ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ১১টায়

প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক ১১টায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরিস্থিতির মধ্যে গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় গণভবনে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন সরকরপ্রধান।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (এনসিএসএ) বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে তিন বাহিনীর প্রধানসহ ২৭ জন সদস্য রয়েছেন।

বৈঠকে কমিটির সব সদস্য, স্বরাষ্ট্র, তথ্য, আইন, অর্থ, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা, শিল্প, বাণিজ্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এবং সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রধানদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি-২০১৮ অনুমোদিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের মার্চে গঠিত এ কমিটি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সমস্যা পর্যালোচনা করে থাকে। ২০২৩ সালের পর এটি হবে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রথম বৈঠক।

তাছাড়া, বিকেল ৪টায় সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী।

অমিয়/

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০১ এএম
আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ এএম
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে সই করেন আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি) শাখা থেকে সলিসিটর রুনা নাহিদ আক্তার। 

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ছাড়া ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। বাকি চার প্রসিকিউটরের মধ্যে মো. মিজানুল ইসলাম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম ও বিএম সুলতান মাহমুদ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আব্দুল্লাহ আল নোমান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা পাবেন।

এতে আরও বলা হয়, এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

সালমান/

আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
আরব আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় দণ্ডিত হয়েছিলেন ৫৭ বাংলাদেশি। পরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান তাদের বিশেষ ক্ষমা করেন। এদের মধ্যে ১৪ জন শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ বিষয়টি জানানো হয়। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক ক্ষমা পাওয়াদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি অভিবাসী শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকে ১২ জন একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন। তারা রাত ১০টায় চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক হয়। পরবর্তী ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, ‘গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ জনের শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন।’

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। এর মধ্যে ৩ জনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি ১ জনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

৪৮ নাগরিকের বিবৃতি জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি ধৃষ্টতাপূর্ণ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি ধৃষ্টতাপূর্ণ
নাগরিক বিবৃতি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতনের পর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় সংগীতসহ জনসাধারণের আবেগ ও অনুভূতি নিয়ে একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৪৮ নাগরিক। 

তারা বলেছেন, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী গত ৩ সেপ্টেম্বর সংবিধান ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সাম্প্রদায়িক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ। আমরা তার এ বক্তব্যের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এমনকি জাতীয় সংগীত নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধৃষ্টতা দেখাতে পরিকল্পিত প্রচার শুরু করেছে। মাত্র কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির জাতিকে অতীতের সবকিছু ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। অনুমান করা যায়, অতীত বলতে তিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, সেই সময়ে তার দলের ভূমিকার কথাই বুঝিয়েছেন। তিনি যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই বোঝাতে চেয়েছেন, তা আরও পরিষ্কার হলো জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী গত ৩ সেপ্টেম্বর সংবিধান ও জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে। আমরা তার এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সাম্প্রদায়িক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয়, যেখানে যা খুশি তাই বলা। যে উদ্দেশ্যে তিনি ৩ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন, এর বাইরে গিয়ে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জাতীয় সংগীত ও সংবিধানের মূলনীতির প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আবেগের জায়গায় আঘাত করেছেন।

এতে বলা হয়, সবার মনে রাখা দরকার, ১৯৭১ সালে তরুণ, ছাত্র, কৃষক-শ্রমিক-সেনা-পুলিশ সদস্যসহ সর্বস্তরের বিভিন্ন ধর্ম-জাতি-বর্ণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে লাখ লাখ মানুষ জীবনপণ লড়াইয়ে ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে চরম আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামের আমাদের এই প্রিয় দেশটিকে স্বাধীন করেছিলেন। এর জন্য বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসর জামায়াতসহ বিভিন্ন দলীয় ঘাতক বাহিনীর অবর্ণনীয় বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষ নারী-পুরুষ, ছাত্র-শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী-লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের অগণিত ব্যক্তি ও পরিবারকে। সেই ইতিহাস এই দেশের প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষ মনে রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও মনে রাখবে। এই ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কথা বলার অধিকার কিংবা দুঃসাহস কারোরই থাকার কথা নয়। আর জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ গেয়েই বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনপণ লড়াইয়ের শপথ নিয়েছেন, যুদ্ধ করেছেন। তাদের অনেকে শহিদ হয়েছেন, অনেকে শারীরিক পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা যে যুদ্ধ করেছেন, জাতীয় সংগীত ছিল তাদের প্রেরণার সার্বক্ষণিক উৎস। তাই জাতীয় সংগীতটি কার্যত যুদ্ধের মধ্য দিয়েই লাখো শহিদের রক্তে নতুনভাবে আমাদের প্রাণের সংগীত হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একে নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা। একে কোনোভাবেই এই দেশের মানুষ দলমত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা গুমের শিকার হয়ে রাষ্ট্রীয় সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত গোপন আটক কেন্দ্র ‘আয়নাঘর’-এ দীর্ঘ আট বছর বন্দি ছিলেন। গুমের শিকার ব্যক্তিদের মুক্তিসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন এজেন্সির দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের দাবিতে আমরা বরাবরই সোচ্চার ছিলাম, এখনো আছি। আমরা চাই সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তাসহ যারা ‘আয়নাঘর’-এ আটক ছিলেন, নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা সবাই ন্যায়বিচার যেন পান। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ন্যায়বিচারের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করবে। কিন্তু তার সঙ্গে জাতীয় সংগীত কিংবা মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যেকোনো প্রচেষ্টা নিতান্তই উদ্দেশ্যমূলক। তাই যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা জাতীয় সংগীত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চেষ্টা করছেন কিংবা অসত্য তথ্য প্রচার করছেন, তাদের এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হব।

এতে বলা হয়, শত শত শিক্ষার্থী, শিশু, কিশোরী-কিশোর ও জনতার প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতন্ত্রের যে বিজয় অর্জিত হলো, তাকে সংকীর্ণ দলীয় ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কোনো সাম্প্রদায়িক অথবা অন্য গোষ্ঠী যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সবাইকে সদা সতর্ক, সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশী কবির, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি উপাচার্য পারভীন হাসান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সিনিয়র আইনজীবী তবারক হোসেন, আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, লেখক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ঈশানী চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জোবায়দা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহা মির্জা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সাদাফ নুর, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ড. নূর মোহম্মদ তালুকদার, নতুন দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাযহারুল ইসলাম বাবলা, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি এ এস এম কামালউদ্দিন, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মফিদুর রহমান লাল্টু, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, এমএসএফের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহদাত আলম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এম খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজিজুল্লাহ ইমন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রিন্স আল মাসুদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শায়লা শারমীন, মানবাধিকার কর্মী তাপসী রাবেয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আজমীর হোসেন, মানবাধিকার কর্মী দীপায়ন খীসা, মানবাধিকার কর্মী ও সংগীতশিল্পী বাপ্পী মাশেকুর রহমান, আদিবাসী অধিকার কর্মী হানা শামস আহমেদ, সাঙ্গাত’র কোর গ্রুপ মুক্তাশ্রী চাকমা ও এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

 

সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পিএম
সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল, টার্মিনাল কাউন্টার, লঞ্চের পন্টুন এবং ওয়াইজঘাট-সিমসনঘাটের খেয়াঘাট পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব পরিদর্শন করেন তিনি। 

এ সময় বন্দর কর্মকর্তা কবীর হোসেন ঢাকা নদীবন্দরের বিভিন্ন কাজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে তুলে ধরেন। 

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ঢাকা নদীবন্দরের ঘাটের রাজস্ব বাড়াতে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে তাগিদ দেন। এ বিষয়ে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত রাজস্ব আদায় কার্যক্রম সচল করার উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেন। প্রতিটি ঘাট-পয়েন্টে সরকার নির্ধারিত রেট চার্ট দৃশ্যমান স্থানে স্থাপনের জন্যও নির্দেশনা দেন। এ প্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা আগামী সাত দিনের মধ্যে রেট চার্ট স্থাপন করা হবে বলে জানান। 

ঢাকা নদীবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম দেখে নৌপরিবহন উপদেষ্টা সন্তুোষ প্রকাশ করে বন্দরের প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থেকে নৌ-সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় নিয়মাগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে এবং লঞ্চের  রুট পারমিট ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিআইডব্লিউটিকে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেন।

এ সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং ঢাকা নদীবন্দরের বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

লুট হওয়া ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৯ পিএম
লুট হওয়া ৫৩ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫
পুলিশ সদর দপ্তর

সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশসহ যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে এই অস্ত্র উদ্ধার করেছে। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো হলো রিভলবার ২টি, পিস্তল ১৮টি, রাইফেল ২টি, শটগান ১১টি, পাইপগান ১টি, শুটারগান ৬টি, এলজি ৩টি, বন্দুক ৩টি, একে ৪৭ ১টি, গ্যাসগান ১টি, চায়নিজ রাইফেল ১টি, এয়ারগান ১টি ও এসবিবিএল ৩টিসহ মোট ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এ সময় ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলবে। যাদের কাছে চোরাই অস্ত্র পাওয়া যাবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।