ঢাকা ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪

‘কোটা আন্দোলন সংঘাতে ঠেলে দিয়ে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে’

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
‘কোটা আন্দোলন সংঘাতে ঠেলে দিয়ে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে’
ছবি : সংগৃহীত

কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে সংঘাতে ঠেলে দিয়ে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্যরা। 

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রপ্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তারা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ মুনীর তন্ময়৷

সভার শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক ও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় নির্মূল কমিটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়। 

সভায় বলা হয়, কোটা সংস্কারের ন্যায্যতা, সংক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের আবেগ ও অনুভূতিকে পুঁজি করে তাদের আন্দোলনে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে৷ 

সভায় এক প্রস্তাবে নির্মূল কমিটির সদস্যরা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামায়াতচক্র সংঘাত ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। তারা বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন সময়ে ছাত্র ও জনতার বিভিন্ন ন্যয়সঙ্গত ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে তারা অনুপ্রবেশ করে সেগুলোকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ গ্রহণের পাশাপাশি তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো ব্যর্থ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাতে চাইছে।’
 
তারা আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্রছাত্রীদের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল। সুযোগ বুঝে বিএনপি-জামায়াতচক্র বাইরে থেকে সমর্থনের কথা বলে তরুণদের একটি ন্যায়সঙ্গত ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণতি দিতে চেয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা আন্দোলনে পরিকল্পিতভাবে অনুপ্রবেশ করে।’ 

গত ১৪ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ মিছিলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে শিক্ষার্থীদের একাংশ যে স্লোগান দিয়েছে তা নিয়ে সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

ছাত্রছাত্রীদের ন্যায়সংগত ও ইস্যুভিত্তিক আন্দোলনে দেশের অর্থনীতি ও জনজীবন যেন বিপর্যস্ত না হয় তার অনুরোধ জানান নির্মূল কমিটির সদস্যরা।

সভায় বলা হয়, বর্তমান সংকট সমাধানের লক্ষ্যে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য কমিটি মনে করে, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিশন গঠন করা দরকার। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে বৈষম্যমুক্ত সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ রয়েছে, যারা আপনার সন্তান, আমাদের সন্তান। আপনি অতীতে বহুবার নির্দলীয় নাগরিক আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এবারও অনুরোধ করব আপনি তাদের ডাকুন, কথা শুনুন, আমাদের সন্তানদের কোনোভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের দ্বারা ব্যবহৃত হতে দেবেন না।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া,  ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল, লেখক ব্লগার মারুফ রসূল, চারুশিল্পী ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনীসহ আরও অনেকে। 

জয়ন্ত সাহা/সালমান/

আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম
আওতাধীন কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘আওতাধীন কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত নয়। এতে স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটে।’

বুধবার (২৮ আগস্ট) পেট্রোবাংলায় ড. হাবিবুর রহমান অডিটোরিয়ামে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর, সংস্থা ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কোনো সচিব যাতে আওতাধীন কোনো কোম্পানির চেয়ারম্যান না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা হবে। কোম্পানিগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মানুষের ভাষা বুঝতে না পারলে সবার কী পরিণতি হবে তা বুঝতে হবে। বর্তমান সরকার গঠনের পেছনের দর্শনটা বুঝে সেভাবেই সবার আচরণ করতে হবে। মানুষ কেন রাস্তায় নেমে এসেছিল, কেন রক্ত দিয়েছিল তা বুঝতে হবে এবং অনুধাবন করতে হবে।’

ইতোমধ্যে জ্বালানি খাতে যে অনিয়ম হয়েছে তার ক্ষেত্রে কী করবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু এ ব্যাপারে চুক্তি ও আইনের প্রশ্ন জড়িত, তাই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। প্রয়োজনে সাবেক বিচারপতির সমন্বয়ে কমিটি করে বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো রিভিউ করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে তথ্য নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ 

মতবিনিময় সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান এবং বিভিন্ন দপ্তর প্রধানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাসস

সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৬ অভিযোগের তদন্তে দুদকে আবেদন

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
সাকিবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ৬ অভিযোগের তদন্তে দুদকে আবেদন

সাবেক সংসদ সদস্য, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিসহ ৬টি অভিযোগের তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মিলহানুর রহমান নওমী দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই আবেদন জমা দেন। 

আবেদনে আইনজীবী সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে ১০৪ কোটি টাকার অপব্যবহার, জুয়া খেলা, স্বর্ণ চোরাচালান, কাঁকড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ এবং ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। যেহেতু অভিযোগগুলো সুনির্দিষ্ট এবং নথিভুক্ত, তাই সাকিব আল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

এদিকে মামলা হওয়া বা এফআইআর-এর ভিত্তিতে সাকিবকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিবের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নে গণমাধ্যমের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যা মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনেক লেখালেখি হলেও জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের মামলার সময় দেশের সংবাদমাধ্যম চুপ ছিল কেন?’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমিনুলকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, দিনের পর দিন জামিন দিচ্ছিল না। আমি নিজে শুধু প্রথম আলোতে কলাম লিখেছি। আপনাদের কাউকে লিখতে দেখি নাই। তিনি একটা জাতীয় দলের ফুটবলার। তাকে গ্রেপ্তার করেছে, দিনের পর দিন জামিন রিজেক্ট করেছে। মামলা হওয়া বা এফআইআর হওয়া মানেই তো গ্রেপ্তার না। আমিনুলের মতোই সাকিবের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেটা খেয়াল রাখা হবে।’ এ আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার। আমরা যতটুকু বলার, চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেপ্তার না করতে যায়। আমি আশা করি, সাকিব গ্রেপ্তার হবে না। আমি যতদূর জানি, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে বলা আছে যে, অ্যাপারেন্টলি অবিশ্বাস্য কিছু হলে, যতটা পারা যায় আইনের মধ্যে থেকে রিস্ট্রেইন্ট বজায় রাখার জন্য।’

এর আগে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও বলেছেন, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলবেন সাকিব। কারণ তিনি বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। একই সঙ্গে তিন ফরম্যাটেই বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছেন। এই সময়ে সাকিবের পাশে থাকাকে দায়িত্ব মনে করছে বিসিবি। এ কারণে প্রয়োজনে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান বিসিবি সভাপতি। গত মঙ্গলবার সাকিবের বিষয়ে আইনি নোটিশের জবাবও দিয়েছে বিসিবি।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় গত ২২ আগস্ট আদাবর থানায় সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা করা হয়। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে সাকিব আল হাসান বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থান করছেন।

এলিস/এমএ/

বিমানে নতুন পরিচালনা পর্ষদ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম
বিমানে নতুন পরিচালনা পর্ষদ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

গঠিত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন পরিচালনা পর্ষদ। এক প্রজ্ঞাপনে পর্ষদের পরিচালক হিসেবে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি আটটি পদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেসব পদে যখনই যেই ব্যক্তি দায়িত্বে থাকবেন, তারা বিমানের পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন।

গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৩ সদস্যের ওই পর্ষদ গঠন করে।

পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে আগেই নিয়োগ পেয়েছিলেন বিমানের সাবেক এমডি আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। পর্ষদে যে চারজনের নাম উল্লেখ করে পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা হচ্ছেন বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিমানের সাবেক পরিচালক লে. কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) ইঞ্জিনিয়ার শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী, আইএসিএবির কাউন্সিলর ও ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেডের এমডি ও সিইও নূর-ই-খোদা আব্দুল মবিন, র‌্যাংগস ওয়াটারফ্রন্ডের আলী আশফাক।

পর্ষদের বাকি আটটি পদে যারা থাকবেন তারা হচ্ছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ, অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বিমানের এমডি ও সিইও (যখন যিনি দায়িত্বে থাকবেন)।

এদিকে বিমানের আগের পর্ষদগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিমানবাহিনী, বিজিএমইএ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের পদ থাকলেও এসব সংস্থা বা ক্ষেত্র থেকে কাউকে এই পর্ষদে রাখা হয়নি।

এদিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত না মেনে চেয়ার দখলের অভিযোগে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা মো. শাকিল মেরাজকে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বিমানের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

জানা যায়, তিনি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ১৫ আগস্ট পরিচালক করপোরেট প্লানিং অ্যান্ড ট্রেনিং হিসেবে যোগদানপত্র সার্কুলার করেন। তার এমন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন কর্মচারী (চাকরি) প্রবিধানমালা ১৯৭৯ এর ৫৫ ধারার পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তাকে বিমানের চাকরি থেকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়েছে।

প্লাস্টিকদূষণ রোধে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
প্লাস্টিকদূষণ রোধে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘প্লাস্টিকদূষণ রোধে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি উচ্চাভিলাষী গ্লোবাল প্লাস্টিক চুক্তির জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বুধবার (২৮ আগস্ট) কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় ‘মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া’ (সিআইসিএ) শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সচিবালয়ের অফিস কক্ষ থেকে উপদেষ্টা ভার্চুয়ালি কনফারেন্সে যুক্ত হন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্বের পানিসম্পদের মূল্যায়ন এবং সেগুলোর সুরক্ষা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে একটি ন্যায়সংগত ব্যবস্থা গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং মানবসম্পদ রয়েছে, যা বিশ্ববাসীর কল্যাণে কাজে লাগানো এবং ভাগাভাগি করা উচিত।’

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে তাদের শেয়ার করা সম্পদ (যেমন যৌথ নদী ও বন) রক্ষার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের বায়ুদূষণসহ অন্য সাধারণ উদ্বেগগুলোও সমাধান করতে হবে। বাস্তব সময়ের তথ্য সংগ্রহ এবং সর্বোত্তম অভ্যাসগুলো শেয়ার করার মাধ্যমে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ বায়ুদূষণ থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে।’

তিনি বলেন, ‘সিআইসিএর মধ্যে একসঙ্গে কাজ করে আসুন আমাদের অঞ্চলের একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য অবদান রাখি এবং আমাদের গ্রাম ও শহরের প্রত্যেক নারী ও পুরুষের জন্য, আগামী প্রজন্মের জন্য পরিবেশগত ও জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা একসঙ্গে একটি শূন্য কার্বন ভবিষ্যৎ অর্জনের জন্য চেষ্টা করি।’ বাসস

সাবেক মন্ত্রী ও ৩ এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
সাবেক মন্ত্রী ও ৩ এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন এবং পাচারের অভিযোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই দিন আওয়ামী লীগের তিন সাবেক এমপির বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি। 

তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক এমপি সোলায়মান হক জোয়াদ্দার (ছেলুন), দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখর। 

বুধবার (২৮ আগস্ট) ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে সংস্থাটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

দুদক সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউক-পূর্বাচলসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, দি সিটি ব্যাংক পিএলসি ও সোনালী ব্যাংক পিএলসিতে সঞ্চয়পত্র কেনার অভিযোগ রয়েছে। 

আব্দুর রহমানের স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২, করবী, ফ্ল্যাট নং-৩ ই, ৩/৩ এ, পরিবাগ ঢাকাসহ ৪টি ফ্ল্যাট; এ ছাড়া দেশের বাইরে টাকা পাচার করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডায় একাধিক বাড়ি কেনার গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে। দুদক, গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতিবেদন ও অন্যান্য দলিলাদিসহ ৩২ পাতার ওই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

অন্যদিকে সোলায়মান হক জোয়াদ্দার (ছেলুন) চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছেলুনের ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার আয় ও সম্পদের পরিমাণ ছিল বেশ কম। সে সময় তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র ২২ লাখ ৯০ হাজার ৯৬৬ টাকার। বিগত ১৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ২০ গুণ। বর্তমানে নগদ টাকাসহ ৪ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৯৬৬ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক সোলায়মান হক। তার বিরুদ্ধে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে ৩তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল ‘জোয়াদ্দার কুটির’ নামের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্নীতির অর্থে প্রায় ৮০-১০০টি এসি/ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক; তার স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র; ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।

দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় বাড়ি নং-১২, সেক্টর নং-১০, রোড নং-১২, উত্তরা মডেল টাউনে ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট; ২টি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ-৩৪-৬৮৮৮ ও ঢাকা মেট্রো-ঘ-২১-৫১৬২) কেনার তথ্য পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া তার নামে দিনাজপুরের উথরাইল মৌজা, পুচকুর মৌজা, রামপুর মৌজা ও জালালপুর মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি এবং তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। 

আর মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শেখরের বিরুদ্ধে নিজ নামে মাগুরা জেলার জাগলা নামক স্থানে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা; মাগুরা জেলার চাওলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নগর পদ্মবিলে ১৫০ বিঘা জমিতে মাছের খামার; তার নিজ নামে ১০টি ট্রাক কেনার তথ্য পেয়েছে দুদক। আত্মীয়-স্বজনের নামে গাড়ি, মাগুরায় একাধিক বাণিজ্যিক ভবন, বিভিন্ন জায়গায় অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ কেনার অভিযোগ রয়েছে শিখরের বিরুদ্ধে।