শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দেশ ছাড়ার পরপর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রজনতার ঢল নামে শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে। এ সময় ভবন থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র, টেলিভিশন, ফুলের টব, হাঁস, বালতি, মাছ, মাংস, ফ্রিজসহ নানা জিনিস নিয়ে জনতাকে বের হতে দেখা যায়।
সরেজমিনে গণভবনে গিয়ে দেখা যায়, কেউ ফ্রিজে রাখা খাবার খাচ্ছেন। কেউ হাসিনার খাটে শুয়ে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ সেখানে থাকা জলাধারে নেমে গোসল করে উল্লাস প্রকাশ করেন।
আরও দেখা যায়, কেউ কেউ শেখ হাসিনার শাড়ি, বালিশ, কাঁথা নিয়ে যাচ্ছেন। ফ্রিজ থেকে মাছ নিয়েও আসেন অনেকে। চেয়ার, টেবিল হাঁড়িপাতিল, কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এমনকি প্লাস্টিকের চেয়ার হাতে নিয়েও বের হতে দেখা যায় অনেককে। এ ছাড়া কবুতর, হাঁস মুরগি নিতেও দেখা যায় অনেককে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে গণভবন কম্পাউন্ড এলাকায় তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
বিকেল ৩টার পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে গণভবনে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা গণভবনে উল্লাস করেন। ‘পালাইছেরে পালাইছে, খুনি হাসিনা পালাইছে, পালাইছেরে পালাইছে স্বৈরাচার পালাইছে’ এসব বলে তারা স্লোগান দিতে থাকেন ও ভাঙচুর চালান।
গণভবনের সামনে কথা হয় রেসিডেনসিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী পার্থের সঙ্গে। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘অনেক রক্তের বিনিময়ে আমাদের এই অর্জন। এই অন্দোলনে জীবন দেওয়া সব বীর শহিদকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। আমাদের বিজয় হয়েছে। এই বিজয় সবাইকে উৎসর্গ করলাম।’
টেলিভিশন, ফ্রিজ ছাড়াও ফ্যান, ছাগল, খরগোশ, হাঁস, মুরগি, সবজি বাগান থেকে শাকসবজিও তুলে নেন মানুষ। লাগেজ, ডিভান, ওভেন, গাছ, ঘড়িসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নিতে দেখা গেছে। গণভবনের ভেতরে কথা হয় জেনেভা ক্যাম্পের সুমনের সঙ্গে। তার হাতে ছিল একটি চেয়ার। সুমন খবরের কাগজকে বলেন, ‘যে যা পারছে নিয়ে আসছে, একটা পাপোশও নাই।’