ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলন : ৪ সাংবাদিক নিহত, জখম দুই শতাধিক

প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ০৮:০১ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলন : ৪ সাংবাদিক নিহত, জখম দুই শতাধিক
হাসান মেহেদী ও তৌহিদ জামান প্রিয়

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারা দেশে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২২২ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থা অন্তত ৬৫ জনের। আহত সাংবাদিক ও গণমাধ্যমগুলোর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় ঢাকায় নিহত হন সাংবাদিক হাসান মেহেদী ও তৌহিদ জামান প্রিয়, সিলেটে এ টি এম তুরাব ও গাজীপুরে মো. শাকিল হোসেন। হাসান মেহেদী ঢাকা টাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় হাসান মেহেদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্তের সাংবাদিক এ টি এম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ছাড়া ১৮ জুলাই দৈনিক ভোরের আওয়াজের গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরের অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন বা সংঘাতের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন।

দৈনিক খবরের কাগজের দুজন আহত হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মাসুদ মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৯ জুলাই। এদিন দুপুরে পল্টনে তার শরীরে ছররা গুলি লাগে। এ ছাড়া পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম ১৮ জুলাই বছিলায় হামলার শিকার হন।

দৈনিক প্রথম আলোর তিন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাজিদ হোসেন, দীপু মালাকার ও খালেদ সরকার। তারা তিনজনই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।

দৈনিক আমাদের সময়ের ৯ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহতরা হলেন চিফ রিপোর্টার শাহজাহান আকন্দ শুভ, ফটোসাংবাদিক মনজুরুল বাবু, মো. মেহরাজ ও আলামিন লিওন, স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ কাফি ও রেজাউল রেজা এবং মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান।

কালের কণ্ঠের ছয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক মনজুরুল করিম, ফটোসাংবাদিক লুৎফর রহমান, শেখ হাসান ও মোহাম্মদ আসাদ। এ ছাড়া পত্রিকাটির আরও দুজন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আহত হয়েছেন। তারা হলেন আল আমিন ও মাহাদী হাসান।

দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ-এর তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু, ক্রাইম চিফ আলাউদ্দিন আরিফ ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আকাশ। ইংরেজি পত্রিকা ঢাকা ট্রিবিউনের দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আহাদুল করিম খান ও রাজিব কুমার ধর।

সমকালের দুই ফটো জার্নালিস্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাজ্জাদ মাহমুদ নয়ন ও মামুনুর রশীদ।

ইংরেজি পত্রিকা ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট প্রবীর দাস ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আবির আহত হন ঢাকায়। এ ছাড়া ডেইলি স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দোহা চৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র সাংবাদিক রোহেত রাজীব ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন। 

মানবজমিনের একজন ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ ২০ জুলাই রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন। তার শরীরে ছয়টি ছররা গুলি লাগে।

দেশ রূপান্তরের চার সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মহুবার রহমান ও মোশারফ হোসেন ভুবন, স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল হাসান সাগর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সুপন সিকদার।

ইত্তেফাকের একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি। সময়ের আলোর ছয় সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আব্দুল হালিম, আবদুল্লাহ আল মমীন ও শেখ ফেরদৌস, সাহিত্য সম্পাদক আলী রেজা চৌধুরী এবং অনলাইন ভার্সনের সাংবাদিক হুমায়ন ও আল ইমরান।

দৈনিক সংবাদের চার সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান ফটোসাংবাদিক সোহরাব আলম, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) মাসুদ রানা ও স্টাফ রিপোর্টার রেজাউল করিম। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

দৈনিক যায়যায়দিনের দুজন রিপোর্টার হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাহিদ হাসান। দুর্বৃত্তদের হামলায় তাদের হাতে ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। জনকণ্ঠের চারজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক সুমন্দ চক্রবর্তী ও জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার ফজলুর রহমান ও ঢাবি প্রতিনিধি মোজাহার।

ভোরের কাগজের দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মামুন আবেদীন ও সংবাদকর্মী রাজিবুল মানিক। যুগান্তরের দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহিদা হাসান ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন। অপরজন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা প্রতিনিধি আল আমিন প্রধান, তিনি ১৯ জুলাই গুরুতর আহত হয়েছেন। 

কালবেলার দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার রনি রায়হান ও মোবাইল জার্নালিজম রিপোর্টার আকরাম হোসেন।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক রিয়াজ আহম্মেদ সুমন ও সংবাদকর্মী সায়েদ হাসান শুভ। 

বণিক বার্তার তিন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মাসফিকুর আক্তার ও কাজী সালাহউদ্দিন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহেদী মামুন।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার রোকুনুজ্জামান মনি, ফটোসাংবাদিক রাজিব ধর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মো. কাজল সিকদার।

আজকের পত্রিকার দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক ফজলে এলাহী ওমর ও অন্যজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। বাংলাবাজার পত্রিকার একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন ফটোসাংবাদিক এম খোকন সিকদার। এ ছাড়া দ্য ডেইলি অবজারভারের ফটোসাংবাদিক খন্দকার আজিজুর রহমান আহত হয়েছেন।

সাংবাদিকদের নামে হয়রানিমূলক হত্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান ডিআরইউর

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
সাংবাদিকদের নামে হয়রানিমূলক হত্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান ডিআরইউর
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিকদের নামে হয়রানিমূলক হত্যা মামলা দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। এ ধরনের মামলা থেকে পেশাদার সাংবাদিকদের অবিলম্বে অব্যাহতির আহ্বান জানান ডিআরইউর নেতারা। সেই সঙ্গে তারা ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, গত ৫ আগস্টের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অর্ধশতাধিক পেশাদার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে, যা অনভিপ্রেত। সাংবাদিকরা আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকা বা অন্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ থাকলে সে অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে বলে মনে করে ডিআরইউ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অতীতে সাংবাদিকতার নৈতিকতাকে উপেক্ষা করে অনেক সাংবাদিক দলীয় দালালে পরিণত হয়ে এই মহান পেশার যে অপরিসীম ক্ষতি করেছে, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সাজানো হত্যা মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদা পুনরুদ্ধারে সঠিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। পেশার মান-মর্যাদা রক্ষা এবং দেশের স্বার্থে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানায় ডিআরইউ। 

ডিআরইউ নেতারা বলেন, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ থাকলে তা যেমন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন, তেমনি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি করতে সংবাদকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে সম্প্রতি দায়ের করা হত্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান নেতারা।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি হত্যা মামলায় অর্ধশতাধিক পেশাদার সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।

পেশাদার সাংবাদিকদের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিন: ডিইউজে

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪১ পিএম
পেশাদার সাংবাদিকদের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিন: ডিইউজে
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন

রাজনীতি ও ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিকদের হত্যা মামলায় জড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি এ ধরনের মামলা থেকে পেশাদার সাংবাদিকদের অবিলম্বে অব্যাহতির অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানান ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। 

বিবৃতিতে দুই নেতা বলেন, গত ৫ আগস্ট রাজনীতি ও ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পেশাদার সাংবাদিকদের একের পর এক খুনের মামলায় জড়ানো হচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চাশের বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবের নেতা রয়েছেন। এসব সাংবাদিক একদিকে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করছেন; অন্যদিকে সাংবাদিক সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা দেওয়া শুভ কোনো ইঙ্গিত বহন করে না।

বিবৃতিতে ডিইউজের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। কিন্তু বিগত সরকারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার অভিযোগ দিয়ে খুনের মামলায় জড়িয়ে দেওয়া সমীচীন নয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালত প্রাঙ্গণে হেনস্তা ও নির্যাতনের যে ঘটনা লক্ষ করা গেছে, তাও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত। 

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে খুনের মামলা দেওয়ার ঘটনা একদিকে পুরো সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কিত করে তুলছে; অন্যদিকে জনগণের মনেও ভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের কমিটমেন্টের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। তাই সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

রাজধানীতে নারী সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
রাজধানীতে নারী সাংবাদিকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য
নিহত সাংবাদিক রাহনুমা সারাহ

রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় সাংবাদিক রাহনুমা সারাহর (৩২) মরদেহ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হাতিরঝিলের পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সারাহ বেসরকারি চ্যানেল জিটিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।

সারাহর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি কেউ তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানতে পারেনি পুলিশ। মৃত্যুর আগে মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সারাহ। তাতে ফাহিম ফয়সাল নামে তার এক বন্ধুকে ট্যাগ করে তিনি কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেন। যেখানে ছবিতে ফাহিমও রয়েছেন। ট্যাগ করা ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, তোমার মতো বন্ধু থাকা খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি, খুব শিগগির তোমার স্বপ্ন পূরণ করবে। আমি জানি, আমাদের অনেক পরিকল্পনা ছিল। দুঃখের বিষয় হলো, পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলাম না। আল্লাহ তোমার জীবনের সব আশা বাস্তবায়ন করুন।

লেখা শেষে তিনি দুটি ভালোবাসার ইমোজি জুড়ে দেন। তার ১ ঘণ্টা আগে আরেক পোস্টে রাহনুমা লেখেন, ‘জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভালো।’ ওই পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে কপালে পতাকা বাঁধা কয়েকটি ছবিও যুক্ত করা হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে, সারাহর মৃত্যুর বিষয়টি তারা তদন্ত করছেন। বিশেষ করে হাতিরঝিলে তিনি কি রাতে একাই গিয়েছিলেন, নাকি কেউ তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকার একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পুলিশ পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখেই তদন্ত করছে। 

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতিরঝিল থানাধীন সড রেস্টুরেন্টের সামনে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস কাউন্টারের উল্টাপাশে পানিতে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখেন পথচারীরা। সাগর নামে এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. সাগর নামে ওই পথচারী ঢামেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ওই নারীকে লেকে ভাসতে দেখেন পথচারীরা। কিন্তু কেউ তাকে উদ্ধার করতে চাচ্ছিলেন না। পরে আমি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সরেজমিনে গেলে সড রেস্টুরেন্টের লোকজন জানান, রাতের বেলায় ওই এলাকায় লোকজন কম চলাচল করে। তারা মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি পরে জেনেছেন।

সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র খবরের কাগজকে জানান, সাত বছর আগে তারা বিয়ে করেছেন। তাদের বিয়েতে দুই পরিবারের মত ছিল না। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেনি। পরে জানতে পারি সে হাতিরঝিলে পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছিল। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স সম্পন্ন করব বলে কথা ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি। তিনি দাবি করেন সারাহর সঙ্গে তার কোনো ঝগড়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সারাহ বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল। পরে আমি তাকে ফোন করে বলি, রাতে তো তুমি বাসায় আসতে, তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়েছ? আমার প্রশ্নের উত্তরে সে বলে ‘আমি ব্যস্ত আছি’। এরপর সারাহ ফোন রেখে দেয়। শুভ জানান, তারা কল্যাণপুরের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

এদিকে, সারাহর মৃত্যুর পর তার বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে পোস্ট দিচ্ছেন। তার এক বন্ধু নাজমুস সাকিব ফেসবুকে লিখেছেন, সারাহ অনেক দিন থেকে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। চিকিৎসাও নিয়েছিলেন। সবাই তাকে আশ্বস্ত করেছিল যে তিনি ঠিক হয়ে যাবেন।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সারাহর বাবা বখতিয়ার শিকদার মেয়ের মরদেহ গ্রহণ করেন। দুপুর ১ টার দিকে মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন। তিনি সারাহর মরদেহের একাধিক টিস্যু সংগ্রহ করেন।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ তার মৃত্যুর কারণ জানাতে পারবে বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বোনের মধ্যে সারাহ ছিলেন ছোট। জানাজা শেষে তাকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় কৃষ্ণপুর এলাকায় দাফন করা হবে। 

হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে জানান, হাতিরঝিল লেকের পানিতে এক নারীর নিথর দেহ ভাসছিল। পথচারীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাতিরঝিল থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:০৫ এএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
হাতিরঝিল থেকে সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার
রাহানুমা সারাহ

রাজধানীর হাতিরঝিলের লেক থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির (জিটিভি) সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত পৌনে ২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান এক পথচারী। পরে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

রাহানুমা সারাহ জিটিভির নিউজরুম এডিটর ছিলেন। তিনি কল্যাণপুরে থাকতেন বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম বখতিয়ার শিকদার।

সারাহকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী মো. সাগর সংবাদমাধ্যমকে জানান, রাত পৌনে ১টার দিকে হাতিরঝিলের প্রথম ব্রিজের নিচে লেকে ভাসমান অবস্থায় ছিলেন ওই নারী। পাশেই তার ব্যাগ ভাসছিল। পানি থেকে তুলে তাকে দ্রুত তাকে বনশ্রীতে ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে সেখানে তাকে চিকিৎসা দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তবে কীভাবে লেকের পানিতে ডুবে গেছেন তা জানাতে পারেননি সাগর।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

অমিয়/

ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে আমন্ত্রণ পেলেন ইউএনবির প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে আমন্ত্রণ পেলেন ইউএনবির প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান
এনায়েতউল্লাহ খান

ষষ্ঠ ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিটে (ডব্লিউএমএস) আমন্ত্রন পেয়েছেন ইউনাইটেড নিউজ অফ বাংলাদেশের (ইউএনবি) প্রধান সম্পাদক এনায়েতউল্লাহ খান। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর এই সামিট হবে।

২০০৯ সালে সিনহুয়া নিউজ অ্যাজেন্সি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, রয়টার্স, তাস ও কিয়োডো নিউজের মতো শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক মিডিয়া সংস্থাগুলো মিলে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট প্রতিষ্ঠা করে। এটি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতার জন্য একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।

এবারের সামিটের প্রতিপাদ্য ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মিডিয়া ট্রান্সফরমেশন’। গণমাধ্যমে এআইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে এবারের সামিটে আলোচনা করা হবে। সংবাদ সংগ্রহ, উৎপাদন এবং বিতরণকে এআই কীভাবে নতুন রূপ দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এআইয়ের কারণে গণমাধ্যমকে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ও যেসব সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে আলোচনা করবেন সামিটে অংশগ্রহণকারীরা।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চীনের গুয়াংডং ও ইউনান প্রদেশে আয়োজিত হয় ৫ম ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট। এই আয়োজন বেশ প্রশংসিত হয় যার ফলে এবছরের আয়োজনের ওপর প্রত্যাশা আরও বেশি।

বিশ্বের প্রধান প্রধান গণমাধ্যম, সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং হাই-টেক উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সামিটে যোগ দেবেন ইউএনবির প্রতিষ্ঠাতা এনায়েতউল্লাহ খান। 

ইউএনবি প্রতিষ্ঠার পর একে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড বেসরকারি সংবাদ সংস্থায় পরিণত করেছেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে তিনি বাংলাদেশে ডিজিটাল সাংবাদিকতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

প্রতিনিয়ত বিশ্ব গণমাধ্যম যেসব সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে পরিণত হয়েছে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট। এ বছরের সামিটে এআই ও গণমাধ্যমের রূপান্তরকে মূল আলোচ্য করা হয়েছে, যা বিশ্ব গণমাধ্যমের গতিশীলতা ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে উদ্ভাবনের ধারণার গুরুত্ব তুলে ধরে।

২০০৯ সালে সিনহুয়া নিউজ অ্যাজেন্সি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, রয়টার্স, তাস ও কিয়োডো নিউজের মতো শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক মিডিয়া সংস্থাগুলো মিলে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট প্রতিষ্ঠা করে। এটি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতার জন্য একটি প্রধান প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।

এবারের সামিটের প্রতিপাদ্য ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মিডিয়া ট্রান্সফরমেশন'। গণমাধ্যমে এআইয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে এবারের সামিটে আলোচনা করা হবে। সংবাদ সংগ্রহ, উৎপাদন এবং বিতরণকে এআই কীভাবে নতুন রূপ দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এআইয়ের কারণে গণমাধ্যমকে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ও যেসব সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে আলোচনা করবেন সামিটে অংশগ্রহণকারীরা।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চীনের গুয়াংডং ও ইউনান প্রদেশে আয়োজিত হয় ৫ম ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট। এই আয়োজন বেশ প্রশংসিত হয় যার ফলে এবছরের আয়োজনের ওপর প্রত্যাশা আরও বেশি।

বিশ্বের প্রধান প্রধান গণমাধ্যম, সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং হাই-টেক উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সামিটে যোগ দেবেন ইউএনবির প্রতিষ্ঠাতা এনায়েতউল্লাহ খান। ইউএনবি প্রতিষ্ঠার পর একে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড বেসরকারি সংবাদ সংস্থায় পরিণত করেছেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে তিনি বাংলাদেশে ডিজিটাল সাংবাদিকতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

প্রতিনিয়ত বিশ্ব গণমাধ্যম যেসব সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে পরিণত হয়েছে ওয়ার্ল্ড মিডিয়া সামিট। এ বছরের সামিটে এআই ও গণমাধ্যমের রূপান্তরকে মূল আলোচ্য করা হয়েছে, যা বিশ্ব গণমাধ্যমের গতিশীলতা ও স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখতে উদ্ভাবনের ধারণার গুরুত্ব তুলে ধরে।

অমিয়/