ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
বাসসের চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন
আনোয়ার আলদীন

সিনিয়র সাংবাদিক আনোয়ার আলদীনকে চেয়ারম্যান করে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আনোয়ার আলদীন দৈনিক ইত্তেফাকের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিচালনা বোর্ডের ১২ পরিচালক হলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রেস), অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক (পদাধিকার বলে), ডেইলি নিউ নেশনের সম্পাদক মোকারম হোসাইন, দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, দৈনিক যুগের আলোর সম্পাদক শিরিন ভরসা, এনটিভির চিফ নিউজ এডিটর ফকরুল আলম কাঞ্চন, ব্রায়ান্টস্টুডিও ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও লিড ওয়েব ডেভেলপার নূরে আলম মাসুদ এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি ফজলুল হক।

আনোয়ার আলদীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নকালেই দৈনিক ইত্তেফাকে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি পত্রিকাটির স্টাফ রিপোর্টার, সিনিয়র রিপোর্টার ও সর্বশেষ যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

আনোয়ার আলদীন ১৯৯৬ সালে ‘ভেজালের ভিড়ে আসল উধাও’ শিরোনামে ১৭ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এই প্রতিবেদনের জন্য তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনেসকো, ডিআরইউসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাসসের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন, ২০১৮’-এর ৭ ও ৮ ধারা মোতাবেক তিন বছর মেয়াদে পরিচালনা বোর্ড গঠন করা হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিচালনা বোর্ড ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন, ২০১৮’-এর ৬ ধারার বিধান মোতাবেক দায়িত্ব পালন করবে। এই আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যক্রম শুরু হবে।

সাংবাদিকদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা ও চাকরিচ্যুতিতে ডিইউজের উদ্বেগ

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
সাংবাদিকদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা ও চাকরিচ্যুতিতে ডিইউজের উদ্বেগ
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)

দৈনিক জনকন্ঠ থেকে ইতোপূর্বে চাকরিচ্যুত এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে কর্তৃপক্ষের টালবাহানা ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাহী পরিষদের সভায় এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

একই সঙ্গে দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি সাঈদ আহমেদ খানকে হত্যার হুমকি ও পত্রিকাটির সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ তার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা এবং কয়েকটি গণমাধ্যমে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের তল্পিবাহকদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পদোন্নতি দিয়ে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতিসহ পদাবনতির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

সভায় শিগগিরই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার দাবি জানানো হয়।

ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্যে রাখেন ডিইউজে সহ সভাপতি রাশেদুল হক, যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আলমগীর হোসাইন, প্রচার সম্পাদক আবুল কালাম, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক কবি রফিক লিটন, জনকল্যাণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক, দপ্তর সম্পাদক ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, নির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন দরবেশ, রাজু আহমেদ, এম মোশাররফ হোসেন, তালুকদা রুমি, আনোয়ারুল হক, আবদুল্লাহ মজুমদার, ফখরুল ইসলাম, দৈনিক আমার দেশ ইউনিট প্রধান বাছির জামাল, বাসসের ইউনিট প্রধান ফজলুল হক, দিনকালের ইউনিট প্রধান মিজানুর রহমান, নয়াদিগন্তের হামীম উল কবীর, দিগন্ত টিভির আবু বকর, দৈনিক সমাচারের ইউনিট প্রধান আবু হানিফ, মুক্ত খবরের ডেপুটি ইউনিট প্রধান আবদুর রহিম প্রমুখ।

সভায় বলা হয়, নানা অজুহাতে প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছে।

ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকরা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

অন্যদিকে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আগের মতোই এখনো সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিলেও সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে।

অবিলম্বে বিগত সরকারের আমলে বাসসে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি শাহাদাত সম্পাদক দিদার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ এএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পিএম
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি শাহাদাত সম্পাদক দিদার
মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, দিদারুল আলম ও তোফায়েল আহমদ নিলয়

ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দৈনিক নয়াদিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার, বাসসের ফেনী সংবাদদাতা ও দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সভাপতি এবং এটিএন নিউজের ফেনী প্রতিনিধি ও দৈনিক ফেনীর নির্বাহী সম্পাদক দিদারুল আলম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মেছবাহ উদ্দীন খাঁন বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। 

তিনি জানান, সবকটি পদে একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন- ফকিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর চৌধুরী ও রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম তুহিন।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহসভাপতি মো. মাঈন উদ্দিন (দৈনিক স্টারলাইন), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক (দৈনিক ইনকিলাব) ও নুর উল্লাহ কায়সার (বনিক বার্তা, দৈনিক স্টারলাইন), কোষাধ্যক্ষ তোফাফেল আহমদ নিলয় (দেশ টিভি ও খবরের কাগজ), দপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম (সাপ্তাহিক নিহারিকা), প্রচার সম্পাদক আলাউদ্দিন (দৈনিক আমার কাগজ), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন) ও মো. শফি উল্যাহ রিপন (দৈনিক দেশ রূপান্তর ও ইউএনবি) প্রশিক্ষণ সম্পাদক।

কমিটির নির্বাহী সদস্য হলেন- শুকদেব নাথ তপন (ভোরের কাগজ), আরিফুল আমিন রিজভী (দৈনিক ফেনী), এনামুল হক পাটোয়ারী (দৈনিক নয়াপয়গাম), কিশান মোশাররফ (দৈনিক ফেনীর সময়), নূর তানজিলা রহমান (সাপ্তাহিক স্বদেশ কন্ঠ)।

ফেনী জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরে পদার্পন করেছে। ২০১০ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে আসছে সংগঠনটি। বর্তমানে জেলায় পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন এটি।

তোফাফেল নিলয়/জোবাইদা/অমিয়/

‘আমার ২৮ বিয়ে প্রমাণ করুন’

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৬ এএম
‘আমার ২৮ বিয়ে প্রমাণ করুন’
রোমানা ইসলাম স্বর্ণা

‘আমি ২৮টা বিয়ে করেছি, কোথায় আমার স্বামীরা? ডিবি হারুন তদন্ত করে এসব বলেছেন। আমি এখনো চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আপনারা প্রমাণ করুন। তদন্ত করে বের করুক, কোথায় আছে আমার ২৮টা বিয়ের প্রমাণ। ডিবির হারুনের কারসাজির শিকার হয়েছি আমি।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অভিনেত্রী রোমানা ইসলাম স্বর্ণা। 

২০২১ সালে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। অভিনেত্রী স্বর্ণাসহ একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় তার মা আশরাফুল ইসলাম শেইলি ও তার ছেলে আন্নাফিকেও (২০)। এই টাকা আত্মসাতের মামলা করেছিলেন স্বর্ণার দ্বিতীয় স্বামী প্রবাসী কামরুল ইসলাম জুয়েল। 

‘মিথ্যা মামলায় কারাভোগের প্রতিবাদ’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে রোমানা স্বর্ণা বলেন, ‘এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয়ের পর জুয়েলের সঙ্গে ২০১৯ সালে বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পরই পারিবারিক দ্বন্দ্ব একপর্যায়ে গড়ায় মামলায়। প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে বিয়ে করেছিল জুয়েল। তার নির্যাতনের শিকার হলে একপর্যায়ে ছাড়াছাড়ি হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কয়েকবার সাধারণ ডায়েরি করেও কোনো লাভ হয়নি।’ 

স্বর্ণা বলেন, ‘বিয়ের পর মায়ের বাসায় থাকতাম। একবার আমার প্রথম ঘরের সন্তানকে শুটিং থেকে অপহরণ করে সে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় হুমকি দিত। দুই বার তাকে ডিভোর্স দিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমাকে ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করে। ডিভোর্স তুলে নিলে মামলা তুলে নেবে এমন শর্তও দেওয়া হয়। মামলা ও বিভিন্ন হুমকির কারণে একটা পর্যায়ে সমঝোতা করি। মামলা তুলে নেই। প্রথমবার ডিভোর্সের পর কিছুদিন ভালো গেলেও তাকে দ্বিতীয়বার ডিভোর্স দিলে, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়। আমি যেন অভিনয় করতে না পারি, সে জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করাতে ডিবি হারুনকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিল জুয়েল। দেড় মাস জেলে থাকার পর ডিভোর্স দিতে পারব না সেই শর্তে জামিন করায়। পরিবারের কথা চিন্তা করে এই শর্তেও রাজি হই। ডিভোর্স চলাকালে ভয়ভীতি দেখিয়ে নতুন করে কাবিন ছাড়াই বাসায় এসে থাকত জুয়েল। দেড় বছর গৃহবন্দি রেখে নির্যাতন করে এবং আমাকে আর আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দিত। জেল থেকে ফেরার পর জানতে পারি জুয়েল সৌদি গেছে। সেই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদন করে আমি সেখানে চলে যাই।’ 

অভিনেত্রী স্বর্ণা আরও দাবি করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল, প্রয়াত ফজলে রাব্বী মিয়া, ডিবি হারুন তার দ্বিতীয় স্বামী জুয়েলকে সহযোগিতা করত। জুয়েল মূলত হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও ডিবি হারুন তাদের অবৈধ টাকা জুয়েলের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করত।

শর্ত সাপেক্ষে ছাড়া পেলেন মুন্নী সাহা

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ এএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
শর্ত সাপেক্ষে ছাড়া পেলেন মুন্নী সাহা
মুন্নী সাহা

অসুস্থ থাকায় এবং জামিন নেওয়ার শর্তে মুন্নী সাহাকে তার পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। সেসব মামলায় তাকে আত্মসমর্পণ করে কোর্ট থেকে জামিন নিতে হবে। যেহেতু তিনি প্যানিক অ্যাটকের শিকার এবং নারী সাংবাদিক। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাকে ছাড়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন নেওয়ার শর্তে ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় গ্রেপ্তার মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রাতে কারওয়ান বাজারে জনতার তোপের মুখে পড়েন এ নারী সাংবাদিক। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে। 

ডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে প্যানিক অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে পড়াসহ সার্বিক দিক বিবেচনায় ৪৯৭ ধারায় পরিবারের জিম্মায় মুন্নী সাহাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এজন্য চার মামলায় আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে জামিন নেওয়ার শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কারওয়ান বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়ার পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

এর আগে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে গিয়ে জনতার তোপের মুখে পড়েন মুন্নী সাহা। পরে তেজগাঁও থানার পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।

মুন্নী সাহা এক টাকার খবর নামের একটি অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক।

ডিআরইউ নির্বাচন: সভাপতি সালেহ, সম্পাদক সোহেল

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
ডিআরইউ নির্বাচন: সভাপতি সালেহ, সম্পাদক সোহেল
ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন (বায়ে), সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ২০২৫ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবু সালেহ আকন। তিনি পেয়েছেন ৮০১ ভোট। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাইনুল হাসান সোহেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৪৫। খবরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সাখাওয়াত হোসেন সুমন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয় বিকেল ৫টায়। উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ সদস্যরা ডিআরিইউর নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ। 

ডিআরইউ নির্বাচনে এবার সভাপতি পদে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনজন। তাদের মধ্যে মুরসালিন নোমানী ৪৯৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। শরিফুল ইসলাম বিলু ১০২ ভোট পেয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে গাজী আনোয়ার ও ওসমান গণি বাবুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে গাজী আনোয়ার ৬৯৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল কাফি ২৮৯ ভোট, মাহমুদুল হাসান ২১০ ভোট, শাহনাজ শারমীন ৩৬৪ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সোহেল।

নাদিয়া শারমিন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৭২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর ইকবাল ভোট পেয়েছেন ৬৪৪ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে এম এম জসিম ৪২৬ ভোট, এস এম মিজান ২৯৩ ভোট, সৈয়দ সাইফুল ইসলাম ১০১ ভোট পান। সর্বোচ্চ ৫৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আবদুল হাই তুহিন। দপ্তর সম্পাদক পদে রফিক রাফি ৬৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ৯০৭ ভোট পেয়ে নারীবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রোজিনা রোজী। রোজীর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারহানা হক নীলা পান ৪০১ ভোট। ৭৮২ ভোট পেয়ে প্রচার-প্রকাশনা পদে নির্বাচিত হয়েছেন মিজান চৌধুরী। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহসিন হোসেন পান ৫৩৬ ভোট। তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক পদে ৬৩২ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন মহিন পেয়েছেন ৫৮৪ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মজিবুর রহমান ৭৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর মাকসুদা লিসা ৫২৫ ভোট পান।

কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির) সর্বোচ্চ ৯২৭ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ৮৩৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন আক্তারুজ্জামান, ৭৬৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় বোরহান উদ্দীন, ৭০৯ ভোট পেয়ে চতুর্থ আমিনুল হক ভূঁইয়া, ফারুক আলম ৬৩৬ ভোট পেয়ে পঞ্চম, ৫০৬ ভোট পেয়ে সুমন চৌধুরী ষষ্ঠতম ও সলিম উল্ল্যাহ ৪০৬ ভোট পেয়ে সপ্তম স্থান অধিকার করেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ) ও কল্যাণ সম্পাদক পদে রফিক মৃধা নির্বাচিত হয়েছেন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });