দিল্লি থেকে লন্ডনে যাবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে কিছুদিন ভারতে অবস্থান করে যাবেন, নাকি শিগগিরই চলে যাবেন- এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা কিছু জানাননি। গাজিয়াবাদের এয়ারবেইজে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে পদত্যাগ করার পর বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে গণভবন ছাড়েন শেখ হাসিনা। তাকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে প্রথমে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ভারতের বিমানবাহিনীর একটি মালবাহী বিমানে তাকে দিল্লি-লাগোয়া গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেইজে বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে বোন শেখ রেহানা এবং কয়েকজন কর্মকর্তা ছিলেন। এই এয়ারবেইজেই দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অজিত দোভাল গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফর করেছিলেন। তখন তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে তার সফরকালে ঢাকা বা নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি। পরে বিষয়টি স্বীকার করে ঢাকা।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। তাই তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। দিল্লি থেকে তিনি লন্ডনে যেতে পারেন। গতকাল সোমবার রাতেই তার লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্য তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। তেমন হলে শেখ হাসিনা দিল্লিতেই কয়েক দিন ‘সেইফ হাউসে’ থাকতে পারেন।
ভারতের আরেক গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক লাইভে বলা হয়, শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা তার বোন শেখ রেহানা ইংল্যান্ডের নাগরিক। তাই তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারটি উড়িয়ে আগরতলা নিয়ে যান এয়ার কমান্ডার আব্বাস। জল্পনা ছিল যে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে হাসিনার হেলিকপ্টারটি। কিন্তু পরে জানা যায়, দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিবর্তে রাজধানী-লাগোয়া গাজিয়াবাদের এয়ারবেইজে অবতরণ করেন হাসিনা।
শেখ হাসিনা সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধীও বাংলাদেশ সংকট নিয়ে এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেছেন।