ঢাকা ১ আশ্বিন ১৪৩১, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আদালতের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে আইন মন্ত্রণালয়ের তিন নির্দেশনা

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম
আদালতের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে আইন মন্ত্রণালয়ের তিন নির্দেশনা

আদালতের কর্মপরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে তিন দফা নির্দেশনা জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ১০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। 

অধস্তন সব আদালতের উদ্দেশে সোমবার (১২ আগস্ট) আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। 

নির্দেশনা গুলো হলো ১. পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ঝুঁকিপূর্ণ ও আইনগতভাবে নিষিদ্ধ বিধায় অধস্তন আদালত প্রাঙ্গণে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার করা যাবে না।

২. জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সুবিধাজনক স্থানে মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান মাতৃদুগ্ধ কেন্দ্রগুলো ব্যবহার উপযোগী করা।

৩. জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সুবিধাজনক স্থানে মহিলা ও পুরুষ বিচারপ্রার্থীদের জন্য পৃথক শৌচাগার স্থাপন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান শৌচাগারগুলো ব্যবহার উপযোগী করা।

মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত

মামলার তদন্ত সাপেক্ষে আসামি ধরা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। ঢাকায় পুলিশ হত্যা, থানায় অগ্নিসংযোগ ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা হবে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ক্রিমিনাল ইভেন্ট কখনো তামাদি হয় না। পুলিশ হত্যা এবং থানার লুটপাটের ঘটনায়ও মামলা হবে।’ গণহারে মামলা ও এজাহারে সাংবাদিকদের নাম দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এজাহারে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার করতে হবে বিষয়টা এ রকম না। সামষ্টিক তদন্ত করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে সব মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমিশনার আরও বলেন, ‘পুলিশের ১৭৭টি যানবাহন ও অনেক স্থাপনা ক্ষতি হয়েছে। সেসব ঠিক করার কাজ চলছে। দুই-এক সপ্তাহের ভেতরে সব থানা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরবে। ট্রাফিকব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ এখন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছে। ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হবে। এ ছাড়া ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ আরও সক্রিয় হবে। পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ 

পুলিশের মনোবল চাঙ্গা করতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দাবি নিয়ে লোকজন রাস্তায় নেমে অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা প্রধান সড়কে উঠে যাচ্ছে। পুলিশ এসব নিয়ে কাজ করছে। রাস্তা ও ফুটপাত হকারমুক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।’

ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ডিএমপির পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক এমপি সাদেক খান ও ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
সাবেক এমপি সাদেক খান ও ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান
সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। ছবি: খবরের কাগজ

অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান ও পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্সের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই ধরনের অভিযোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুনাজ আহমেদ নুরের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুদকের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের দেওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কমিশন এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবরের কাগজকে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম। 

দুদকের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, সংসদ সদস্য থাকার সময় সাদেক খান ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অবৈধ উপায়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান মুরগি মার্কেট, সাদেক খান শুঁটকি মার্কেট, সাদেক খান ইট মার্কেট, সাদেক খান বালি মার্কেট, সাদেক খান বস্তি ও পেট্রলপাম্পের মালিক হয়েছেন। মোহাম্মদপুর এলাকায় হিন্দু সম্পত্তি দখল করে তিনি এসব স্থাপনা গড়ে তুলেছেন। তার দাখিল করা নির্বাচনি হলফনামায় নিজ নামে ১ কোটি ৪১ লাখ টাকার অকৃষি জমি ও যৌথ নামে ১ কোটি ৩১ লাখ ৫২ হাজার টাকার জমি দেখিয়েছেন। তিনি ৫০ শতাংশ অংশীদার, ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকার অ্যাপার্টমেন্ট, বাড়ি, ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার পরিবহন ও অন্যান্য সম্পদ দেখিয়েছেন। স্ত্রীর নামে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার গাড়ি, ১ কোটি ১২ লাখ ৩ হাজার টাকা মূল্যের জমি ও অন্যান্য সম্পদ দেখিয়েছেন। হলফনামায় মোট ৫২ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং জমিসহ দুটি একক বাড়ি ও একটি যৌথ বাড়ি, যার মূল্য সাড়ে ৫ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। তবে হলফনামার বাইরেও সাদেক খান, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য উঠেছে দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে।

পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় মোট সম্পদ দেখিয়েছিলেন ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সম্পদ দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার ৫৬৮ টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্থিতি ৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। শেয়ার কেনা ৪ লাখ ৯০ টাকার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৩ কোটি টাকা। বাস-ট্রাক ও মোটরগাড়ি কেনা ৭৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৮৫ টাকা। হলফনামার বাইরে দুদকের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে গোলাম ফারুক খন্দকারের নামে দেশ-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, অধ্যাপক মুনাজ দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৯ সালের মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন ডাটা ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস প্রোগ্রাম বিভাগ চালু হওয়ার আগেই প্রতিষ্ঠানটি ডাটা ল্যাব স্থাপন করে। ওই ডাটা ল্যাব স্থাপনে ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৬৪ হাজার ২০২ টাকা খরচ দেখানো হয়। যদিও ল্যাব স্থাপনে মানা হয়নি কোনো নীতিমালা। নিয়মের তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে ডাটা সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প সঠিকভাবে প্রাক-মূল্যায়ন না করে জেভি অব বিএমআইটি সলিউশনস লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেওয়ার জন্য আই থিসিক্সটি বাংলাদেশ লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্ঠানকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়, যা বিধিবহির্ভূত।

মাজারে হামলা না চালানোর আহ্বান সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারির

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
মাজারে হামলা না চালানোর আহ্বান সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারির
জশনে জুলুসে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম আন্জুমানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি। ছবি: ইন্দ্রজীৎ কুমার ঘোষ

অলি আউলিয়ার মাজার, খানকাহ, দরগাহ শরীফে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো গর্হিত কাজ থেকে উগ্রবাদীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের ইমাম আন্জুমানের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি। 

তিনি বলেন, মাজারে হামলা করে সুন্নি সূফিবাদী জনতাকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না। 

আর যেন উগ্রবাদীরা দেশের একটি মাজারেও হামলা করতে না পারে সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার উদ্যোগে রাজধানীতে শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান। 

এরপর শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন্ আহমদ আল্-হাসানীর মাইজভান্ডারি নেতৃত্বে বেলা ১১টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুস রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শোভাযাত্রায় নবীপ্রেমিক জনতার বিভিন্ন ইসলামিক হামদ, নাত ও শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে রাজপথ।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের হাতে কলেমা তৈয়াবা, জাতীয় পতাকা, আন্জুমানের পতাকা এবং বিভিন্ন বাণী ও শ্লোগান লিখিত ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়।

শোভাযাত্রাপূর্ব সমাবেশ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারি বলেন, আমরা সুন্নি সূফিবাদী জনতা নবীপ্রেমিক উদার মুসলিম। আমরা উগ্রতা ও হটকারীতায় বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি ইসলাম কায়েম হয়েছে উদারতায়। সূফী সংস্কৃতি ও মাজারসমূহ হলো ইসলামের গৌরব ও মর্যাদার প্রতীক। অলি আউলিয়াগণই খানকাহর পাশাপাশি মাদরাসা ও মসজিদ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচারে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। আমি মনে করি একশ্রেণির উগ্রবাদীরা ধর্মের নামে উগ্রতা প্রদর্শন করে মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে মানুষকে ধর্মবিমূখ ও নাস্তিক্যবাদকে উসকে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, মাজার ভেঙে; সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা করে ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে। সবার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি যার যার মতকে প্রাধান্য দিন। কারো ভিন্ন মতের উপর জুলুম কিংবা জোর জবরদস্তি থেকে বিরত থাকুন।

ইসলাম মানুষকে সত্য, সুন্দর, শান্তি ও কল্যাণের পথ দেখায় বলেও উল্লেখ করেন।

অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে সাইফুদ্দীন মাইজভান্ডারী বলেন, সারাদেশে যে সমস্ত মাজার, খানকাহ ভাঙা হয়েছে সেগুলো পূনঃনির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা এই অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, মহানবীর (দ.) এই দুনিয়ায় শুভাগমন সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহ পাকের বিশেষ নেয়ামত ও অনুগ্রহ। ইসলাম ধর্মেই জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার সুখ-সমৃদ্ধি শান্তি কামনা করা হয়েছে। এমন কোনো কাজ করতে বলা হয়নি যাতে করে ইসলামের অবমাননা করা হয়। কোরআনে বলা হয়েছে, কারও ওপর জোর জবরদস্তি করে যেন ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া না হয়। কারও ধর্মীয় স্বাধীনতা যেন বিনষ্ট না হয়।

সমাবেশে ও শোভাযাত্রা আরও উপস্থিত ছিলেন- গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান খান মিয়াজি, অধ্যাপক ড. শহীদ মনজু, আন্জুমান সাধারণ সম্পাদক খলিফা মো. আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী, মাওলানা মূফতী খাজা বাকীবিল্লাহ আল-আযহারী, মাওলানা রুহুল আমিন ভূঁইয়া চাঁদপুরী, মূফতী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, শাহ্জাদা সৈয়দ মাহবুব-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, বিএসপি মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল আজিজ সরকার, অতিরিক্ত মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, সাজ্জাদানশীন পীর, ওলামা-মাশায়েখ, আন্জুমান ও মইনীয়া যুব ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পিএম
পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটজাত পণ্যের মোড়কের বহুল ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মতিঝিলে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘পরিবেশবান্ধব পাট খাত এবং পাটশিল্পের সমস্যা উত্তরণ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে পলিসি সহায়তা দেবে। পাট খাত দেশের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।

পাটশিল্পের সংকট মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাটশিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ দরকার।

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ধান, চাল ও গমের বস্তায় পাটজাত মোড়কের ব্যবহার নিশ্চিতে প্রথমে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, পাটজাত পণ্যের বিস্তারে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

সভায় বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। দেশের বিভিন্ন পাটকলের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা পাটশিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। পরে পরিবেশ উপদেষ্টা অটোব্রিকস মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
সাবেক এমপি এনামুল হক গ্রেপ্তার

রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হককে গ্রেপ্তার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আদাবর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

র‍‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী বাগমারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে।

তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে র‍‍্যাব।

আল-আমিন/অমিয়/