চার দফা দাবিতে রোড মার্চ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একে একে ঢাবিসহ রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে রোড মার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়।
রোড মার্চ রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদ, কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, মুহসীন হল, স্মৃতি চিরন্তন, জগন্নাথ হল হয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবাবিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এটিকে রুখে দিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমরা ছাত্র-জনতা যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের শহিদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই অভ্যুত্থানকে আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব।’
এদিকে সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা দেখেছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এখনো এই ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আপনারা চাইলে ভলান্টিয়ার কমিটি গঠন করতে পারেন।’
এ ছাড়া সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির চার দফা দাবি তাদের বক্তব্যে ঘোষণা করেন।
চার দফা দাবি হলো
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।
২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়া।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনা।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সমতার সুযোগ নিশ্চিত করা।