ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

কবিতা

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
কবিতা

তুই কি আমার হবি

মুনমুন চক্রবর্তী

 

তুই  কি আমার বৃষ্টি হবি?

যেন খুব মন খারাপেও ভিজতে পারি

যেন তোকে খুব খুশিতে ছুঁতে পারি

 

তুই কি আমার আকাশ হবি?

আমার সব বিষন্নতা নিজের করে নিবি

ভালোবাসার সবগুলো রং আমায় মাখাবি

 

তুই আমার সাগর হবি?

যেন আমি তোর বুকেতে ঢেউ হয়ে আঁচড়ে যেতে পারি

যেন তোর নীলিমা গায়ে মাখাতে পারি

 

তুই কি আমার চাঁদ হবি?

যেন আমি যখন তখন হাঁ হয়ে দেখতে পারি

যেন অমাবস্যায়ও আমি চাঁদ ছুঁতে পারি

 

তুই কি আমার গল্প হবি?

 রূপকথার রাজকুমার হবি?

তুই কি সত্যিই আমার হবি?

 

শ্রাবণ নিশিতে

শারমিন নাহার ঝর্ণা

বাহিরে ঝরছে শ্রাবণ নিস্তব্ধ নিশিতে

মুখোমুখি বসে দু'জন অপলক দৃষ্টিতে,

ঘুমিয়ে পরেছে সব গাছের সবুজ পাতা

জেগে আছে হৃদয় ঘরে অজস্র কথা

 

এই চেয়ে থাকার মাঝে যেন অপার সুখ

জানিনা কেন মহামায়ায় ভরে ওঠে বুক?

রিমঝিম শব্দে শ্রাবণের মেঘগুলো ঝরছে

শূণ্য পাত্র গুলো জলের ফোঁটায় ভরছে

 

নয়ন সরোবরে হারিয়ে গেছে এই মন

ঝিঁঝি পোকার গানে মধুময় হলো ক্ষণ,

শ্রাবণ নিশি ফুরিয়ে এলো রঙিন প্রভাত

সহস্র বছর মায়ায় জড়ানো থাক দুটি হাত

 

গণক

মামুন মুস্তাফা

 

গণকের হাতের তালুতে একটি মাছি

মাছি উড়ে গেলে সময় স্তব্ধ হয়;

 

গণকের হস্তরেখা ওলোটপালট

কুষ্ঠির প্রাণভোমরা এখন আঙুলের ডগায়

 

ওই হাতের রেখা ক্রমশ নিভে যাচ্ছে

গণক নিজেই উল্টোরথে

            সামনে আত্মহননের গাছ

 

বাঁশি বাজে অন্য লোকে...

 

 

মৃতবীজ

দ্বীপ সরকার

 

নির্মোহ রোদের কফিন খোলা শেষ হলে পরে

সারি সারি মৃতবীজ খসে পড়ে

মৃতবীজ মানেএই বীজে মৃত্যু লেখা আছে সকলের

 

অতঃপর কফিন থেকে আমার পিতা খসে পড়েন

আমার পিতামহ খসে পড়েন

তাদেরও পূর্বপুরুষরা খসে পড়েন সারি সারি

 

মৃতবীজ থেকে কবে যে আমিও খসে পড়বো

জানা নেই

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

অপেক্ষার প্রহরে রক্ত লাল পতাকা
পুলক রঞ্জন 

মাঝ রাতে ডাকে শিয়াল-কুকুর
গাছে বসে ডাকে কানা কুহো
চারদিকে সুনসান নীরবতা
ভয়ে বিহ্বল স্বপনের মা-ও।

স্বপনের বাপ এক কাপড়ে যুদ্ধে
গেছে; একাত্তরের মাঝ এপ্রিলে
ছোট ছোট পোলাপান নিয়ে একা
আছে স্বপনের মা; দরজা বন্ধ খিলে।

এক একবার খবর আসে বাতাসে
স্বপনের বাপ যুদ্ধে মরে গেছে
স্বপনের মা কাপড়ে চোখ মোছে।

রাজাকার জলিল তারে আকার
ইঙ্গিতে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেয়
মুখ বুঝে সহ্য করে; অনুভূতি অসার
ভয় করে কখন যেন পাকি জারজরা
তুলে নিয়ে যাবে ক্যাম্পে নষ্ট করতে।

বাড়ির পাশের কোমেলা ফুপু
সেদিন পান খাইতে এসে বলে গেল
ওই পাড়ার ছলিমের নয়া বৌরে ধরে
নিয়ে গেছে ক্যাম্পে; 
রাজাকার জলিল ছিল সাথে; 
জলিলের তাকানোর ধরন ভালো না। 

কেমন যেন শকুনের চোখ; 
কাঁচা মাংসের লোভে লোল পড়ে; 
গ্যাদা বাচ্চাদের বুকের কাছে
খুব জোরে চেপে ধরে রাখে স্বপনের মা। 

অপেক্ষায় থাকে স্বপনের মা 
কবে আসবে বিজয়ী বাংলাদেশ
সঙ্গে বাংলার দামাল ছেলেরা 
আর মুক্তিযোদ্ধা স্বপনের বাপ
এক স্নিগ্ধ ভোরে পূর্ব দিগন্তে
পতপত করে উড়বে সবুজ
জমিনে রক্ত লাল পতাকা।।

 

 

অবাক করা বিজয় 
নকুল শর্ম্মা

মায়ের অপেক্ষার চোখে আমি বিজয় দেখেছি- 
কত গঙ্গা গড়িয়েছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে,
মায়ের অপেক্ষার চোখ তবুও নির্ঘুম।

মায়ের অপেক্ষার চোখে আমি বিজয় দেখেছি-
সবুজের আঁচল পাতা ফসলের মাঠে,
ব্যস্ত কৃষকের অপলক দৃষ্টির উল্লাসের ঝলকানিতে।

মায়ের অপেক্ষার চোখে আমি বিজয় দেখেছি-
কিশোর-কিশোরীর অব্যক্ত রঙিন সংলাপে, 
নতুন উদ্দীপনায় উদাত্ত মিছিলের সরব আয়োজনে।

মায়ের অপেক্ষার চোখে আমি বিজয় দেখেছি-
জনসমুদ্রের বাঁধভাঙা কথার জোয়ারে,
সবুজের বুকে রক্ত রাঙা প্রখর সূর্যের আলোতে।

মায়ের অপেক্ষার চোখে আমি বিজয় দেখেছি-
তেজোদ্দীপ্ত যুবকের বলিষ্ঠ অঙ্গুলি উত্তোলনে,
অকুতোভয় সংগ্রামের অনিবর্চনীয় শপথের প্রতিশ্রুতি।

মায়ের অপেক্ষার চোখে আমি বিজয় দেখেছি-
সকল বিভেদের জঞ্জাল সরানোর প্রতিজ্ঞায়,
মায়ের কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত আজীবন।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

এক চিলতে রোদ
জহিরুল হক বিদ্যুৎ

 

এক চিলতে রোদের মতো একটু হাসি 
বদলে দেয় মন আকাশের বিরহী রং। 
মরা নদীর অববাহিকায় কোনো সুর নেই, 
ওরা গান গায় এক পসলা বৃষ্টি মেখে।
জলহীন নদী আর জলহীন বৃক্ষ
নাম বদলে হয়ে ওঠে চর আর কাষ্ঠ,
এই পরিবর্তন কাউকে তেমন ভাবায় না!
প্রচ্ছদে আঁকা কিছু ছবি নিছক বিভ্রান্তি ছড়ায় 
পটভূমিতে চোখ রাখলেই বোঝা যায় 
ওখানে হিজল ফুল আর নদীর সখ্যতা বিবর্ণ।
হাসি ও ক্ষুধা কোনটার শক্তি বেশি?
প্রেম ও ঘৃণার মতো বিপরীত?
নাকি জীবন বোধের মর্মে সমান্তরাল?
একটি নির্মল সহাস্যমুখ স্বপ্নে এসে উঁকি দেয়
অন্ধকারে ক্ষুধার দরজায় নক করে,
সে জানে শোষিত মানুষের স্বপ্নের ইতিকথা! 

 


কতদূর শান্তিপুর
এস ডি সুব্রত

 

পাথর সময়ে রুদ্ধ বিবেক
ব্যথা বিষে নীল অন্তরাত্মা
পরবাসী দহন গহিন ভেতর 
বোঝা মুশকিল আসল নকল!
কেবল স্বার্থের বেচাকেনা
বড়ই কঠিন মুখোশ চেনা
আর কতদূর শান্তিপুর 
স্বস্তি কোথায় নেই জানা!!

 


অদৃশ্য চুম্বন 
কাজল নিশি 

শীতের আভাস এলেই,
ঠোঁটের তৃষ্ণারা কেমন যেন বেসামাল হয়ে পড়ে! 
নীরবে খোঁজ করে নওজোয়ানের-
কোলবালিশ চেপে ধরতেই অদৃশ্য চুম্বন!

হিম বাতাসে নাকে আসে যুবকের ঘ্রাণ
আড়াল থেকে আর কত মারবে প্রেমের বান!
মাতাল আমি... বড্ড চঞ্চল তনুমন।

অতঃপর আমার ভেতরের আমিটা তাকেই খোঁজে অষ্টপ্রহর…

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ এএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

হৃদয়াকাশে 
সুশান্ত কুমার দে 

হৃদয়াকাশে এক রাস অশনিসংকেত 
কালো মেঘের দাপাদাপি, বজ্রপাতের 
আশঙ্কায় রুদ্ধশ্বাসে গৃহবন্দি জীবন!
হায়রে, হে দুর্লভ জীবন তোমাকে 
দিতে পারিনি এতটুকু সুখ! এতটুকু শান্তি!
তুমি মৃত্যুর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়েই থাকো।
তোমার ভালোবাসার স্বপ্নের বাসর আজ
মরুভূমির বালুকাবেলায় আচ্ছাদিত!
হয়তোবা কোনো এক ক্ষণে, তোমাকে 
ছিঁড়ে, ছিঁড়ে খাবে ওই লোলুপ দৃষ্টিটা, 
আপাদমস্তক ক্ষতবিক্ষত চিহ্নে 
এঁকে দেবে কুচক্রীর ভয়ংকর থাবায় 
একটা অমানবিক মানচিত্রের প্রচ্ছদ!

 

ভোরবেলাতে অশ্রু হয়ে
সৌপর্ণ মাছুম

শিউলিতলায় রাশি রাশি নিমেষ-হৃদয়কারা
ভোরবেলাতে অশ্রু হয়ে ঝরে রাতের তারা।।
শীতল-সুবাস মায়াজালে
ছোটে এ মন মোহন তালে
শুভ্রচোখে উন্মীলিত কমলারঙা তারা।।
রাজকুমারী শেফালিকা বহু বছর আগে 
দিনমণিকে চেয়েছিল গভীর অনুরাগে
ফিনিক্স রূপী ভস্ম থেকে
শিউলি ফোটে শিশির মেখে
অসূর্যস্পশ্যা আজও সে অভিমানীপারা।।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

বিনিময়
সাত্ত্বিক দাস

আকাশজুড়ে ধুধু মাঠ,
ওই, আকাশে নক্ষত্রের নাচ, ও পাড়ার বারোয়ারি তলায়।
নির্ঘুম পেঁচার দল, ঘুম চোখে মাথা নাড়ে নিঃসংকোচে
নক্ষত্রের আলোয়, আমার মাথার ভিড়।
পোড়া ভাতের গন্ধে, একাকী ছায়ামূর্তি,
নিরুপায় চোখে চেয়ে আছে, সম্মুখ পানে
কী দেবে বিনিময়ে?
দুই মুঠো ভাত, 
প্রেম, ভালোবাসা, আদুরে হাত।
না কি, মৃত্যু যন্ত্রণা।।

 


দগ্ধ হৃদয়ের খোঁজ
সুমনা আফরিন

তার কোথাও একটা শূন্যতা ছিল
হয়তো শূন্যতায় ভরা কুঠরি ছিল
হয়তো তাতে
নিচ্ছিদ্র যন্ত্রণায় ভরা কোনো দুঃখবাক্স ছিল।

তার বাক্সে হয়তো কালো ও নীল কলম ছিল
কলমে কালি ছিল কম
হৃদয়ে কথার গুরুভার থাকলেও
সব কথা হস্তাক্ষর পায়নি।

তার জন্য সংরক্ষিত সবুজ কালির
সতর্কতার লাল কালির 
বল পেনের কোনো কমতি ছিল না।

তার চোখ বলত
ফাউন্টেন পেনের
অভিলাষ তার নেই।
বাসনা কেবল একটা শূন্য ডাকবাক্সের
শূন্য খাতার অধিকারী
একজন দগ্ধ মানুষের।

তার চোখে খোঁজ ছিল
কোনো পোড়া চোখের
পোড়া চোখের দগ্ধ হৃদয়ই পারে
পৌরহিত্যে করে
বুকের জগদ্দল পাথর নামাতে
দগ্ধ জনের অসীম শূন্যতা ঘোঁচাতে।

সাহিত্যসভার কবিতা

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ এএম
সাহিত্যসভার কবিতা
অলংকরণ: মেহেদী হাসান

ফেরারি নারী
মোহামেদ সাইফুল হাসান

কৃত্তিকা তারার আবির্ভাব হেমন্তের পশ্চিমাকাশে
মৃদুমন্দ শীত নীরবতার গহিন অন্ধ রাতে,
বাঁশির সকরুণ আওয়াজ বাউল গানের সুরে 
টিনের চালে বেদনাতুর শিশির ঝরার শব্দ 
ছাতিমের গন্ধে অতীতের উঁকি তৃষিত অন্তরে,
পুরো একটি বছরের দূরত্ব, হলো দেড় কোটি সমান
অতিথি পাখিরাও চলে এল আপন দেশ ছেড়ে
শুধু ফেরারিদের ফিরে আসার নাম নেই!

 


শক্তি
রজব বকশী 

প্রতিটি মানুষ এক একটি প্রদীপ 
হোক না সে অন্ধ কিংবা অন্ধকারে একা 
তথাপি জ্বলতে থাকে 
দৃশ্য-দৃশ্যান্তর

এই শক্তির প্রাচীন ব্যবহারে পড়ে থাকে কেউ 
কেউবা নতুন করে পথ খুঁজে ফেরে 
কেবলি নিজের জন্য নয় 
সামগ্রিক চৈতন্যের বিদ্যুৎপ্রবাহ নিয়ে ভাবতে শেখায় 

এই জেগে থাকা আর জাগানোর গান
আপন সত্তায় প্রতিস্থাপনের টেকনিক স্বপ্ন টাওয়ার
অন্যরকম বোধের আকরিক সংকেত পাঠায়
মানবিক মূল্যবোধে মেধা প্রতিভার এক একটি নক্ষত্র 

এই সভ্যতার আলোকিত মনিটরে ভেসে ওঠে 
ভাঙাগড়ার ভেতর দিয়ে যে পাওয়াগুলো জয়ধ্বনি করে
সেই আলোয় নিজেকে নতবৃক্ষ হতে দেখা যায়
তারই ইতিহাস পাঠে মনোযোগী আমাদের সময়ের ঢেউ 

 


ক্লিওপেট্রার রোমাঞ্চকর প্রেম 
সাগর আহমেদ 

ক্লিওপেট্রার হাতে সোমরসে শরাব পাত্র 
গলায় প্যাঁচানো সদন্তে সাপ,

তার খিলখিল হাসিতে ছলনার রং 
দেশ, মহাদেশ পেরিয়ে জুলিয়াস সিজার 
পেল তবে পাপ?

এল গৃহযুদ্ধ, এল বিদেশি শক্তি, বিশ্বাসঘাতকতা 
হারেমের দেয়ালে তবু প্রেম আলপনা,
ক্লিওপেট্রার এক হাতে প্রেম, অন্য হাতে যুদ্ধ 
ফণীমনসার রাতে দারুণ উন্মাদনা।

প্রেম, বিরহ, ছলনায় ক্লিওপেট্রা, জুলিয়াস সিজার 
স্থিত যুগে যুগে,
সে এক রোমাঞ্চ কাব্য
উন্মাতাল সর্বগ্রাসী যৌবন সম্ভোগে।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });