ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারের পদত্যাগ দাবি সাংবাদিক সমাজের

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম
সরকারের পদত্যাগ দাবি সাংবাদিক সমাজের
ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্র-জনতার হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন সাংবাদিক সমাজ। 

শনিবার (৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফডিইউজে) এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি করা হয়। 

সমাবেশে বিএফডিইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘এই সমাবেশ আর সাংবাদিকদের সমাবেশ নেই। এটি সাংবাদিক ও জনতার সমাবেশে পরিণত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এরশাদের পতন হয়েছে। আজকে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছে। সাংবাদিক জনতা নিয়ে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।’
 
তিনি বলেন, আমাদের চারজন সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে, ২০০ জনকে আহত করা হয়েছে, ৫০ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। শত শত ছাত্র জনতা কাতরাচ্ছে, চোখ হারিয়েছে, পা হারিয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করেছে আর আপনি (শেখ হাসিনা) গদিতে আরামে থাকবেন। আপনার গদিতে থাকা হবে না। আপনার পতনের মধ্যে দিয়ে বিচারের ফয়সালা করব।’

সমাবেশে বিএফডিইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ ইচ্ছা করে গুলি করেনি। সরকারের নির্দেশে গুলি করতে হয়েছে। পুলিশ নয় হাসিনাকে টার্গেট করুন।’
 
তিনি বলেন, ‘সরকারের পতন শুক্রবারই হয়ে গেছে। হাসিনার পালানোর জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে বিমান রেডি করে রাখা হয়েছে। আমরা বলি, আমার ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে পালাতে পারবে না। বাংলাদেশের সব রেলপথ, রাজপথ, সড়কপথ, বিমানপথ, নৌপথ বন্ধ করে দিতে হবে। এই হত্যার খুনের বিচার করতে হবে। নাহলে শিশুদের কাছে আমরা অপরাধী হয়ে থাকব। দেশের কাছে আমরা অপরাধী হয়ে থাকব। এই জাতির কাছে, মানবতার কাছে অপরাধী হয়ে থাকব। সেটা আমরা হতে চাই না।’

সমাবেশ শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে একটা মিছিল বের করে সাংবাদিকরা। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে ঘুরে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।

এ সময় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে একটি মানববন্ধন ঘিরে ভুয়া ভুয়া ধ্বনি দিতে থাকেন সাংবাদিকরা। পরে মানববন্ধন নিয়ে সেখান থেকে চলে যায় সাংস্কৃতিক জোট।

ডিইউজের সদস্য শাহিন হাসনাতের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সহসভাপতি শাহিন হাসনাত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ পলি, কবি আব্দুল হাই সিকদার, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সরদার ফরিদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল ইসলাম আজাদ, আবু সালেহ আকন, আলাউদ্দিন আরিফ, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দী সাঈদ খানের স্ত্রী সাজিদা আক্তার ইতিসহ ডিইউজে ও বিএফডিউজের নেতাকর্মী।

শফিকুল/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর সরকার

দেশের বিভিন্ন স্থানে সুফি দরগাহ ও মাজারে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে সরকার। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবস্থানের কথা জানানো হয়। 

বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্মীয় উপাসনালয় এবং সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি হামলায় জড়িত অশুভ চক্রকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু দুর্বৃত্ত দেশের সুফি দরগাহ এবং মাজারে হামলা চালিয়েছে, যা সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনো ধরনের বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য এবং ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক স্থাপনা ও সুফি দরগাহের হামলার কঠোর নিন্দা জানায়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হাজার হাজার বছর ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সব ধর্ম-বিশ্বাসী মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ। আমরা বাংলাদেশকে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতির দেশ হিসেবে রাখব এবং ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতি বিঘ্ন করার যেকোনো চেষ্টা সরকার দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করবে।

রাওয়ার সেমিনারে বক্তারা ‘শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন’

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
‘শেখ হাসিনা সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন’
গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া) উন্মুক্ত আলোচনা সভায় বক্তৃতা রাখেন বক্তারা। ছবি: খবরের কাগজ

সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে পুলিশকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছিলেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আগস্ট মাসে বিপ্লবী জনতার পাশে দাঁড়িয়ে আবারও প্রমাণ করেছেন তারা দেশ ও জনগণের পক্ষে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে (রাওয়া) গত ‘জুলাই ও আগস্ট মাসে বিপ্লবে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান এবং বিপ্লবোত্তর ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) ও রাওয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডি ফোরাম এই দুই সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনার শেষে উন্মুক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এ ছাড়া গত ১৫ বছরে যেসব কর্মকর্তা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন তারা আলোচনায় যুক্ত হন।

আলোচনায় চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালসহ যে সেনা অফিসার দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন ও শেখ হাসিনার সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন তাদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

সেমিনারে অতিথি বক্তা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। অনেক মানুষের বুক থেকে পাথর নেমে গেছে। এই স্বপ্ন যারা দেখাল- তারা কারা? তারা হচ্ছে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। তাদের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি।’

তিনি আরও বলেন, আগস্টে ছাত্র-জনতার এই বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কুচক্রী মহল পুলিশকে বিভিন্নভাবে উসকানি দিয়ে তাদের কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে, যাতে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। তারা আনসার সদস্যদের উসকানি দিয়েছে, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ডাক্তারদের মাঠে নামিয়ে চিকিৎসাসেবা থেকে সবাইকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন দেখছি, বিদ্যুৎ নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুজ্জামান বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা জঙ্গি কায়দায় দেশ পরিচালনা করেছেন। তিনি নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন। জনগণের সব অধিকার হরণ করেছিলেন, শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য। কিন্তু ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে তিনি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

অতিথি বক্তা ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘দেশের কিছু সুশীল সমাজের বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, এত টাকা দিয়ে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর লালন-পালনের দরকার নেই। আমি তাদের বলব, তারা এখনো সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীতা বুঝতে পারেননি। সেনাবাহিনী বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি আবারও প্রমাণ হয়েছে ৫ আগস্টে। সেই দিন সেনাবাহিনী তাদের ভূমিকা না নিলে দেশের ভবিষ্যৎ কোন গন্তব্যে যেত তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।’

মেজর (অব.) মো. শিবলী বলেন, ‘সাবেক ও বর্তমান সৈনিক থেকে সর্বস্তরের কর্মকর্তা এই সফলতার অংশীদার। অথচ ছাত্র-জনতার বিপ্লবের এক মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও আমরা অবহেলিত। আমাদের দাবি আদায়ে কোর্টে যাওয়ার অধিকারও নেই। অন্যান্য সেক্টরের মতো মেধাহীন পদোন্নতির মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

মেজর (অব.) নাসিম আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীও ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। সশস্ত্র বাহিনীসহ সব জায়গায় মেধাহীন নিয়োগ দিয়ে নৈরাজ্য তৈরি করেছে। এখনো প্রতিবিপ্লবের জন্য টাকা ছড়ানো হচ্ছে। এই প্রতিবিপ্লবের নায়কদের নোয়াখালীর ভাসানচর পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আয়নাঘর থেকে ফিরে আসা লে. কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বলেন, ‘আমি আয়নাঘরের বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের দেশ ও বর্তমান সরকারকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’

সভা পরিচালনা করেন লে. কর্নেল (অব.) মনীষ দেওয়ান। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. নাসিমুল গনি ও লে. কর্নেল (অব.) মোশাররফ।

বৃষ্টির যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
বৃষ্টির যে বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর
বৃষ্টিতে পলিথিন মাথায় দিয়ে যাচ্ছেন দুই রিকশাযাত্রী। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টি আজও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

রবিবার (১৫ সেপ্টম্বর) সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়- রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আগামীকাল বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

অমিয়/

আজ থেকে দেশব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ এএম
আজ থেকে দেশব্যাপী টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ রবিবার থেকে সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি পরিবার ভর্তুকি মূল্যে চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) টিসিবির যুগ্ম পরিচালক মো. হুমায়ুন কবিরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিটি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার ভোজ্যতেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবে। এসব পণ্য টিসিবির নির্ধারিত ডিলার শপ অথবা সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলায় তাদের স্থায়ী আউটলেটে পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। কার্ডহোল্ডাররা মনোনীত ডিলারদের কাছ থেকে ভর্তুকি দেওয়া পণ্য চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কিনতে পারবেন।

সাবেক এমপি শাহে আলম আটক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১০ এএম
সাবেক এমপি শাহে আলম আটক
সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদার

বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারকে আটক করে গুলশান থানায় সোপর্দ করেছেন সাধারণ মানুষ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজধানীর গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাকে শনিবার রাতে মারধরের পর থানায় দিয়েছে সাধারণ মানুষ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করে জনতা।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আলম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম তালুকদার গুলশান থানায় আছে। তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে চাঁদার দাবিতে হামলা মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক এমপি শাহে আলমের বিরুদ্ধে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চাখারের সৈয়দ আতিকুর রহমান বাপ্পী এ মামলা করেন। 

মামলায় শাহে আলমের সঙ্গে তার তিন ভাই ও এক ভাগ্নেসহ ১৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শারমিন সুলতানা সুমি অভিযোগ তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অমিয়/