
আইন অমান্য করে নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ডিআইজি মনিরুজ্জামান পোশাক পরিধান করে ঝিনাইদহ-১ আসনের নির্বাচন উপলক্ষে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থেকে সম্ভাব্য একজন প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহকালে সঙ্গে ছিলেন, যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামান উল্লিখিত কার্যক্রম সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধি ১৯৭৯ লঙ্ঘন করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ প্রদান করেছে। এ অবস্থায় উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং তা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত ২৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ছোট ভাইয়ের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে দলীয় ফরম জমা দিতে গিয়েছিলেন ওই দিন।
ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৬ মার্চ মারা যান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে আসনটি ওই দিনই শূন্য হয়। আগামী ৫ জুন আসনটিতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এলিস/এমএ/