ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবু বাকের মজুমদার। ফাইল ছবি

চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার থেকে এ ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, ‘কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সারাদেশে যেসব স্থানে আমাদের জাতীয় বীরেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি পালিত হবে। রোডমার্চে সংশ্লিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে আমরা এক মিনিট নীরবতা পালন করব এবং শহিদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।’

এ কর্মসূচি মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে চার দফা দাবি উল্লেখ করা হয়। সেগুলো হলো-

১) ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।

২) সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া। 

৩) প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা। 

৪) প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা।

আরিফ জাওয়াদ/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

মাজারে হামলা না চালানোর আহ্বান সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারির

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
মাজারে হামলা না চালানোর আহ্বান সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারির
জশনে জুলুসে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম আন্জুমানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি। ছবি: ইন্দ্রজীৎ কুমার ঘোষ

অলি আউলিয়ার মাজার, খানকাহ, দরগাহ শরীফে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো গর্হিত কাজ থেকে উগ্রবাদীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম আন্জুমানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি। 

তিনি বলেন, মাজারে হামলা করে সুন্নি সূফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। 

আর যেন উগ্রবাদীরা দেশের একটি মাজারেও হামলা করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার উদ্যোগে রাজধানীতে শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। 

এরপর শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন্ আহমদ আল্-হাসানীর মাইজভান্ডারি নেতৃত্বে বেলা ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুস রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শোভাযাত্রায় নবীপ্রেমিক জনতার বিভিন্ন ইসলামিক হামদ, নাত ও শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজপথ।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়াবা, জাতীয় পতাকা, আন্জুমানের পতাকা এবং বিভিন্ন বাণী ও শ্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।

শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি বলেন, আমরা সুন্নি সূফিবাদী জনতা নবীপ্রেমিক উদার মুসলিম। আমরা উগ্রতা ও হটকারীতায় বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম কায়েম হয়েছে উদারতায়। সূফী সংস্কৃতি ও মাজারসমূহ হলো ইসলামের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। অলি আউলিয়াগণই খানকাহর পাশাপাশি মাদরাসা ও মসজিদ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচারে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। আমি মনে করি একশ্রেণির উগ্রবাদীরা ধর্মের নামে উগ্রতা প্রদর্শন করে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে মানুষকে ধর্মবিমূখ ও নাস্তিক্যবাদকে উসকে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, মাজার ভেঙে; সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করে ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে। সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যার যার মতকে প্রাধান্য দিন। কারো ভিন্ন মতের উপর জুলুম কিংবা জোর জবরদস্তি থেকে বিরত থাকুন।

ইসলাম মানুষকে সত্য, সুন্দর, শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখায় বলেও উল্লেখ করেন।

অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারী বলেন, সারাদেশে যে সমস্ত মাজার, খানকাহ ভাঙা হয়েছে সেগুলো পূনঃনির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা এই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, মহানবীর (দ.) এই দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ। ইসলাম ধর্মেই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার সুখ-সমৃদ্ধি শান্তি কামনা করা হয়েছে। এমন কোনো কাজ করতে বলা হয়নি যাতে করে ইসলামের অবমাননা করা হয়। কোরআনে বলা হয়েছে, কারও ওপর জোর জবরদস্তি করে যেন ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া না হয়। কারও ধর্মীয় স্বাধীনতা যেন বিনষ্ট না হয়।

সমাবেশে ও শোভাযাত্রা আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান খান মিয়াজি, অধ্যাপক ড. শহীদ মনজু, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মূফতী খাজা বাকীবিল্লাহ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, মূফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, শাহ্জাদা সৈয়দ মাহবুব-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, বিএসপি মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, সাজ্জাদানশীন পীর, ওলামা-মাশায়েখ, আন্জুমান ও মইনীয়া যুব ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পিএম
পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটজাত পণ্যের মোড়কের বহুল ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘পরিবেশবান্ধব পাট খাত এবং পাটশিল্পের সমস্যা উত্তরণ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পলিসি সহায়তা দেবে। পাট খাত দেশের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।

পাটশিল্পের সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাটশিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ দরকার।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ধান, চাল ও গমের বস্তায় পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে প্রথমে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, পাটজাত পণ্যের বিস্তারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভায় বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। দেশের বিভিন্ন পাটকলের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা পাটশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। পরে পরিবেশ উপদেষ্টা অটোব্রিকস মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেপ্তার

রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আদাবর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‍‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে।

তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র‍‍্যাব।

আল-আমিন/অমিয়/

প্রকাশিত প্রতিবেদনে সামিট গ্রুপের ব্যাখ্যা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
প্রকাশিত প্রতিবেদনে সামিট গ্রুপের ব্যাখ্যা

গত ৫ সেপ্টেম্বর খবরের কাগজে ‘পাচারের টাকায় সামিটের আজিজ খান এখন সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আংশিক ব্যাখ্যা দিয়েছে বৃহত্তম ব্যবসায়িক শিল্পগ্রুপ সামিট। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গ্রুপের পাঠানো ব্যাখ্যায় বলা হয়, পানামা পেপারস একটি ‘ওপেন সোর্স ডকুমেন্ট’ এবং সেখানে মুহাম্মদ আজিজ খানের নাম নেই। যেকোনো ব্যক্তি সহজেই বিষয়টি যাচাই করতে পারেন। অন্যদিকে ফোর্বসের ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীর তালিকায় মুহাম্মদ আজিজ খান সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী। ফোর্বসের ওয়েবসাইটে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসা আছে এবং সামিটের সব সম্পদ বাংলাদেশেই রয়েছে। এ ছাড়া, জাপানের JERA সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালে ২২% শেয়ারের মালিক, যা বাংলাদেশে সামিটের বিভিন্ন অবকাঠামো সম্পদের একটি পোর্টফোলিও ধারণ করে।

শেয়ার ইস্যুর বিষয়ে বিটিআরসি থেকে সামিট কমিউনিকেশনস-এর পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ সুবিধা নেওয়া হয়নি। ১০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের বিটিআরসি বিজ্ঞপ্তি নং ১৪.৩২.০০০০.০০৭.৫৬.০০২.১৭.২৫১৯ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী, লাইসেন্সধারীদের শেয়ার স্থানান্তর বা নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিক্রয়মূল্যের ৫.৫% ফি দিতে হয়। আমাদের জানা মতে, এই ফি নতুন শেয়ার ইস্যুর জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে, সামিট কমিউনিকেশনস ফি সংক্রান্ত এ দাবি পাওয়া মাত্রই ২০২৪ সালের ১৫ আগস্ট এটি পরিশোধ করে দক্ষতার সঙ্গে কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার নিমিত্তে এবং দ্রুততম সময়ে পরিষেবার সুবিধা উন্মুক্ত করার প্রয়োজনে, নতুন শেয়ার ইস্যু কোম্পানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 

উল্লেখ্য, সামিট কমিউনিকেশনস সেই তিনটি কোম্পানির মধ্যে একটি যারা সাবমেরিন কেবল লাইসেন্স লাভ করেছে এবং দ্রুততম সময়ে ও সর্বনিম্ন ল্যাটেন্সিসহ সাবমেরিন কেবল স্থাপনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার প্রত্যাশিত কার্যক্রম উন্মুক্ত করার তারিখ ২০২৬ সালের প্রথম কোয়ার্টার। সিঙ্গাপুর থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১,২৮৪ কিমি শাখা কেবলের সিভিল কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ প্রায় ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, ফলে ডলারসংকট দেখা দেয় এবং এই ধরনের তহবিলের যোগান বাধার সম্মুখীন হয়। গ্লোবাল এনার্জিস ও সেকোয়া ইনফ্রাটেকের সঙ্গে এই অংশীদারত্ব কোম্পানির পেইড-আপ ক্যাপিটাল বাড়াতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করতে কৌশলগতভাবে তৈরি করা হয়েছে যা স্থানীয় ব্যাংকগুলো সরবরাহ করতে পারছে না। এই সহযোগিতা সাবমেরিন কেবল প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জাতীয় স্বার্থ ও প্রয়োজনীয়তার জন্য অপরিহার্য।

এই বিষয়ে আমাদের মতামত গ্রহণ করার জন্য আপনাদের (খবরের কাগজ) ধন্যবাদ। আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রতিক্রিয়া আমাদের অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করবে এবং বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের আরও ভালো ধারণা দিতে সাহায্য করবে।

টানা বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
টানা বৃষ্টিতে মানুষের দুর্ভোগ
সাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে সারাদেশে বৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে থেমে থাকে নি রাজধানীর কর্মব্যস্ততা। ছবি: মাসুদ মিলন

টানা বৃষ্টিতে অসংখ্য মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। গতকাল রবিবার দিনভর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে রাজধানীতেও জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল দেশের বিভিন্ন বিভাগেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবারও (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারী বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থা চলতে পারে আরও চার দিন। 

এদিকে পাহাড়ি ঢল, ভূমিধস ও নৌকাডুবিতে কক্সবাজার জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। 

রবিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গতকাল সকাল থেকেই অনেকটা বিরামহীন ছিল বৃষ্টি। ফলে কর্মস্থলগামীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। যানবাহন কম থাকায় তাদের অনেকক্ষণ বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আবার বৃষ্টিতে অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় যানজট ছিল সঙ্গী। ঢাকা কলেজ আর আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণেও মিরপুর রোডে ছিল যানজট। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন রিকশাচালকরা। যাত্রী কম তাই রোজগারও কম। তা ছাড়া বৃষ্টিতে ভেজার ফলে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন রিকশাচালকরা। বৃষ্টির কারণে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের বিভিন্ন দোকান, গলি ও মেট্রো স্টেশনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

রাজধানীর মহাখালীতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আরিফুল ইসলাম। খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘অনেকক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে আছি ফার্মগেটের বাসের জন্য। কিন্তু বাস আসছে না। ছাতা না আনায় ঝিরঝির বৃষ্টিতে অনেকটা ভিজে গেছি। রিকশাচালকরা বেশি ভাড়া চান।’

চার বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে
দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীতে বলা হয়, স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় পটুয়াখালীতে, ১৬১ মিলিমিটার। খুলনা ও ঢাকা বিভাগের আবহাওয়ার বিভিন্ন স্টেশনে শতাধিক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।

কক্সবাজারে মোট ১১ মৃত্যু
দেশে ও উজানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় আগামী তিন দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের নদ-নদীর পানি কমে আসতে পারে। গতকাল বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় ও জোয়ার-ভাটাপ্রবণ নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি গভীর স্থল নিম্নচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী ২৪ ঘণ্টায় উপকূলীয় অঞ্চল ও দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় ঢাকা, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে মুহুরী, হালদা ও গোমতী নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় আগামী তিন দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।

অন্যদিকে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অতিবর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ধস, পাহাড়ি ঢল, জলাবদ্ধতার কারণে কক্সবাজার জেলার পাঁচটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার ৩৮টি ইউনিয়নের নিচু অঞ্চল আংশিক প্লাবিত হয়। ফলে আনুমানিক ১ লাখ ৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অতিবর্ষণের কারণে পাহাড়ধসে তিনজন ও পানিতে ডুবে একজন এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনজনসহ মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয় এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন। সমুদ্রগামী মাছ ধরা ট্রলারডুবিতে তিনজনের লাশ পাওয়া যায়। তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। পাহাড়ধস, পাহাড়ি ঢল, পানিতে ডুবে এবং ট্রলারডুবিতে মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একজন নিখোঁজ রয়েছেন।