ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আটক সাধারণ ছাত্রদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১৮ পিএম
আটক সাধারণ ছাত্রদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতায় সারা দেশে আটক সব শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি বলেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না। 

শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠিকে তিনি এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র এই বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আগামীকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে সাংস্কৃতিককর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ। এ সময় দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশনা দেন। এজন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।

বৈঠকে দলটির সভাপতি ছাড়াও অংশ নেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুর নাহার চাপা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

অমিয়/

গ্রামবাংলার রূপ পরিবর্তনের কারিগর এলজিইডি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৬ পিএম
গ্রামবাংলার রূপ পরিবর্তনের কারিগর এলজিইডি: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর গ্রামবাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান কার্যালয়ে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেনের সভাপতিত্বে এই পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী খান এবং মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

হাসান আরিফ বলেন, বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলা করা এখন একান্ত জরুরি। সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্যোগের সময় একটি গোষ্ঠী খুশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব গোষ্ঠীর হয়তো দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না।

দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যাধিক - এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণ ব্যয় অত্যাধিক কিন্তু এর স্থায়ীত্ব কম। এমন অভিযোগ প্রায়ই আসে। এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক জনতার অভ্যূত্থানের মধ্যে দিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো তার একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। এই সংস্কার করতে দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে।

নারীর ক্ষমতায়নে এলজিইডিকে সহায়ক ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এলজিইডি গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে থাকে। এই গ্রামে গ্রামে চলমান কর্মযজ্ঞে মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে হবে।

বাসস/অমিয়/

বিদ্যুতের লোড বরাদ্দে এনএলডিসির বৈষম্যের শিকার সিলেট

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
বিদ্যুতের লোড বরাদ্দে এনএলডিসির বৈষম্যের শিকার সিলেট
ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে একদিকে তীব্র গরম অপরদিকে দিনে রাতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং। ভাদ্র মাসের অসহনীয় নগরীর বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে এই লোডশেডিং। কিন্তু এই লোডশেডিং সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারছে না সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

সিলেট নগরীর একাদিক বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিলেটের এই লোডশেডিংয়ে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো হাত নেই। কারণ গ্রিড পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি) থেকে। এই এনএলডিসি থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় এটা সঠিক নয়। কারণ যখন বিদ্যুতের চাহিদা পরিমাপ করা হয় তখন এনএলডিসি থেকে বলা হয়, কোনো কিছু বন্ধ করা যাবে না। এই চালু অবস্থায় যখন লোড পরিমাপ করে তখন সর্বোচ্চ চাহিদা ৩০ শতাংশ কম থাকে। কারণ তখন গ্রাহকদের ফ্রিজ, আইপিএস, ব্যাকআপ লাইট, চার্জিং ফ্যান লোড নেয় না। কিন্তু যখন বিদ্যুৎ থাকে না তখন আইপিএস, ফ্রিজ, চার্জিং লাইট ফ্যান লোড নেবে। যার ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ মেগাওয়াট বেড়ে যায়। কিন্তু এনএলডিসি বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেয় স্বাভাবিক সময়ের অনুপাতে। যার ফলে লোডশেডিং হয়ে যায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। কিন্তু কাগজে পত্রে এনএলডিসি দেখায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লোডশেডিং।  

অপরদিকে ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) সারাদেশের জোনভিত্তিক বিদ্যুতের চাহিদা, সরবরাহ এবং লোডশেড শিটে দেখা যায়, সারাদেশের নয়টি জোনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোনো লোডশেডিং দেয় না এনএলডিসি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সিলেটসহ কয়েকটি জোনে স্থানীয় ঘাটতি দেখিয়ে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। 

গত ৪ সেপ্টেম্বরের এনএলডিসির সারাদেশের জোনভিত্তিক বিদ্যুতের চাহিদা, সরবরাহ এবং লোডশেড শিটে দেখা যায়, ঢাকা জোনের বিদ্যুতের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ১২২৩.৯ মেগাওয়াট। এই চাহিদার প্রেক্ষিতে এনএলডিসি ঢাকা জোনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে ১২২৪ মেগাওয়াট। চট্টগ্রাম জোনের বিদ্যুতের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৮৮২.০ মেগাওয়াট। এই চাহিদার প্রেক্ষিতে এনএলডিসি চট্টগ্রাম জোনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে ৮৮২ মেগাওয়াট। 

পক্ষান্তরে ওইদিন সিলেট জোনে বিদ্যুতের চাহিদা দেওয়া হয় ২১৫.৪ মেগাওয়াট। এই চাহিদার প্রেক্ষিতে এনএলডিসি সিলেট জোনে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েছে ১৭৮ মেগাওয়াট। এবং স্থানীয় ঘাটতি দেখিয়ে সিলেটে ৩৭.৪ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে বলা হয়।

এনএলডিসি এর এই বৈষম্যমূলক লোড বরাদ্দ দেওয়া প্রায় বছর দেড়েক ধরে চলছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে তুলনামূলক অনেক কম চাহিদা থাকার পরও অদৃশ্য কারণে সিলেটে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ বরাদ্দ দিচ্ছে না এনএলডিসি। একদিকে তাদের সঠিক লোড পরিমাপ না করা এবং ক্রটিপূণভাবে যে লোডের চাহিদা নেওয়া হয় সেটাও পুরোপুরি না দেওয়ায় সিলেট জোনের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগে পল্লী বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ২৬ লাখ। ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার থেকে চাহিদার থেকে কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে পিক আওয়ারে লোডশেডিং করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ধরা হয় ডে-পিক আওয়ার। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্তও থাকে পিক আওয়ার। 

এদিকে এই পিক আওয়ারের হিসেবে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পেলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কমপক্ষে ১১ ঘন্টা লোডশেডিং করতে হয় সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের। অপরদিকে প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হন স্থানীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

অনেক সময় দায়িত্বরত প্রকৌশলী, অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মারধরও করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা। অনেকেই আবার ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিও করেন বলে জানান সিলেটের বিভিন্ন বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)  সিলেট বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই লোড মেনেজন্টে করে এনএলডিসি। তারা আমাদের বলে আজ লোড মাপা হবে। আজ কোনো লাইন বন্ধ করবেন না। সব চালু  থাকবে। কিন্তু আমাদের বক্তব্য ছিল মিটারে ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ লোড রেকর্ড হওয়া আছে। আপনার এই ডিমান্ড থেকে লোড দেন। কিন্তু তারা এটা থেকে নেয় না। মনে করেন আপনার বাসায় সারাদিন বিদ্যুৎ থাকলে বাসার এসি, ফ্রিজ, আইপিএস, লাইট ফ্যান সব চার্জ হয়ে থাকবে। তখন তারা কোনো লোড নেবে না। কিন্তু যখন বিদ্যুৎ থাকবে না তখন এসব বিদ্যুৎ নেওয়া শুরু করবে। তাহলেতো চাহিদা বেড়ে যাবে। ওই গ্যাপটা কারো নজরে আসতেছে না। আমরা চাচ্ছি সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়াতে। আমরা আগেও এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয়ের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি যারা ভিজিট করতে আসে তাদের মিটিং, ডিসি অফিসের মিটিংয়েও আমি এই লোড বরাদ্দের বিষয়টা নিয়ে বলেছি কিন্তু তৎকালীন ডিসি সাহেব ধমক দিয়ে আমাকে চুপ করিয়ে দেন। উনি বলতেন বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো কথা বলবেন না। বেশি বিদ্যুৎ পাচ্ছে সিলেট।’

এ ব্যাপারে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিদ্যুতের লোড ম্যানেজমেন্ট আমাদের হাতে নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টা বুঝানোর চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে অবগতও করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। অথচ এই লোডশেডিংয়ে আমাদের কোনো হাত নেই। তারপরও জনগণের ক্ষোভের শিকার আমরাই হই।’

সিলেটে বিদ্যুতের লোড বরাদ্দে বৈষম্যের ব্যাপারে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের সিস্টেম অপারেশন অফিসের প্রধান প্রকৌশলী ও ন্যাশনাল লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বি এম মিজানুল হাসান খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত দুদিন থেকে আমরা ঢাকাতেও লোডশেড দিচ্ছি। যেহেতু এখন আমাদের বিদ্যুতের ক্রাইসিস বেড়েছে সেজন্য সব জোনে লোডশেড সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য ঢাকাতেও কিছু লোডশেড দেওয়া হয়েছে।’

সারা বাংলাদেশে একই অনুপাতে লোডশেড করতে কোনো উদ্যোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এটাই ইমপ্লিমেন্ট করার চেষ্টা করছি। পার্সেন্টিজ অনুযায়ী লোডশেড করার পরিকল্পনা হচ্ছে। আমাদের বর্তমানে ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ লোডশেডিং আছে।’

কাগজে কলমে আর গ্রাহক পর্যায়ে লোডশেডিং চিত্র ভিন্ন কেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। তিনি বলেন, সবার সহযোগিতা চাচ্ছি। এই ক্রাইসিস থাকবে না। আগামী ১৫ তারিখ পর এই ক্রাইসিস কমে যাবে।

অমিয়/

২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
২৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

দেশের ২৫টি জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসনা আফরোজ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে জারি হওয়া এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, বগুড়া, জয়পুরহাট, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, গাজীপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, খুলনা ও গোপালগঞ্জে নতুন ডিসি নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে। 

এর আগে গত ২০ আগস্ট এসব জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে বদলি করা হয়।

জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব তানভীর আহমেদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পি কে এম এনামুল করিম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরিদুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব মুফিদুল আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব তরফদার মাহমুদুর রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারহানা ইসলাম, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মো. অহিদুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

তাছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রাজীব কুমার সরকার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসনা আফরোজা, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২-এর সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত উপসচিব ফরিদা খানম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাফিসা আরেফীন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আমিরুল কায়সার, বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম এবং ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান নিয়োগ পেয়েছেন।

অমিয়/

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের ১১ দফা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পিএম
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের ১১ দফা
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ছবি। খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে রাজধানীতে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। নগরীর মূল সড়কে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশা চলছে দেদারসে। রাজধানীর সব ফ্লাইওভারের অটোরিকশার অবাধ যাতায়াত। এমনকী বিমানবন্দরের টার্মিনালেও রিকশা ও অটোরিকশা ঢুকে পড়তে দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে যানজট নিয়ন্ত্রণ করে সড়কপথে গণমানুষের ভোগান্তি কমাতে ১১ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের আহ্বায়ক কেফায়েত উল্লাহ শাকিল ও যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই সুপারিশ জানানো হয়।

নগরজীবনে ভোগান্তি কমাতে দ্রুততম সময়ে অবিলম্বে ১১ দফা সুপারিত বাস্তবায়নে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন। 

সুপারিশমালায় রয়েছে-
রাজধানীর প্রধান সড়কে রিকশা, অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশেষ করে সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও কম গতির এসব বাহন প্রধান সড়ক অতিক্রম করবে না। তারা রাজধানীর অলিগলিতে চলাচল করবে। এক্ষেত্রে রিকশা বা অটোরিকশার চালকরা নিজেদের মধ্যে যাত্রী ভাড়ার টাকা শেয়ারিং করতে পারেন। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নিবেন। 

রাজধানীর প্রত্যেক রুটে বাসস্টপেজ মার্কিং করে দিতে হবে। স্টপেজের বাইরে কোনোভাবেই যাত্রী ওঠানো-নামানো না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ইউটার্ন নেওয়ার সময় সড়কের মোড়ে মোড়ে কোনো যাত্রীবাহী বাস থামবে না এবং যাত্রীও ওঠানো-নামানো যাবে না। সড়কে চলার সময় বাসে বাসে ধাক্কাধাক্কি বা ওভারটেক করা যাবে না৷ 

বাস মালিকরা পরিবহনের চালকদের ওপর আর্থিক চাপ তৈরি করতে পারবেন না। তাদের বেতন নির্ধারণ করে দিতে হবে। কোনো ধরনের ভোগান্তি ও আর্থিক অনিময় ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে ওয়েবিলের নামে যাত্রী ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে। 

বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আলাপ করে ফিটনেসবিহীন সব বাস ডাম্পিংয়ে পাঠাতে হবে এবং যেসব পুরনো লক্কর-ঝক্কর বাস সেগুলো রাজধানীর বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে। ঢাকার জন্য সব রুটে নতুন ও আধুনিক বাস নামাতে হবে। তবে তা হতে হবে এসি ও নন-এসি। সেক্ষেত্রে পরপর দুটি সাধারণ বাসের পর একটি এসি বাস সড়কে চলতে পারে। এসি বাস থাকলে অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারেও নিরুৎসাহিত হবেন। ফলে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কমবে।

অফিস সময়ে বড় বড় শপিংমল ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। সেক্ষেত্রে বিকেল ৪টা থেকে রাত ২টা বা ৩টা পর্যন্ত কেনাকাটার জন্য শপিংমল, বিপনীবিতান খোলা রাখা যেতে পারে। এতে অফিসগামী যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়া কিছুটা স্বস্তিতে ও নির্ধারিত সময়ে তাদের কর্মস্থলে যেতে পারবেন। 

মূল সড়কগুলোর ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারী চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে; যাতে করে ২-৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।  সড়কের পাশের দোকান, হাসপাতাল বা শপিংমলের কোনো মালামাল, পরিবহন ফুটপাতে রাখা যাবে না।

একই সঙ্গে রাজধানীর সব হকারকে পুনর্বাসন করতে হবে। তাদের জন্য সড়কের বিকল্প হিসেবে সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটির পর ওইসব এলাকায় বিকেল ৪টা বা ৫টার পর থেকে উন্মুক্ত বাজার বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

রাজধানীর সব ফুটওভারব্রিজ অপসারণ করতে হবে। কেননা, এটা সব মানুষের ব্যবহারের উপযোগী নয়। বিশেষ করে, নারী, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, বৃদ্ধা, অসুস্থ ব্যাক্তিদের চলাচলের উপযোগী নয়। সেক্ষেত্রে পথচারী চলাচলে সড়কে জেব্রাক্রসিং মার্কিং নিশ্চিত করতে হবে।

রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকা সব ট্রাফিকবক্স অপসারণ করতে হবে। কারণ, এসব ট্রাফিক বক্সের কারণে মানুষকে ফুটপাত ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসতে হয়, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

ট্রাফিক সদস্যদের জন্য কর্মঘণ্টা কমিয়ে ৬ ঘণ্টায় নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে সকাল ৮টা থেকে ২টা ও দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্ন হিসেবে পার্টটাইম ট্রাফিক পুলিশে যুক্ত করা যেতে পারে।

রাজধানীর সব মিনিবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল থেকে হাইড্রলিক হর্ণ অপসারণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস নামানোর উদ্যোগ নিতে হবে।

জয়ন্ত সাহা/অমিয়/

দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ ও বিভিন্ন মাজারে হামলার নিন্দা

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ ও বিভিন্ন মাজারে হামলার নিন্দা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ খলিফা। ছবি: খবরের কাগজ

তাসাউফভিত্তিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দেওয়ানবাগ শরীফসহ দেশের বিভিন্ন দরবার ও মাজারে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা হুজুর। 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে এই নিন্দা জানান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ খলিফা।
 
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, দেওয়ানবাগ শরীফ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নয়। মানুষের প্রতি দয়া, প্রেম, ভালোবাসা প্রদর্শন এবং নিজেদের চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই এই প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তারপরও কেন, কার স্বার্থে বার বার মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ানবাগ শরীফে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হচ্ছে? প্রশ্ন রাখেন আবদুল আজিজ খলিফা। 

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ানবাগ শরীফের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেওয়ান ফারুকুল ইসলাম, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য হযরতুল আল্লাম এমরান হোসাইন মাজহারী ও ইসলামী আলোচক হযরতুল আল্লাম সাব্বির আহমদ ওসমানীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিইউবি’র সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন সোহেল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সুফি সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নারায়ণঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন দেওয়ানবাগ গ্রামে অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফে এবং ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালে বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং সংশ্লিষ্ট দরবার দুটিতে অবস্থানরত নিরীহ ভক্তদের ওপর দুর্বৃত্তরা নির্যাতন চালায়। এর ফলে শতাধিক ভক্ত মারাত্মক আহত হন এবং একজন মৃত্যুবরণ করেন। এরা ইতোপূর্বে ১৯৯০ ও ১৯৯৯ সালেও দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে হামলা চালিয়েছিল। 

তরিকতপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আজকের এই সংকট দেওয়ানবাগ শরীফের একার নয়। এই সংকট বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সুফিবাদী জনগোষ্ঠীর। সব তরিকতপন্থী মানুষের। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এসব জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরিকতপন্থি ও সুফিবাদীদের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শান্তিপ্রিয় সুফিপন্থী জনগোষ্ঠীর কার্যক্রমে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা দিয়ে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে, সরকারকে সেই বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়।

জিয়াউদ্দিন রাজু/অমিয়/