাবরই মা-ভক্ত।

মামুনকে পুনরায় বিয়ে করানোর জন্য তার পরিবার উঠেপড়ে লেগেছে। সেখানেও মামুন পালন করেছে নীরব ভূমিকা।
মুনিয়া নিরুপায়। একমাত্র আল্লাহই এখন তার ভরসা। নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে সে তার মনের আশা ব্যক্ত করে। মনে মনে তার একটাই চাওয়া, যাতে আল্লাহ তাকে একটি সন্তান দান করেন। 
মহান আল্লাহ মুনিয়ার মনের আশা অপূর্ণ রাখেনি। অবশেষে বিয়ের পাঁচ বছর পর মুনিয়ার কোলজুড়ে ঘর আলো করে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তান আসে। তাকে নিয়ে কত খুশি, কত স্বপ্ন, কত আশা। 
মুনিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোক এ নিয়েও ক্ষিপ্ত। ছেলে সন্তান না হওয়ার কারণে তারা সবাই অখুশি। ব্যতিক্রম মামুন। সে তার কন্যাসন্তান পেয়ে যেন আকাশের একটা তারা হাতে পেয়েছে।
দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। মামুন আর মুনিয়ার এক মাত্র আদরের ধন। তাদের নামের সঙ্গে নাম মিলিয়ে একমাত্র কন্যাসন্তানের নাম রাখা হয় ‘মুন’।

মুনিয়া অনেক যত্নে তার আদরের কন্যাকে বড় করে তোলে। মেয়েকে নিয়ে তার একটাই আশা, যাতে সে তার কন্যাকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। যাতে তার মেয়ে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, নিজেকে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারে। মেয়ে বলে আজ যারা মুনকে অগ্রাহ্য করেছে তারাই যেন মুনের সফলতায় ঈর্ষা করে। সে বুঝিয়ে দিতে চায় মেয়েরাও কম নয়। চাইলে তারাও সফলতার শিখরে পৌঁছতে পারে।
মুনের মুখে আধো আধো বোল ফুটতে থাকে। মুনিয়া অবাক তার মেয়ের স্মরণশক্তি দেখে। এত ছোট বয়সেই মুন বন্দে আলী মিঞার ‘আমাদের গ্রাম’ কবিতাটি শুনে শুনেই মুখস্থ করে নিয়েছে। তার বাবা অফিস থেকে ফিরলে সে ছোটো ছোট হাত-পা হেলেদুলে দারুণ ভঙ্গিমায় কবিতাখানি আবৃত্তি করে দেখানোর চেষ্টা করে।
কবিতার প্রতি এমন আগ্রহ দেখে মুনিয়া মুনকে আবৃত্তি শেখানোর কথা ভাবতে থাকে।
 মামুনের ইচ্ছা সে মুনকে গান শেখাবে। 

দুজনের দুরকম সিদ্ধান্তে কিছুটা আড়ষ্টতা দেখা গেলেও দুজনেই সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েকে তারা আবৃত্তি এবং গান দুটোই শেখাবে।
ধীরে ধীরে মুন বড় হতে থাকে। সে তার মায়ের হাত ধরে আবৃত্তি শেখার প্রয়াস চালায়।
ছোটো বয়স থেকেই মায়ের হাত ধরে সে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করে।
মুন যখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে তখন সে ১৬ লাইনের একটি কবিতা লিখে ফেলে তার ‘বাবা’-কে নিয়ে। বাংলাদেশ বেতার, রেডিও আমার, বাংলাদেশ টেলিভিশনে মুন নিয়মিত আবৃত্তি করা শুরু করে। তার ঝুলিতে আসে অসংখ্য পুরস্কার। 
তার লেখা কবিতা বিভিন্ন প্রত্রিকায় ছাপা হয়। শিশু আবৃত্তিকার হিসেবে সবার কাছে বেশ পরিচিতিও লাভ করে সে।
মুন লেখাপড়ায় বেশ মনোযোগী। তার মনে রাখার ক্ষমতা প্রবল। তার হাতেখড়ি শুরু হয়েছিল তার মায়ের কাছেই। মায়ের কাছে পড়াশোনা করে সে এসএসসি পাস করেছে এবং জেলা পর্যায়ে বৃত্তি পেয়েছে। এইচএইচসিতেও করেছে অভাবনীয় রেজাল্ট। 
মুনকে নিয়ে বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন। মুনের বাবা-মায়ের স্বপ্ন আরেক ধাপ এগোয় যখন মুন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে। মুন ঢাবির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে, সেখানেও বেশ পরিচিতি পায় এবং নানাবিধ পুরস্কার লাভ করে।
মুন তার মেধা, শ্রম, সততা এবং বাবা-মায়ের দোয়ায় ভালো রেজাল্ট নিয়ে ভার্সিটি জীবন শেষ করে এবং গোল্ড মেডেল অর্জন করে। সে তার পরিশ্রমের দ্বারা এমফিল, পিএইচ.ডি সম্পন্ন করে। 

তার মায়ের অদম্য ইচ্ছা ছিল তার মেয়ে যেন একসময় জাতীয়ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, নিজেকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। যারা তাকে মেয়ে বলে অগ্রাহ্য করেছিল তারাই যেন তার সফলতায় তাকে বুকে টেনে নেয়।
ছোটবেলা থেকেই সৎ উপদেশ, শিক্ষা, মায়ের ইচ্ছা- সব কিছু সেই ছোট্ট মুনকে আজ তার অধিষ্ঠিত লক্ষ্যে নিয়ে গেছে।
বাবা-মায়ের চোখের মণি সেই ছোট্ট আদুরে কন্যাটি আজ হাজার হাজার শিক্ষার্থীর আইডল। তাদের পথপ্রদর্শক।
তবে বড় মুন তার মা-বাবার কাছে এখনো সেই ছোট্ট আদুরে বাচ্চা হয়েই আছে। যার জন্য তার মা অনেক আগেই বুনে রেখেছিল স্বপ্নের বীজ, যার সফলতায় দেখেছিল নিজের সফলতা।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

বিনিময়
সাত্ত্বিক দাস

আকাশজুড়ে ধুধু মাঠ,
ওই, আকাশে নক্ষত্রের নাচ, ও পাড়ার বারোয়ারি তলায়।
নির্ঘুম পেঁচার দল, ঘুম চোখে মাথা নাড়ে নিঃসংকোচে
নক্ষত্রের আলোয়, আমার মাথার ভিড়।
পোড়া ভাতের গন্ধে, একাকী ছায়ামূর্তি,
নিরুপায় চোখে চেয়ে আছে, সম্মুখ পানে
কী দেবে বিনিময়ে?
দুই মুঠো ভাত, 
প্রেম, ভালোবাসা, আদুরে হাত।
না কি, মৃত্যু যন্ত্রণা।।

 


দগ্ধ হৃদয়ের খোঁজ
সুমনা আফরিন

তার কোথাও একটা শূন্যতা ছিল
হয়তো শূন্যতায় ভরা কুঠরি ছিল
হয়তো তাতে
নিচ্ছিদ্র যন্ত্রণায় ভরা কোনো দুঃখবাক্স ছিল।

তার বাক্সে হয়তো কালো ও নীল কলম ছিল
কলমে কালি ছিল কম
হৃদয়ে কথার গুরুভার থাকলেও
সব কথা হস্তাক্ষর পায়নি।

তার জন্য সংরক্ষিত সবুজ কালির
সতর্কতার লাল কালির 
বল পেনের কোনো কমতি ছিল না।

তার চোখ বলত
ফাউন্টেন পেনের
অভিলাষ তার নেই।
বাসনা কেবল একটা শূন্য ডাকবাক্সের
শূন্য খাতার অধিকারী
একজন দগ্ধ মানুষের।

তার চোখে খোঁজ ছিল
কোনো পোড়া চোখের
পোড়া চোখের দগ্ধ হৃদয়ই পারে
পৌরহিত্যে করে
বুকের জগদ্দল পাথর নামাতে
দগ্ধ জনের অসীম শূন্যতা ঘোঁচাতে।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

ফেরারি নারী
মোহামেদ সাইফুল হাসান

কৃত্তিকা তারার আবির্ভাব হেমন্তের পশ্চিমাকাশে
মৃদুমন্দ শীত নীরবতার গহিন অন্ধ রাতে,
বাঁশির সকরুণ আওয়াজ বাউল গানের সুরে 
টিনের চালে বেদনাতুর শিশির ঝরার শব্দ 
ছাতিমের গন্ধে অতীতের উঁকি তৃষিত অন্তরে,
পুরো একটি বছরের দূরত্ব, হলো দেড় কোটি সমান
অতিথি পাখিরাও চলে এল আপন দেশ ছেড়ে
শুধু ফেরারিদের ফিরে আসার নাম নেই!

 


শক্তি
রজব বকশী 

প্রতিটি মানুষ এক একটি প্রদীপ 
হোক না সে অন্ধ কিংবা অন্ধকারে একা 
তথাপি জ্বলতে থাকে 
দৃশ্য-দৃশ্যান্তর

এই শক্তির প্রাচীন ব্যবহারে পড়ে থাকে কেউ 
কেউবা নতুন করে পথ খুঁজে ফেরে 
কেবলি নিজের জন্য নয় 
সামগ্রিক চৈতন্যের বিদ্যুৎপ্রবাহ নিয়ে ভাবতে শেখায় 

এই জেগে থাকা আর জাগানোর গান
আপন সত্তায় প্রতিস্থাপনের টেকনিক স্বপ্ন টাওয়ার
অন্যরকম বোধের আকরিক সংকেত পাঠায়
মানবিক মূল্যবোধে মেধা প্রতিভার এক একটি নক্ষত্র 

এই সভ্যতার আলোকিত মনিটরে ভেসে ওঠে 
ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে যে পাওয়াগুলো জয়ধ্বনি করে
সেই আলোয় নিজেকে নতবৃক্ষ হতে দেখা যায়
তারই ইতিহাস পাঠে মনোযোগী আমাদের সময়ের ঢেউ 

 


ক্লিওপেট্রার রোমাঞ্চকর প্রেম 
সাগর আহমেদ 

ক্লিওপেট্রার হাতে সোমরসে শরাব পাত্র 
গলায় প্যাঁচানো সদন্তে সাপ,

তার খিলখিল হাসিতে ছলনার রং 
দেশ, মহাদেশ পেরিয়ে জুলিয়াস সিজার 
পেল তবে পাপ?

এল গৃহযুদ্ধ, এল বিদেশি শক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা 
হারেমের দেয়ালে তবু প্রেম আলপনা,
ক্লিওপেট্রার এক হাতে প্রেম, অন্য হাতে যুদ্ধ 
ফণীমনসার রাতে দারুণ উন্মাদনা।

প্রেম, বিরহ, ছলনায় ক্লিওপেট্রা, জুলিয়াস সিজার 
স্থিত যুগে যুগে,
সে এক রোমাঞ্চ কাব্য
উন্মাতাল সর্বগ্রাসী যৌবন সম্ভোগে।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

আমার ধ্যান শুধুই তোমার মুখ 
মিনহাজ উদ্দিন শপথ 

রোদের হ্যাঙ্গারে শুকাই 
গত রাতের ভেজা চোখ 
স্যাঁতস্যাঁতে স্বপ্নের পর্দা
তোমার কাছ থেকে ফিরে আসার পর মনে হলো 
বাগানের ফুলগুলো আজ
অযথাই সৌরভে সারাৎসার। 

অন্ধের কাছে সব ইন্দ্রিয় দক্ষতার কথা 
জানতে চেয়ো না কখনো আর
আমার ধ্যান শুধুই তোমার মুখ

 

 


জখমিপ্রেম
মোজাম্মেল সুমন

অতঃপর তুমি
নির্বিঘ্নে পবিত্র হৃদয়ের ভূমি
থেকে হারিয়ে যাওয়াতে
শূন্যতার হাওয়াতে
একাকিত্বের ছায়া জমতে জমতে
ভালো থাকা কমতে কমতে
আমার নিগড়ে পড়ার
চোখের অশ্রুজল বিগড়ে মরার
প্রতিধ্বনিতে বরফ
হয়ে নিশ্চুপ থাকলেও আমার তরফ
থেকে এখনো কিঞ্চিৎ লুকাইনি
অথবা শুকাইনি
বলে প্রতিনিয়ত বোবাকষ্ট প্রপাতের
দৃশ্য বেদনার প্রভাতের
মতো ফোটে
আর জীবনে জোটে
জখমিপ্রেমের অসহ্য ভগ্নাংশ
কিংবা নিষ্পেষিত অহেতুক স্বপ্নাংশ
যার প্রকৃত মানে
বেঁচে থাকা ক্রমাগত জীবন্মৃতের পানে।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

ঐশ্বর্য সুখ-হেমন্তকাল 
পবিত্র মহন্ত জীবন 

সাদারঙে মেঘবালিকা ভেসে বেড়ায় আকাশে...
শীতের সকাল, উল্টো হেমন্তের খোলাহাওয়া 
হিমায়িত কুয়াশায় চাদরে ঢেকে যায় রোদ্দুর।
বাঁশপাতার ফাঁকে টুপটাপ শিশির জলফোঁটা...
সোনা মাটির সবুজবীথি, ফসলের মৌ সুগন্ধ
হেমন্তের আগমন নবান্ন সুখ, ক্যানভাসে ভাসে।
ফড়িংভেজা সকাল চুঁইয়ে চুঁইয়ে টুপটুপ বৃষ্টি
দূর্বাঘাসের ডগায় শিশিরের টলোমলো 
হলুদ রং ছোঁয়াতে বসে ঐশ্বর্য সুখ, আনন্দকাল...
মৌমাছি ফুলে ফুলে মধুভরা হেমন্তকাল
কাঁচাপাকা ফসিল মাঠ, কাজে ব্যস্ত কৃষাণ
গ্রামবাংলার কাদামাটির হাঁড়ি বানায় পাল...
শিল্পের সাবলীল জলছবি হেমন্তকাল।

 

 

রোদের ডাকপিওন
মতিউর রহমান

মৃত সকালের চৌকাঠে পা রেখে দেখি…
শীত আর কুয়াশায় লেখা চিঠি হাতে ডাকপিওন
চিঠির খাম খুলি
কিছু কান্না আর দীর্ঘশ্বাসের শব্দ
অস্ফুটে গোঙায়
প্রেমিকার চুলে সূর্যাস্তের রং মুছে
যে দিন গত হয়েছিল
ফিরে ফিরে আসে
আমি শীত-কুয়াশা উপেক্ষা করে
দিনরাত সেলাই করি আলুথালু জীবন, যাপনের ছেঁড়া জামা
একটু একটু করে পুবালি আকাশ হলুদ হয়
দূরে দেখি, রোদের ডাকপিওন
পায়ে পায়ে হেঁটে আসে আমার আঙিনায়।

তবু কেউ নেই

প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
তবু কেউ নেই

কেউ ছিল না এমন তো নয়
কেউ তো ছিল।
তবু কেউ নেই, কেউ কোথাও নেই!
ওই সুদূরে ভেসে ওঠে খুব চেনামুখ
তবু মনে হয় অচেনা, ভীষণ অচেনা!
জীবনের গল্পগুলো মায়ায় আচ্ছন্ন
এক ধূসর কালো বিরহী উপসংহার।
গোধূলির রং ছুঁয়ে নেমে আসা রাত
নির্ঘুম জোনাকির মতো আলো জ্বেলে
অপেক্ষায় থাকা নিবিড় উষ্ণ অনুভব
বাতাসের বুকে হাস্নাহেনার সৌরভ।
ওই নগ্ন আঁধার ভুলে গেছে প্রতিশ্রুতি
ফিরে আসে নীল খামে বিরহ চিরকুট।
বুকের যত কথা নির্বাক অপাঙ্‌ক্তেয়
ব্যথার অসুখে ক্ষত হয় হৃৎঅন্তঃপুর।