ঢাকা ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে সম্প্রচার করছে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে গোটা দেশ উত্তপ্ত। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ, ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারা দেশে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে।

সালমান/ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় ৩ হত্যা মামলা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১১:০০ পিএম
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় ৩ হত্যা মামলা
শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)

বৈষম্যবিরোধী সাম্প্রতিক আন্দোলনের মধ্যে ঘটা চার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঢাকায় চারটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা, আর অপরটি হত্যাচেষ্টা মামলা। এসব অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ আগস্ট) আদালত এসব আদেশ দেন।

এর মধ্যে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত খিলগাঁও থানার দুই অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। আর ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালত আরেকটি অভিযোগকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে আশুলিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া রাজধানীর মুগদায় আবদুল বাছেদ শামীম নামের এক আইনজীবীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগও আমলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলাগুলোর মধ্যে বনশ্রীর মামলায় শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। বনশ্রীতে গুলিতে মুদি দোকানি মিজানুর রহমানের নিহতের ঘটনায় এই মামলা করা হয়। নিহতের বাবা কামাল হোসেন এই মামলা করেন।

এতে ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ ফজলে নূর তাপস, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন আমু, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন মিজানুর রহমান। এরপর তাকে পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।

একই দিন গত ১৯ জুলাই খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী এলাকায় গুলিতে ১৪ বছরের কিশোর আশিকুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। নিহত কিশোরের মা আরিশা আফরোজ এই মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও হারুন-অর-রশীদ প্রমুখকেও আসামি করা হয়েছে।

এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সিটি ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয় গতকাল বুধবার। আশুলিয়া থানার সামনে সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) গুলি করে হত্যার পর তার লাশ আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগ এনে এই মামলা করা হয়। শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন নিহত সজলের ভাই মিজানুর রহমান।

মামলায় ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আব্দুল্লাহ আল-মামুন ও হারুন-অর-রশীদকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী-জনতা মিছিল করেন। আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় এবং গ্রেপ্তার করে। ওই সময় সিটি ইউনিভার্সিটির বিএসসি (টেক্সটাইল) দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন সজলকে (১৯) আটক করে থানায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে আশুলিয়া থানার সামনে রাস্তার ওপর রাখা পুলিশের ব্যবহৃত লেগুনায় থাকা সজলের লাশসহ অন্য ছাত্রদের লাশ পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মুগদায় আবদুল বাছেদ শামীম নামের এক আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আবদুল বাছেদ শামীম এই মামলা করেন। আদালত মুগদা থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন-ওবায়দুল কাদের, শেখ সেলিম, আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাহাবুবুল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, নাজমুল হাসান পাপন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, বিপ্লব বড়ুয়া, আবদুস সোবহান গোলাপ, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ ফজলে শামস পরশ, মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সায়েদুল হক সুমন, কাজী সালাউদ্দিন, তাকসিম আহমেদ খান, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাবিবুর রহমান ও ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই আদালত থেকে বাসায় ফিরছিলেন আবদুল বাছেদ শামীম। তিনি মানিকনগরে পৌঁছালে আন্দোলনকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা গুলিবর্ষণ করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল বাছেদ। 

গাজীপুরে স্বামী হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৫ জনের নামে হত্যা মামলা

গাজীপুর প্রতিনিধি: স্বামী হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৫ জনের নামে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় গত ২০ জুলাই নজরুল ইসলাম (৩২) নিহতের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছা. পূর্ণিমা বেগম বাদী হয়ে বুধবার (২৮ আগস্ট) এ মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাসন থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, সাবেক এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, মেহের আফরোজ চুমকি, সিমিন হোসেন রিমি, রুমানা আলী টুসি, আখতার উজ্জামান, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডল, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি, আসাদুর রহমান কিরণ, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেলসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সিটি করপোরেশনের কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। 

নিহতের নাম নজরুল ইসলাম (৩২), তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার বারইভাগ এলাকার মো. জামাল শেখের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার শাহাবুদ্দিন মণ্ডলের বাসায় ভাড়া থাকতেন। 

এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে গত ২০ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে তার স্বামী নজরুল ইসলাম ঢাকা-ময়মনসিংহগামী মহাসড়কের পূর্ব পাশে বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকায় পশমী সোয়েটার গার্মেন্টসের পাকা রাস্তার ওপর এসে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলাকালে মামলার প্রথম ১৬ জন আসামির নির্দেশে তাদের সঙ্গে থাকা বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, ছেন, চাপাতি, কোবাসহ মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি কিল ঘুষি মেরে, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে এলোপাতাড়ি মারধর এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে একাধিক আন্দোলনকারীকে গুরুতর জখম করে। অবৈধ অস্ত্রধারী এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত বিবাদীরা ছাত্র জনতাকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়িভাবে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় বিবাদীদের ছোড়া গুলিতে নজরুল ইসলাম তার পিঠের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

বগুড়ায় শিমুল হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনাসহ ১৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি, উত্তরাঞ্চল: বগুড়ায় দর্জি শ্রমিক শিমুল সরদার নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলীয় ১৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে শিমুল সরদারের স্ত্রী শিমু বেগম বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বগুড়ায় ৫টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ৪টি হত্যা এবং একটি হত্যাচেষ্টা রয়েছে।

গত ৪ আগস্ট দুপুরে শহরের ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার এক দফার আন্দোলনে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শিমুল মণ্ডল মতি। নিহত শিমুল শহরের দক্ষিণ বৃন্দাবনপাড়ার দর্জি শ্রমিক ছিলেন। বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রটোকল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩১ পিএম
উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রটোকল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে যাওয়া এবং আসার সময় অনুসরণীয় প্রটোকল সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। 

এতে বলা হয়েছে, উপদেষ্টাদের বিদেশে যাওয়া ও আসার সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অথবা যুগ্ম সচিব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব/সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা সংবলিত এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ভেতরে সফরকালে উপদেষ্টাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী ঢাকা ত্যাগ ও ফিরে আসার সময় মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার একান্ত সচিব (পিএস) উপস্থিত থাকবেন। 

জেলা সদরে যথাসম্ভব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাদের আগমন এবং বিদায়ের স্থানে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। জেলা সদরে উপস্থিত থাকার জন্য জেলা প্রশাসক অথবা পুলিশ সুপারের নিজের সরকারি সফর বাতিল বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে না। এ ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক/অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। 

তবে জেলা প্রশাসক আগেই নিজের সফরসূচি জারি করে থাকলে উপদেষ্টার সফরসূচি পাওয়ার পরই উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হবেন যে, জেলা প্রশাসকের সদরে থাকা আবশ্যক কি না। উপদেষ্টা ইচ্ছা প্রকাশ করলে সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক তার সফরসূচি বাতিল করবেন। উপজেলা সদর অথবা উপজেলার অন্য কোনো স্থানে উপদেষ্টার সফরকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের স্থানীয় পর্যায়ের জ্যেষ্ঠতম কর্মকর্তা উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা ও বিদায় সংবর্ধনা জানাবেন। আবশ্যক না হলে জেলা প্রশাসক কিংবা পুলিশ সুপারের এক্ষেত্রে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই।

উপদেষ্টার আগমন ও প্রস্থানের সময় আবশ্যক না হলে বিমানবন্দর বা রেলওয়ে স্টেশনে জেলা প্রশাসক, ঢাকা/চট্টগ্রাম/কক্সবাজারে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। পুলিশ সুপার, কক্সবাজার/মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। কোনো জেলা/উপজেলায় উপদেষ্টার আগমন/প্রস্থানের সময় আশপাশের জেলার বিমানবন্দর/রেলস্টেশন ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হলে ট্রানজিট স্থানে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের উপস্থিতির প্রয়োজন নেই; এক্ষেত্রে ট্রানজিট স্থানে জেলা প্রশাসকের উপযুক্ত প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

উপদেষ্টাদের আগমন ও প্রস্থানের সময় বিভাগীয় কমিশনার অথবা সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (ডিআইজি)-এর উপস্থিত থাকার প্রয়োজন নেই। বিভাগীয় কমিশনার সদর দপ্তরে উপস্থিত থাকলে উপদেষ্টার আগমনের পর তিনি তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করতে পারেন।

উপদেষ্টাদের সফরসূচি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার নিরাপত্তার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘আওতাধীন কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত নয়। এতে স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটে।’

বুধবার (২৮ আগস্ট) পেট্রোবাংলায় ড. হাবিবুর রহমান অডিটোরিয়ামে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কোনো সচিব যাতে আওতাধীন কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হবে। কোম্পানিগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মানুষের ভাষা বুঝতে না পারলে সবার কী পরিণতি হবে তা বুঝতে হবে। বর্তমান সরকার গঠনের পেছনের দর্শনটা বুঝে সেভাবেই সবার আচরণ করতে হবে। মানুষ কেন রাস্তায় নেমে এসেছিল, কেন রক্ত দিয়েছিল তা বুঝতে হবে এবং অনুধাবন করতে হবে।’

ইতোমধ্যে জ্বালানি খাতে যে অনিয়ম হয়েছে তার ক্ষেত্রে কী করবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু এ ব্যাপারে চুক্তি ও আইনের প্রশ্ন জড়িত, তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। প্রয়োজনে সাবেক বিচারপতির সমন্বয়ে কমিটি করে বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো রিভিউ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে তথ্য নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ 

মতবিনিময় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান এবং বিভিন্ন দপ্তর প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাসস

সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৬ অভিযোগের তদন্তে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৬ অভিযোগের তদন্তে দুদকে আবেদন

সাবেক সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিসহ ৬টি অভিযোগের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নওমী দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই আবেদন জমা দেন। 

আবেদনে আইনজীবী সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে ১০৪ কোটি টাকার অপব্যবহার, জুয়া খেলা, স্বর্ণ চোরাচালান, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। যেহেতু অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্ট এবং নথিভুক্ত, তাই সাকিব আল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে মামলা হওয়া বা এফআইআর-এর ভিত্তিতে সাকিবকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিবের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নে গণমাধ্যমের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক লেখালেখি হলেও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের মামলার সময় দেশের সংবাদমাধ্যম চুপ ছিল কেন?’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমিনুলকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দিনের পর দিন জামিন দিচ্ছিল না। আমি নিজে শুধু প্রথম আলোতে কলাম লিখেছি। আপনাদের কাউকে লিখতে দেখি নাই। তিনি একটা জাতীয় দলের ফুটবলার। তাকে গ্রেপ্তার করেছে, দিনের পর দিন জামিন রিজেক্ট করেছে। মামলা হওয়া বা এফআইআর হওয়া মানেই তো গ্রেপ্তার না। আমিনুলের মতোই সাকিবের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেটা খেয়াল রাখা হবে।’ এ আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার। আমরা যতটুকু বলার, চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেপ্তার না করতে যায়। আমি আশা করি, সাকিব গ্রেপ্তার হবে না। আমি যতদূর জানি, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে বলা আছে যে, অ্যাপারেন্টলি অবিশ্বাস্য কিছু হলে, যতটা পারা যায় আইনের মধ্যে থেকে রিস্ট্রেইন্ট বজায় রাখার জন্য।’

এর আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও বলেছেন, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলবেন সাকিব। কারণ তিনি বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। একই সঙ্গে তিন ফরম্যাটেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন। এই সময়ে সাকিবের পাশে থাকাকে দায়িত্ব মনে করছে বিসিবি। এ কারণে প্রয়োজনে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিসিবি সভাপতি। গত মঙ্গলবার সাকিবের বিষয়ে আইনি নোটিশের জবাবও দিয়েছে বিসিবি।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় গত ২২ আগস্ট আদাবর থানায় সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা করা হয়। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে সাকিব আল হাসান বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

এলিস/এমএ/

বিমানে নতুন পরিচালনা পর্ষদ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
বিমানে নতুন পরিচালনা পর্ষদ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

গঠিত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন পরিচালনা পর্ষদ। এক প্রজ্ঞাপনে পর্ষদের পরিচালক হিসেবে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আটটি পদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেসব পদে যখনই যেই ব্যক্তি দায়িত্বে থাকবেন, তারা বিমানের পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৩ সদস্যের ওই পর্ষদ গঠন করে।

পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আগেই নিয়োগ পেয়েছিলেন বিমানের সাবেক এমডি আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। পর্ষদে যে চারজনের নাম উল্লেখ করে পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা হচ্ছেন বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিমানের সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, আইএসিএবির কাউন্সিলর ও ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের এমডি ও সিইও নূর-ই-খোদা আব্দুল মবিন, র‌্যাংগস ওয়াটারফ্রন্ডের আলী আশফাক।

পর্ষদের বাকি আটটি পদে যারা থাকবেন তারা হচ্ছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ, অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বিমানের এমডি ও সিইও (যখন যিনি দায়িত্বে থাকবেন)।

এদিকে বিমানের আগের পর্ষদগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিমানবাহিনী, বিজিএমইএ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের পদ থাকলেও এসব সংস্থা বা ক্ষেত্র থেকে কাউকে এই পর্ষদে রাখা হয়নি।

এদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে চেয়ার দখলের অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা মো. শাকিল মেরাজকে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিমানের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

জানা যায়, তিনি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ১৫ আগস্ট পরিচালক করপোরেট প্লানিং অ্যান্ড ট্রেনিং হিসেবে যোগদানপত্র সার্কুলার করেন। তার এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা ১৯৭৯ এর ৫৫ ধারার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তাকে বিমানের চাকরি থেকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়েছে।