ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুজবকারীদের শাস্তি চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৭ পিএম
গুজবকারীদের শাস্তি চান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব প্রচারকারীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।

শুক্রবার (২ আগস্ট) মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ আয়োজিত এক জরুরি সভায় এ দাবি জানানো হয়। 

‘দেশব্যাপী চলমান সহিংসতায় করণীয় ও জাতীয় শোক দিবস’ পালনের কর্মসূচি নির্ধারণের রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (আইডিইবি) সভাটি হয়। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সভায় বক্তরা বলেন, একটি গুজব হাজারও অ্যাটম বোমার চেয়ে ভয়ানক। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং মানবতা ও জাতিসত্তার হুমকি মোকাবিলায় গুজব প্রচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নেতারা বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের চলমান তথাকথিত আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে ব্যাপক নাশকতা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং তরুণ প্রজন্মকে দেশের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার প্রচেষ্টা চলছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে না, আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’

তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, সেই স্বাধীনতার চেতনা, মর্যাদা ও মূল্যবোধ রক্ষা করা আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। গুজব এবং মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং তরুণদের বিপথে পরিচালিত করা অমানবিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত অপরাধ। এই ধরনের কর্মকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে।’

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহিদ এমপি নুরুল হক হাওলাদারের মেয়ে জোবায়দা হক অজন্তা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশীদ রনি, আল-আমিন মৃদুল, সৈয়দ দিদারুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান মোল্লা, কেন্দ্রীয় সদস্য মনিরুজ্জামান খোকন প্রমুখ।

দেশে সারের সংকট নেই: কৃষি উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
দেশে সারের সংকট নেই: কৃষি উপদেষ্টা
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘দেশে ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুত রয়েছে। তাই কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার কিনতে ও ব্যবহার করতে পারবে।’ 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের বন্যাপরিস্থিতি পর্যালোচনা, পুনর্বাসনে গৃহীত পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) কার্যক্রম সম্পর্কে এ মতবিনিময় সভা হয়।

কৃষি উপদেষ্টা আরও বলেন, সার আমদানির প্রক্রিয়া স্বাভাবিক আছে। তাই ভবিষ্যতে সংকট হতে পারে, এ শঙ্কায় অতিরিক্ত সার কেনা বা মজুত না করার আহ্বান জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রধানরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট থেকে আকস্মিক বন্যায় দেশের ২৩টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব জেলার মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৮ হাজার ৫৭৩ হেক্টর। ফসল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ ৭ লাখ ১৪ হাজার ৫১৪ টন। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৮৯ জন। বন্যায় ২৩টি জেলার মোট আবাদ করা ফসলের শতকরা ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে।

মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

দেশের বিভিন্ন স্থানে সুফি দরগাহ ও মাজারে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে সরকার। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবস্থানের কথা জানানো হয়। 

বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হামলায় জড়িত অশুভ চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্বৃত্ত দেশের সুফি দরগাহ এবং মাজারে হামলা চালিয়েছে, যা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক স্থাপনা ও সুফি দরগাহের হামলার কঠোর নিন্দা জানায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হাজার হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সব ধর্ম-বিশ্বাসী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ। আমরা বাংলাদেশকে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতির দেশ হিসেবে রাখব এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতি বিঘ্ন করার যেকোনো চেষ্টা সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।

রাওয়ার সেমিনারে বক্তারা ‘শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন’

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
‘শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন’
গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তৃতা রাখেন বক্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে পুলিশকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছিলেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আগস্ট মাসে বিপ্লবী জনতার পাশে দাঁড়িয়ে আবারও প্রমাণ করেছেন তারা দেশ ও জনগণের পক্ষে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে (রাওয়া) গত ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং বিপ্লবোত্তর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) ও রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম এই দুই সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনার শেষে উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে যেসব কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন তারা আলোচনায় যুক্ত হন।

আলোচনায় চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ যে সেনা অফিসার দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন ও শেখ হাসিনার সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন তাদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। অনেক মানুষের বুক থেকে পাথর নেমে গেছে। এই স্বপ্ন যারা দেখাল- তারা কারা? তারা হচ্ছে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। তাদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি।’

তিনি আরও বলেন, আগস্টে ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কুচক্রী মহল পুলিশকে বিভিন্নভাবে উসকানি দিয়ে তাদের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। তারা আনসার সদস্যদের উসকানি দিয়েছে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ডাক্তারদের মাঠে নামিয়ে চিকিৎসাসেবা থেকে সবাইকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন দেখছি, বিদ্যুৎ নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা জঙ্গি কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। জনগণের সব অধিকার হরণ করেছিলেন, শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে তিনি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

অতিথি বক্তা ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘দেশের কিছু সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, এত টাকা দিয়ে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর লালন-পালনের দরকার নেই। আমি তাদের বলব, তারা এখনো সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীতা বুঝতে পারেননি। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি আবারও প্রমাণ হয়েছে ৫ আগস্টে। সেই দিন সেনাবাহিনী তাদের ভূমিকা না নিলে দেশের ভবিষ্যৎ কোন গন্তব্যে যেত তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।’

মেজর (অব.) মো. শিবলী বলেন, ‘সাবেক ও বর্তমান সৈনিক থেকে সর্বস্তরের কর্মকর্তা এই সফলতার অংশীদার। অথচ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আমরা অবহেলিত। আমাদের দাবি আদায়ে কোর্টে যাওয়ার অধিকারও নেই। অন্যান্য সেক্টরের মতো মেধাহীন পদোন্নতির মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

মেজর (অব.) নাসিম আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীও ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ সব জায়গায় মেধাহীন নিয়োগ দিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করেছে। এখনো প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে। এই প্রতিবিপ্লবের নায়কদের নোয়াখালীর ভাসানচর পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আয়নাঘর থেকে ফিরে আসা লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমি আয়নাঘরের বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশ ও বর্তমান সরকারকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সভা পরিচালনা করেন লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি ও লে. কর্নেল (অব.) মোশাররফ।

অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের
সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় দুই হাজার ৩৯০ কোটি ৮০ লাখ প্রায়) সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির আওতায় এই অর্থ দেওয়ার কথা জানান ইউএসএআইডির ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এর আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। যা গণতন্ত্র, মানবিধার, সমাজ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজের ব্যবহার হবে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের অংশ হতে পেরে ভালো লাগছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। এখন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করব। এ চুক্তি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজগুলো এগিয়ে নেওয়ার জন্য।

অঞ্জলি কৌর বলেন, এই চুক্তিটি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভূক্তিমূলক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখবে। এর মানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করা। আমরা স্বাস্থ্য, শাসন ব্যবস্থার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা সামনে একসঙ্গে আরও কাজ করার প্রত্যাশা করছি।

অমিয়/

বৃষ্টির যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
বৃষ্টির যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃষ্টিতে পলিথিন মাথায় দিয়ে যাচ্ছেন দুই রিকশাযাত্রী। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টি আজও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

রবিবার (১৫ সেপ্টম্বর) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আগামীকাল বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

অমিয়/