ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারে যারা থাকতে পারেন

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারে যারা থাকতে পারেন

আবারও ফিরে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকারে কারা থাকছেন তার একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে। দেশের ১৮ জন বিশিষ্ট সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির নাম ওই তালিকায় রয়েছে। 

গতকাল সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করলে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিকেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার কথা বলেন।
এক দফা দাবিতে লাখ লাখ ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি বাস্তবায়নকালে গতকাল ঢাকার সব রাজপথ দখলে নিয়ে ‘গণভবন’ অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে তাড়াহুড়ো করে শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করেন। 

এরপর সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তার ভাষণে বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ঢাকা সেনা সদর দপ্তরে ডেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেনাপ্রধান জানান, বৈঠকে উপস্থিত সব রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। এরপর থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারে কারা থাকছেন তার একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে চলে আসে।

এ তালিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নাম প্রথমেই রয়েছে। আরও যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নুরুল হুদা, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) দুই সাবেক মহাপরিচালক লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও লে. জে. (অব.) মো. মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জে. (অব.) হেলাল মুর্শেদ খান, সাবেক সচিব ফওজুল কবির খান ও ড. মাহফুজুল হক, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী, ড. শাহদীন মালিক, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক একরামুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, ইন্ডিপন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর প্রো-ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে চাকমা সার্কেল প্রধানের উপদেষ্টা রাণী ইয়ান ইয়ান।

গতকাল ওই তালিকায় থাকা নামগুলোর মধ্যে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিউটের নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘একটি তালিকায় আমার নাম আছে বলে আমি শুনেছি। অনেকেই আমাকে ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। তবে আমি কোনো ডাক পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাকে ডাকা হলে তার পর আমি প্রতিক্রিয়া জানাব।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কয়েকজন ওই তালিকাটি আমাকে পাঠিয়েছেন। আমি তা দেখেছি। তালিকায় যাদের নাম আছে তাদের আমি চিনি। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের কর্মজীবনে সততা ও বলিষ্ঠতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।’

এ রিপোর্ট লিখার সময়ে গতকাল রাত ৮টায় অপর মোট ১০ জনের নাম সংবলিত আরও একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়ে। খবরের কাগজের হাতে এই দ্বিতীয় তালিকাটিও আসে। নতুন এ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন ড. সলিমউল্লাহ খান, ড. আসিফ নজরুল, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রি জে এম সাখাওয়াৎ হোসেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য, মতিউর রহমান চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন এবং ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো আবারও ফিরে আসছে। ১৯৯৬ সালে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটাবস্থায় এই অন্তর্বর্তী বা কেয়ারটেকার সরকারের কাঠামো প্রয়োগ করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার পদ্ধতি চালু হয়। এরপর ২০১১ সালের ১০ মে তারিখে সর্বোচ্চ আদালত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঠামো বাতিল করে দেন। ২০২৪ সালে এসে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আবারও অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে সরকার পরিচালনার ধারণাটি সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা সম্মতি দিলেন। 

সেনাপ্রধান তার বক্তব্যে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের বিষয়টি তিনি এগিয়ে নিতে কাজ করছেন। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পরেই এ উদ্যোগ পূর্ণমাত্রায় এগিয়ে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যতক্ষণ না অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেনাপ্রধান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ঘরে ফিরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করতে অনুরোধ করেছেন। 

সাবেক এমপি শাহে আলম আটক

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১০ এএম
সাবেক এমপি শাহে আলম আটক
সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদার

বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি শাহে আলম তালুকদারকে আটক করে গুলশান থানায় সোপর্দ করেছেন সাধারণ মানুষ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজধানীর গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাকে শনিবার রাতে মারধরের পর থানায় দিয়েছে সাধারণ মানুষ। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে গুলশান থানায় সোপর্দ করে জনতা।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আলম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম তালুকদার গুলশান থানায় আছে। তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে চাঁদার দাবিতে হামলা মারধর ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাবেক এমপি শাহে আলমের বিরুদ্ধে বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা হয়েছে বলে জানা যায়।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চাখারের সৈয়দ আতিকুর রহমান বাপ্পী এ মামলা করেন। 

মামলায় শাহে আলমের সঙ্গে তার তিন ভাই ও এক ভাগ্নেসহ ১৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শারমিন সুলতানা সুমি অভিযোগ তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অমিয়/

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ এএম
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী গ্রেপ্তার

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাত সাড়ে ১২টার ফরহাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, রাজধানীর আদাবর এলাকায় গত ৫ সেপ্টেম্বর দায়ের করা একটি হত্যা মামলার আসামি ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আদাবর থানার ওসি মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুইয়া জানান, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। পরে র‍্যাব ১২টার দিকে তাকে আদাবর থানায় হস্তান্তর করে গেছে।

অমিয়/

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক আজ

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১০ এএম
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক আজ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ডোনাল্ড লু ও ব্রেন্ট নেইম্যান (বাঁ থেকে)

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের প্রধান ও দেশটির অর্থ দপ্তরের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান। আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধিদলটি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈঠক করবে আজ। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

বৈঠককালে আওয়ামী লীগের আমলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। এ ছাড়া ঢাকার সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক যাতে সহযোগিতাপূর্ণ হয়, সে বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মার্কিন সরকারের অব্যাহত সমর্থনও প্রত্যাশা করা হবে ঢাকার পক্ষ থেকে।

এর আগে শনিবার সকালে তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছান ব্রেন্ট নেইম্যান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (উত্তর আমেরিকা উইং) খন্দকার মাসুদুল আলম। ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বিকেলে নয়াদিল্লি থেকে ঢাকায় আসেন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো ঢাকায় এল যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের এ প্রতিনিধিদল। এতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, অর্থ দপ্তর, ইউএসএআইডি ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা আছেন। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আর্থিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি চাইছে, অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশ যেন আবারও ঘুরে দাঁড়ায় এবং উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে।

প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বিস্তৃত ও বহুমুখী আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা। মার্কিন প্রতিনিধিদলটি সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে।

পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিন তাদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সফরকালে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন। লু ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আন্তসংস্থা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যোগ দেবেন। 

বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে সংবিধান সংস্কার করতে হবে: ফরহাদ মজহার

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ পিএম
বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়তে সংবিধান সংস্কার করতে হবে: ফরহাদ মজহার
সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন সমাজচিন্তক ও গবেষক ফরহাদ মজহার। ছবি : সংগৃহীত

সমাজচিন্তক ও গবেষক ফরহাদ মজহার বলেছেন, বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়তে হলে প্রথমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে প্রফেসর কে আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

‘নতুন বাংলাদেশ বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সেমিনারটির সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. শেখ আকরাম আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফরহাদ মজহার। 

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল কালাম, অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ। 

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি রাষ্ট্রের বিশেষ ধর্ম। এটা রাষ্ট্রের বিশেষ রূপ। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্র তার কর্মকাণ্ড সুষ্ঠুভাবে নির্ধারণ করলেই একটি রাষ্ট্র সুচারুভাবে গঠন করা হয়।’ 

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের যে সংবিধান, তা ছিল পাকিস্তান আমলের, সেই সংবিধান প্রণেতারা সে সময়ের আলোকে সংবিধান রচনা করেছিলেন। বর্তমানে যে সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্র চলছে, তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৈরি সংবিধান। বৈষম্যহীন একটি রাষ্ট্র গড়তে হলে প্রথমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা সেক্টরে সংস্কার করতে হবে। জনগণকে রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। সুতরাং দেশের গণতন্ত্র বজায় রাখতে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সবাইকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।’ 

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন নিশ্চিত করতে হবে। জনসাধারণ একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি। স্ব-স্ব ক্ষেত্র থেকে এগিয়ে এলে একটি দেশ দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।’

সেমিনারে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম। 

প্রবন্ধে বলা হয়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চরম গণ-অসন্তোষে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের ফলে জনমানুষের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবে রূপায়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই তরুণ ও যুবা। তাদের প্রত্যাশা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’ 

সেমিনারে বাংলাদেশের সংবিধানের আলোকে রাষ্ট্র সংস্কারের ১২ দফা রূপরেখা-২০২৪ পেশ করা হয়। ১২ দফার প্রস্তাবে রয়েছে, রাষ্ট্রের তিনটি প্রধান অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ; আইনসভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, যাতে একে অপরের ওপর ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে; বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ নিশ্চিত করা এবং বিচারপতি নিয়োগে আলাদা কমিশন বা আইন প্রণয়ন করা; কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য করবে না।

সিইসি-ইসি নিয়োগে বিদ্যমান আইন ত্রুটিপূর্ণ, সংস্কারের তাগিদ

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
সিইসি-ইসি নিয়োগে বিদ্যমান আইন ত্রুটিপূর্ণ, সংস্কারের তাগিদ
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্টজনরা

বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার বিদ্যমান আইনে সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিশিষ্টজনেরা। নির্বাচন কমিশনারদের দায়মুক্তির বিধানযুক্ত ২০২২ সালে প্রণীত আইনটি দ্রুত সংস্কার করে রাজনৈতিক ঐকমত্য ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্মোহ সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি ও নতুন ইসি গঠনের তাগিদ দিয়েছেন তারা। নিরপেক্ষ কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকার ছাড়া এ দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ’ শীর্ষক এক পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজক সংস্থা ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে নীতি প্রস্তাব তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির মুখ্য পরিচালক ডা. মো আবদুল আলিম।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্বাচন কমিশন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকেই শুরু হয়। সেই লক্ষ্যে ইসি নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারের প্রভাবমুক্ত রাখতে তিনি সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। 

সুপারিশগুলো হলো-

১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ পুনর্লিখন বা একটি নতুন আইন প্রণয়ন এবং বিদ্যমান আইনটি স্থগিত করা; অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হবে সরকারি এবং নাগরিক সমাজের মধ্য থেকে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় পেশাদারদের নিয়ে। 

২. ইসি নিয়োগের যোগ্যতার মানদণ্ডে পেশাদারত্ব, রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা, নৈতিক সততা, পূর্ববর্তী চাকরিতে বুদ্ধিবৃত্তিক সততা, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা-দক্ষতা, চারিত্রিক স্বাধীনতা ও শক্তি, সব নির্বাচনি অংশীজনের কাছে সাধারণ গ্রহণযোগ্যতা এবং একটি বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান বজায় রাখার সংকল্প থাকা।

৩. ইসি নিয়োগ আইনে একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা এবং ব্যাপকভিত্তিক পরামর্শ গ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সব স্তরে নাম প্রকাশ এবং নাগরিকদের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। প্রতিটি পদক্ষেপ, কর্মকাণ্ড, যোগাযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, আন্তরিক ও সহজ-সরল হতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব তথ্য সব পর্যায়ে জানাতে হবে।

৪. আইনে একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতা এবং ব্যাপকভিত্তিক পরামর্শ গ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যার মধ্যে উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সব স্তরে নাম প্রকাশ এবং নাগরিকদের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। প্রতিটি পদক্ষেপ, কর্মকাণ্ড, যোগাযোগ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ, আন্তরিক এবং সহজ-সরল হতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব তথ্য সব পর্যায়ে অবহিত করতে হবে।

৫. নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এমন একটি পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, যা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও একধরনের সহমত নিশ্চিত করে।

আলোচনায় সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি মনে করি বিদ্যমান আইনেও নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। কিন্তু আমরা দেখেছি কমিশনের দায়িত্বে যারা থাকেন তারা সেই ক্ষমতা সঠিক ও সৎভাবে প্রয়োগ করেন না। এ কারণে কেবল ভালো কমিশন গঠন করেই ভালো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। তার জন্য দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর ও সরকারের সদিচ্ছা। আর সেটার জন্য অবশ্যই নিরপেক্ষ বা অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজন। কারণ বিগত নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’ 

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘দায়মুক্তির বিধান যুক্ত করে ২০২২ সালে প্রণীত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে যে আইন, তাতে যাকে খুশি তাকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়া সম্ভব। এর ফলে আগের নির্বাচন কমিশন পোস্ট অফিসের ভূমিকা পালন করেছে, যা সংবিধানের লঙ্ঘন। রাজনৈতিক ঐকমত্য ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে তার কমিটি প্রস্তাব করবে বলেও জানান এই বিশ্লেষক।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ‘আগামীর নির্বাচন কমিশনে তিনি নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে দেখতে চান। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি হতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোসহ সব স্তরের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে। বিতর্কিত ২০২২ সালের ইসি গঠনের আইন বাদ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে পাওয়া নাম নিয়ে আবার রাজনৈতিক দলের কাছে ফিরে যেতে হবে, কারণ রাজনৈতিক দলগুলো এর সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। কারণ যদি সরকার, দল ও রাজনৈতিক দলগুলো আন্তরিক না হয়, শুধু নিরপেক্ষ কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। পরিবর্তন জরুরি।’

সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের পক্ষে মত দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটি করার আগে প্রয়োজন বিদ্যমান আইনটি সংস্কার করা। কারণ বিদ্যমান আইনে নির্দিষ্ট দলের প্রভাব/পক্ষপাত সুযোগ রয়েছে। এমনভাবে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া প্রণয়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতেও কোনো সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে।’

আলোচনায় সাত শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে সাত সদস্যের সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন গণ-অধিকার পরিষদের প্রেসিডেন্ট নুরুল হক নূর। একই সঙ্গে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও আনুপাতিক হারে নির্বাচনব্যবস্থার কথা বলেন। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘বিচার বিভাগকে কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন কমিশন গঠনে যুক্ত করা উচিত হবে না। সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও ছাত্র প্রতিনিধির সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।’ 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রফেসর আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, ‘কোনো কমিশনার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে তাকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা থাকতে হবে।’ 

এ ছাড়া আলোচনায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বক্তব্য রাখেন।

ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এই পলিসি ডায়ালগে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, গণ-অধিকার পরিবষদ, গণফোরাম, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসহ ১০ দলের নেতারা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস। সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. রওনক জাহান।