সাম্প্রতিক আন্দোলনে আহতদের দেখতে পিলখানায় বর্ডার গার্ড হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে এ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় এম সাখাওয়াত হোসেন আন্দোলনে আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পাশাপাশি তিনি আহত বিজিবি সদস্য ও শিক্ষার্থীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিজিবি মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তিনি বিজিবির মতো একটা ফোর্সকে সীমান্তে পিঠ দেখাতে বলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে আমাদের লোক মারে, আর বিজিবিকে ফ্ল্যাগ মিটিং করতে বাধ্য করা হয়। আমাদের বর্ডারের ভেতরে ঢুকে মারে আর ফ্ল্যাগ মিটিং করে বলা হতো সব ঠিক হয়ে গেছে। আমি বিজিবিকে বলেছি পিঠ দেখাবেন না। এনাফ ইজ এনাফ, আর নয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিজিবি না, পুলিশ, র্যাব ও আনসারকেও দানব বানানো হয়েছে। আমি যতদিন আছি ততদিন জাস্টিস রক্ষা করে যাব।
তিনি বলেন, হয়ত অনেকে ভাবতে পারেন আমি শুধু আপনাদের সঙ্গে প্যাপট্যাপ করি, তা না। আমার হাতে যদি পড়ে শাস্তি হবেই। আমরা ইতোমধ্যে কিছু কিছু অ্যাকশনে গিয়েছি। যারা পুলিশকে দানব বানিয়েছে। ফ্যাসিস্ট পার্টির ফ্যাসিস্ট প্রোপাগান্ডায় এসব ফোর্সকে নষ্ট করা হয়েছে। তারাই বিজিবিকে সীমান্তে পিঠ দেখাতে বলেছে। অথচ বিজিবির সীমান্ত রক্ষা করার কথা। নো মোর ,নো মোর। ইনশাল্লাহ আর এটি কখনো হতে দেওয়া হবে না।
তালিকাভুক্ত ফ্যাসিস্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি প্রসেস অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। রাষ্ট্রপতির কাছে ইতোমধ্যে রিকমেন্ডসহ ফাইল চলে গেছে। তারা উন্মুক্ত থাকবে কি থাকবে না; সেটা নিয়ে আলোচনা হবে।
সাম্প্রতিক ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য নিহত (এদের মধ্যে দুইজন র্যাবে কর্মরত ছিলেন) এবং ১৩০ সদস্য আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া আন্দোলনে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে তিনজনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে এবং আহত আরও তিন শিক্ষার্থী বর্ডার গার্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আল-আমিন/পপি/অমিয়/