![চালসহ ৪ পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর](uploads/2024/01/29/1706541073.Sheikh_Hasina.jpg)
চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশসহ মন্ত্রিসভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি জানান, পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখেই এই চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এসব পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর ঠিক করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের পর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। বৈঠকে মন্ত্রীদের কাছ থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ অবস্থা জেনেছেন। মন্ত্রীরা কী কী কাজ করেছেন এবং তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। মন্ত্রীদের রিপ্লাইয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবকিছু শোনার পর বাকি কাজটুকু মাঠে যেভাবে আছে, সেটি কন্টিনিউ করতে বলেছেন। সাপ্লাই যাতে কোনোভাবেই বিঘ্ন না হয়, সে জন্য এলসি ওপেন করে দিচ্ছেন, যাতে কেউ কোনো কারসাজি করতে না পারে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, দেশে খাদ্য মজুতের পরিমাণ অনেক বেশি আছে। সেই তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা উপস্থাপন করেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছরের এই সময়ে ৩৭ হাজার ১০৭ টন খেজুর আমদানির এলসি ওপেন করা ছিল। এবার এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৭৩৪ টন এলসি ওপেন করা আছে। গত বছর এই সময় ৯৭ হাজার ২৮৭ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানির এলসি করা ছিল। এবার ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৪ টনের এলসি করা আছে। গত বছর এই সময় ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭০ টন অপরিশোধিত চিনির এলসি ওপেন হয়েছিল। এবার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৮ টন চিনি আমদানির এলসি ওপেন করা আছে।
প্রধানমন্ত্রী সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সেদিকে সমন্বিতভাবে নজরদারি করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
অভিযান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জেলা প্রশাসকরা যে মেসেজ দিচ্ছেন, সেখানে তারা সাজা, জরিমানা ও জেল দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। সাজা দেওয়া হচ্ছে না, বলা হলেও সেটি ঠিক না।
মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। এই সংশোধনীর ফলে আইনটি স্থায়ী রূপ পাচ্ছে। আগে দুই বছর পরপর আইনটির কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়ানো হতো। পরে কয়েক ধাপে আইনটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল এর মেয়াদ শেষ হবে।