ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪

অর্থ পাচার-দুর্নীতি-ঋণখেলাপি চক্রই সরকারের জন্য বড় হুমকি: ড. ফরাসউদ্দিন

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
অর্থ পাচার-দুর্নীতি-ঋণখেলাপি চক্রই সরকারের জন্য বড় হুমকি: ড. ফরাসউদ্দিন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মো. ফরাসউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

বড় ঋণখেলাপিদের ঋণের সুদ মাফ করা হচ্ছে। ঋণখেলাপিদের ঋণের সুদ মওকুফ করা খুবই আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মো. ফরাসউদ্দিন। তিনি বলেন, অর্থ পাচার, দুর্নীতি ও ঋণখেলাপি চক্র রোধ করা না গেলে এটিই সরকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্কে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো যে ৫০ হাজার কোটি টাকা সুদ মওকুফ করেছে, তা খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা উচিত। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে বললেও তা অর্জিত হবে না। মধ্যস্বত্বভোগীরা মজুত ও সরবরাহের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করায় খাদ্যাভাবে ৭৪ সালে বহু লোকের মৃত্যু হয়। তাই মজুত ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।

ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, বাজেটে বিদেশ থেকে যে ৯৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, এটি মারাত্মক ক্ষতিকর অস্ত্র হতে পারে। দেশি-বিদেশি উৎস থেকে সরকারের ঋণ-নির্ভরতা কমিয়ে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ায় জোর দেওয়া উচিত। ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নিলে বিনিয়োগকারীরা ঋণ পাবে না, বিনিয়োগ আরও স্থবির হয়ে যাবে। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ঋণ নিলে মূল্যস্ফীতির চাপ কমবে ও সামাজিক নিরাপত্তা খাত শক্তিশালী হবে।

বিতর্কে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

তিনি বলেন, ‘অনেক সৎ ব্যবসায়ী ন্যায্যভাবে কর দিতে চাইলেও এনবিআরের প্রক্রিয়াগত জটিলতায় অথবা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায় ন্যায্য কর প্রদান করতে পারছে না। দেশে বর্তমানে মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। অথচ দেশি-বিদেশি মিলিয়ে বর্তমান ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের ওপর। ক্রমান্বয়ে আমাদের কঠিন শর্তের ঋণ বাড়ছে, ডেট সার্ভিসিংয়ের বোঝা বাড়ছে। সে কারণে আমরা যে টাকাটা ঋণ হিসেবে নিচ্ছি, তা সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই সুশাসন, জবাবদিহি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

‘এবারের বাজেট টেকসই উন্নয়নে সহায়ক হবে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিতার্কিকদের পরাজিত করে জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক জাকির হোসেন, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, সাংবাদিক উম্মান নাহার আজমী ও সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা।

সাংবাদিকের ওপর আ.লীগ নেতা রাসেলের হামলা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:১১ পিএম
সাংবাদিকের ওপর আ.লীগ নেতা রাসেলের হামলা
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদুল আসাদ রাসেল। ছবি: সংগৃহীত

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক যুগান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক রফিকুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ নেতা রাসেল মাহমুদুল আসাদ রাসেল এ হামলা করেন। অভিযুক্ত রাসেল রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

সোমবার (৮ জুলাই) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ভূক্তভোগী সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রফিকুল ইসলাম সংবাদ সংগ্রহের জন্য সেখানে যান। সম্মেলন শেষে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে মন্ত্রীরা বের হওয়ার সময় এক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন রফিকুল। এসময় সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা করেন রাসেল ও তার সঙ্গে থাকা ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা। তারা উপর্যুপরি কিল-ঘুষি দিতে থাকে। এসময় উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। পরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এগিয়ে আসার পরে রাসেল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে সরে পরে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাহমুদুল আসাদ রাসেল সবার কাছে মাস্তান রাসেল হিসাবে পরিচিত। রাজবাড়ী জেলার নেতা হলেও বসবাস করেন ঢাকায়। এক সময়কালে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্রদলে’ রাজনীতি করলেও ক্ষমতার পালাক্রমে পুরদমে আওয়ামী লীগের নেতা বনে জান রাসেল। এখন সার্বক্ষণিক অবস্থান করে আওয়ামী লীগ অফিসে। দলের এক সিনিয়র নেতাকে (শীর্ষ) দেন বিশেষ ‘প্রটোকল’। ওই নেতার ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেছেন ‘বিশেষ প্রটোকল’ বাহিনী। আওয়ামী লীগের নেতারা গাড়ি থেকে নামলেই এই প্রটোকল বাহিনী কার্যালয়সহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে পৌঁছে দেন। 

রাসেলের ব্যক্তিগত ‘ফেসবুকে’ নেতাদের প্রটোকল দেওয়ার ছবিও নিয়মিত শেয়ার করেন। পরে বিভিন্ন সময় নেতাদের কাছ থেকে নেন বিশেষ সুবিধা। এই রাসেলসহ প্রটোকল বাহিনীর সকলের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্য, দলীয় নেতাকর্মী এবং পেশাদার সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। 

ধানমন্ডির কার্যালয়ে সারাদেশে থেকে আগত নেতাকর্মী এমনকি অনেক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও দুর্বব্যবহার করে রাসেল। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কর্মরতরাও তার ওপর নানা কারণে ক্ষুব্ধ। সর্বশেষ সোমবার রাসেলের হামলার শিকার হলেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। রাসেল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে আওয়ামী লেীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার মৌখিকভাবে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক।

রাজু/এমএ/

র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ে নতুন পরিচালক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ে নতুন পরিচালক
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। বর্তমানে তিনি র‌্যাব-৫-এর অধিনায়ক হিসেবে রাজশাহীতে কর্মরত। চলতি সপ্তাহে মুনীম তার দায়িত্ব নিতে পারেন।

গতকাল রবিবার (৭ জুলাই) র‍্যাবের এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

একই প্রজ্ঞাপনে বর্তমান মুখপাত্র কমান্ডার আরাফত হোসেনকে বদলি করে বরিশাল র‌্যাব-৮-এর অধিনায়ক করা হয়েছে। তিনি চলতি সপ্তাহে দায়িত্ব বুঝে নেবেন বলে জানা গেছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। র‌্যাব-৫-এর দায়িত্ব নেওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে মুনীম ফেরদৌসের বেশ কয়েকটি অভিযান প্রশংসিত হয়। তার মধ্যে অন্যতম ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে দুবাই পালানোর চেষ্টাকালে এনজিও পরিচালককে গ্রেপ্তার। এ ছাড়া ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার। ১০ আগ্নেয়াস্ত্রসহ শ্বশুরবাড়িতে জামাই গ্রেপ্তার। নারীদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণকারী আলমগীর রয়েল আর ভিডিও ধারণকারী তার স্ত্রী হেলেনা খাতুনকে গ্রেপ্তার। তা ছাড়া গোদাগাড়ীতে মাটি খুঁড়ে তিন কেজি হেরোইন উদ্ধার অভিযান উল্লেখযোগ্য।

 

নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ পিএম
নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
ছবি : সংগৃহীত

আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগের কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগের সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন কোটা বাতিলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৮ জুলাই) রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে। একই সঙ্গে অনলাইনে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বুধবারের কর্মসূচি জানানো হবে।’

আরিফ জাওয়াদ/সালমান/

আইএমও'র অধিবেশনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধের দাবি

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা বন্ধের দাবি
লন্ডনে আইএমও'র ১৩২তম কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিনগুয়েজের দক্ষ এবং গতিশীল নেতৃত্বে আইএমওর নির্বাহী পরিষদের একজন নির্বাচিত সদস্য হিসাবে ১৩২তম আইএমও কাউন্সিলে ভাষণ দেওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্মানের। ২০২৩ সালের আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে আমাদেরকে এই সম্মানিত কাউন্সিলে ফিরিয়ে আনার জন্য যে সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র আমাদের সমর্থন করেছিল বাংলাদেশ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

কাউন্সিলের একজন দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ আইএমও'র মিশন, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কৌশলগত দিকনির্দেশনা এবং এই কাউন্সিলের অগ্রাধিকার বাস্তবায়নের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে যা সহকর্মী সদস্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শিপিং-এ জলদস্যুদের আক্রমণ এবং নিরীহ নাবিকদের জিম্মি করার বিরুদ্ধে অব্যাহত সচেতনতার জন্য বাংলাদেশ আইএম ও মহাসচিব আর্সেনিও ডমিনগুয়েজের কৃতজ্ঞ।

এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য বহুজাতিক নৌবাহিনী এবং এমভি আবদুল্লাহ এবং এর ক্রুদের সঙ্গে সংহতির জন্য সহ আইএমও'র সদস্যদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। 

প্রতিমন্ত্রী সোমবার (৮ জুলাই) লন্ডনে আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার (আইএমও) সদর দপ্তরে আইএমও'র ১৩২তম কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে বক্তৃতা এসব কথা বলেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মে মাসে আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিঙ্গুয়েজের বাংলাদেশে অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক সফরের কথা স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সে সময়ে আমরা আমাদের দেশের দ্রুত রূপান্তরিত সামুদ্রিক এবং ব্লু অর্থনীতির ল্যান্ডস্কেপ আমাদের স্বপ্নদর্শী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মেরিটাইম ভিশন শেয়ার করতে পেরে আনন্দিত হয়েছিলাম। যা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে প্রণয়ন করেছিলেন।

ক্রমাগত হুমকি এবং লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের উপর আক্রমণ, সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট, নাবিকদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। বাংলাদেশ বাহামাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কারণ আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা এমভি গ্যালাক্সি লিডারের সমুদ্রযাত্রীদের সঙ্গে তাদের অবিলম্বে এবং নিরাপদ মুক্তির জন্য। সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২২ রেজুলেশনকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ, এসআইডি এবং ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলির পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথের আগ্রহ ও উদ্বেগের কথা বলার জন্য এই কাউন্সিলের কাছে তার নির্বাচনি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে, বিশেষ করে আমাদের সক্ষমতার ঘাটতি এবং অবকাঠামোতে বৃহত্তর বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা জরুরি প্রয়োজন। হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বিকল্প এবং সবুজ জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ এবং জাহাজ পুনর্ব্যবহারে আমাদের ন্যায্য রূপান্তরের জন্য অবকাঠামো এবং সাশ্রয়ী মূল্যের প্রযুক্তি স্থানান্তর প্রয়োজন।

আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, ‘সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।’ 

সোমবার (৮ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘কোটা থাকবে কি না, তা এখন বিচারাধীন বিষয়। আমি সরকারের পক্ষ থেকে মামলাটা করেছি। এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। রায়ের কপিটা (হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি) হাতে পেয়ে নিই। রায় পেলে দেখব। এটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আদালত কতটুকু হস্তক্ষেপ করতে পারবেন, সেটিই আদালতের সামনে তুলে ধরেছি। রায় পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আদালত (হাইকোর্ট) একটা আদেশে দিয়েছেন, সেই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল বিভাগে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আদালতের প্রতি ওনাদের (শিক্ষার্থীদের) যে আন্দোলন, তা না করাই উচিত হবে। ওনাদের আমি বলব, আদালতে যে বিষয়টা বিচারাধীন, তা রাজপথে না আনতে। সেটা তো আদালতে আছেই, বিচারটা হচ্ছে, হবে। সেই ক্ষেত্রে ওনাদের আমি একটু ধৈর্য ধরার অনুরোধ করব।’ 

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘আগামী বৃহস্পতিবার এ বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে। তার আগে বুধবারও যদি পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া যায়, তাহলেও সিপি (নিয়মিত আপিল) করা হবে।’ 

নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সরকার। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওই পরিপত্র বাতিল ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। 

রায়ের পর রিটকারীদের আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী জানিয়েছিলেন, ‘পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করা হয়েছিল। পরিপত্রটি অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।’

এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। হাইকোর্টের রায় স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ শুনানি ধার্য ছিল। তবে সময় চেয়ে রিটকারী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নট টুডে’ (আজ নয়) ঘোষণা করেন সর্বোচ্চ আদালত।